সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

প্রচণ্ড গরম,সাথে অস্বাভিক ঘাম,কেন এ অবস্হা?

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

প্রচণ্ড গরম,দিন রাত- সারাদেশে। গত দু’চার মাসের মধ্যে সারা দেশে এত গরম পড়েনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার তো বটেই, আগামীকাল রোববারও দেশজুড়ে মাঝারি মাত্রার এই তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আগামী সোমবার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বর্ষার শেষ সময়ের এই প্রচণ্ড গরমকে আবহাওয়ার ব্যতিক্রমী আচরণ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। আর সপ্তাহ দুয়েক পরে সারা দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার কথা। এ সময়ে মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে আকাশে মেঘ বেড়ে যায়। তাপমাত্রাও কমে আসে।

সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকার গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু গতকাল শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল নেত্রকোনায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর সিলেটে উঠেছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাধীনতার পর ওই দুই জেলায় সেপ্টেম্বর মাসে এত বেশি তাপমাত্রা ওঠেনি। অসময়ে তীব্র গরমে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জনজীবনে নেমে আসে অস্বস্তি।

আবহাওয়াবিদতের মতে সাধারণত এপ্রিল–মে মাস দেশের সবচেয়ে উষ্ণ সময়। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সাধারণত বৃষ্টি থাকে। এবারের সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি রেকর্ড পরিমাণে হয়েছে, তাপমাত্রাও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ফলে এবার একটু অস্বাভাবিক উষ্ণ সময়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গরম থেকে যাওয়ায় দেশের বড় শহরগুলোতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। সাধারণত এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু গতকাল তা কমে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ ধরনের আবহাওয়ায় প্রকৃতি ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায় না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা বড়জোর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে সারা দেশের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে প্রচুর ঘাম ঝরছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমএ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর