আবহবিদেরা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগর। শেষ ২০০ বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।
বঙ্গোপসাগরের ত্রিভুজ আকৃতি এবং ভৌগোলিক অবস্থানই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ। কিন্তু সম্প্রতি কি বাংলার উপর দিয়ে ঝড়ঝাপটা বেশি যাচ্ছে? গত মে মাসে ‘রেমাল’ এবং জুলাইয়ে ঝড়-সহ গভীর নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ধেয়ে আসার সম্ভাবনায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের কী মত? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?আনন্দবাজার এর এ খবের বলা হয় বৃষ্টি আর বৃষ্টিতে কেটেছে দুর্গাপুজো। বঙ্গে বর্ষার যেন সময়-অসময় নেই। নিম্নচাপের বৃষ্টির জল শুকোতে না শুকোতেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে মঙ্গলবারই। বুধবার সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলে। কাতার যে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ‘দানা’। অর্থ, মুক্ত বা স্বাধীনতা। হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, পর পর নিম্নচাপ সৃষ্টির ফলে দুর্যোগের ব্যবধান কমে এসেছে বটে, তবে ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে ‘নিয়মমাফিক’। অর্থাৎ, ঘূর্ণিঝড়ের ধরন বদল হয়নি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এইচ আর বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত ১০০ বছরের যে গড় রেকর্ড রয়েছে, তাতে ঘূর্ণিঝড়ের সময়, সংখ্যা বদলে গিয়েছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’’ বস্তুত, অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর, বছরের এই শেষ তিন মাস পশ্চিমবঙ্গ-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গড় ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা একই আছে।
তিনি জানিয়েছেন, গত ১০০ বছরের যে গড় পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ‘আসল সময়’ মূলত বছরের শেষ তিন মাস। এ ছাড়া মার্চ থেকে মে— এই ত্রৈমাসিকের মধ্যে একটি থেকে দুটি ঘূ্র্ণিঝড় হয়। চলতি বছরে যেমন ‘রেমাল’ হয়েছে।
এনইউ/ জই