কক্সবাজারে চায়ের বিল না দেয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরকে।
বৃহস্পতিবার(১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সমিতি পাড়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরের নাম আলাউদ্দিন সে একই এলাকার মোহাম্মদ ইমরানের পুত্র।
ঘটনার পর পর র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মমিন নামের এক যুবককে আটক করে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,শহরের সমিতি পাড়ায় নিহত আলাউদ্দিনের দাদির একটি ছোট চায়ের দোকান রয়েছে। দোকানে প্রতিদিন চা-নাস্তা খেতে আসেন একই এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফয়েজ এবং তার সঙ্গী হাসান, মমিন ও মেহেদী। কিন্তু যাওয়ার সময় প্রভাব দেখিয়ে প্রায়ই টাকা না দিয়ে চলে যান তারা।
বৃহস্পতিবার রাতেও তাঁরা একই কায়দায় চায়ের বিল না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় তাঁদের সাথে আলাউদ্দিনের দাদির বাকবিতণ্ডা চলছিল। একপর্যায়ে বৃদ্ধা দোকানদারকে মারতে উদ্যত হন তাঁরা।
বাড়ির ভেতর থেকে ঝগড়াঝাটির আওয়াজ শুনে দোকানে ছুটে আসেন আলাউদ্দিন। তিনি চায়ের বিল না দেওয়ার প্রতিবাদ করলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফয়েজের নেতৃত্বে হাসান, মমিন ও মেহেদী তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আলাউদ্দিনের পিতা মোহাম্মদ ইমরান জানান, খুনীরা প্রভাব দেখিয়ে প্রায় এলাকায় এমন অরাজকতা করতো। ভয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলতই না। শেষ পর্যায়ে তাঁরা আমার ছেলেকে খুন করে। আমি খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, তাঁরা নিতান্তই অসহায় মানুষ। আলাউদ্দিনও একটি মুদির দোকান করতো। দোকান করেই তাঁদের পরিবার চলতো। বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি আলাউদ্দিনের খুনের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মমিন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।