এদের রয়েছে বিশাল সশস্ত্র সিন্ডিকেট, দীর্ঘদিন ধরে সাগরে সাধারণ জেলেদের অতিকষ্টে আহরিত মাছ, মাছধরার ট্রলারের মালামাল ডাকাতি এমনকি নিরীহ জেলেদের গভীর সাগরে নিক্ষেপ করে হত্যাও করতো তারা।
ভুক্তভোগী একাধিক অসহায় জেলের অভিযোগের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে বাড়ানো হয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওইসব জলদস্যুদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে মহেশাখালী এবং
বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার অংশের মহেশখালী চ্যানেল ও বাঁকখালী নদী মোহনা থেকে ৬ জলদস্যুকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি আগ্নেয়স্ত্র, ৩টি ধারালো অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বেশকিছু মোবাইল সেট, ৬-৭ হাজার কেজি মাছ, এবং মাছ ধরার জাল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট এলাকায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন।
গ্রেপ্তার জলদস্যুরা হল, কুতুবদিয়া লেমশিখালীর মাহমুদ উল্লাহর ছেলে মো. বাদশা, একই ইউনিয়নের মুসালিয়া শিকদার পাড়ার রহিম উল্লাহর ছেলে মো. মারুফুল ইসলাম, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের জুলেখা বিবির পাড়ার মো. ইসমাইলের ছেলে রায়হান উদ্দিন, সাহারুম শিকদার পাড়ার মো. ইউনুসের ছেলে মো. রাফি, পেচারপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে এরশাদুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার নারিকলতলার (সেইলরস কলোনী) আবু বক্করের ছেলে মো. আল-আমিন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের দেওয়া তথ্যমতে জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১৫।