আমরা এখন অনেকেই রেডিমেইড নেতা হতে চাই, অনেকে টাকা দিয়ে রাজনীতি কিনতে চাই, রাতারাতি নেতাও বনে যাই। কিন্তু টাকা দিয়ে রাজনীতি কেনা যায় বিএনপি- জাতীয় পার্টিতে, আওয়ামী লীগে নয়। অর্থ আর বৃত্তকে আমাদের দল মূল্যায়ন করে না, কর্মীর মূল্যায়ন করে। অনেকেই বলতো আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় যাবে না। সেই সময় বুকে পাথর বেঁধে জিয়া এরশাদের সমস্ত দমন-নিপীড়ন ও রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিজের জীবনকে বিপন্ন করে যারা এই সংগঠনকে গড়ে তুলেছেন এই চট্টগ্রামে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার(১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের বোয়ালখালি উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। তিনি এবং আমাদের প্রয়াত আরেক নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একসাথে যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার হবার পর তারা পাগলের অভিনয় করা শুরু করলেন। তখন পাকিস্তানিরা মনে করলো এরা পাগল। সেজন্য তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিল। ছাড়া পাওয়ার পর আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন।
কর্ণফুলি নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ডিজাইন এপ্রুভ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এই ডিজাইনে সম্মতি দিয়েছেন। এটি একনেকে গিয়ে এপ্রুভ হলে কাজ শুরু হবে ইনশাল্লাহ।
প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও মাইনুদ্দিন খান বাদল কর্ণফুলী সেতুর জন্য অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। আমিও তাদেরকে একাজে সব সময় সহযোগিতা করেছি। সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে আমি বেশ কয়েক দফা কথা বলেছি। একটু অপেক্ষা করুন এটি হয়ে যাবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজার সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ার সাংসদ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বোয়ালখালি আসনের সাংসদ আবদুচ ছালাম।