পাকিস্তানে সরকার গঠন করার জন্য কোনও দলকে সংসদের সাধারণ আসন সংখ্যা অনুযায়ি ন্যূনতম ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
কিন্তু দেশটির সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কোনও দলই এককভাবে এত বিপুল সংখ্যক আসন পায় নি।
এমনকি বাকি ১৫টি আসনের ফলাফলও যদি কোনও একক দলের পক্ষে যায়, তারপরও তা সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন হবে না।
এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আসনের দিক থেকে এগিয়ে। এদের মাঝে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীই বেশি।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জানাতে হবে যে, তারা কোন দলে যোগ দেবেন নাকি স্বতন্ত্র হিসাবেই থাকবেন।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমের ভাষ্য মতে নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ৯১টি আসনে জয়লাভ করেছেন। পিএমএলএন ৭১ আসন জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
২০০৭ সালে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান পিপল’স পার্টি এই নির্বাচনের তৃতীয় প্রধান দল। এই দল জয় পেয়েছে ৫৩টি আসনে।
এছাড়া, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অন্যান্য দলের প্রার্থীরা পেয়েছে ৩৩টি আসন।
এমনিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। তার মধ্যে ২৬৬ আসন হলো সাধারণ আসন, যেগুলোতে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। সেগুলোর ৬০টি নারীদের ও ১০টি অমুসলিমদের।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ আসনগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন হলো পাঞ্জাবে, ১৪১টি।
সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া, বালুচিস্তান ও ফেডেরাল ক্যাপিটালে আছে যথাক্রমে ৬১টি, ৪৫টি, ১৬টি ও তিনটি।
এদিকে বৃহস্পতিবারের ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করে তার কর্মী-সমর্থকদেরকে এই বিজয় উদযাপন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি (একটি স্থগিত)। এর মাঝে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে।
কিন্তু আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলছেন, তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন) এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল।
এই কারণে তিনি অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হলেও প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কোনও দলই এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় লাভ করেনি।
