আগামী প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সকল বাঙালীর মধ্যেই সুপ্ত সঙ্গীত প্রতিভা রয়েছে বলেই সঙ্গীত আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং দৈনন্দিন জীবনাচরণে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে।
সোমবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্টিত ঐতিহ্যবাহী অনুশীলন সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বরলিপি সংস্কৃতির ১০ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশে শিল্পীদের দীর্ঘদিনের আরাধ্য শিল্পী সম্মানী বৃদ্ধি, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ও সঙ্গীত একাডেমি গঠনের কাজ এগিয়ে চলছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতির সাথে সাথে সংস্কৃতির চর্চা ও মেলবন্ধন। সাংস্কৃতিক চর্চা করে দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বাঁচাতে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সংগীত মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালোবাসা এবং অসাম্প্রদায়িক মনোভাব তৈরী করে। সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজনীতি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তাই দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে নিতে রাজনীতির সাথে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন ঘটেছে বর্তমান সরকারের সময়ে। এই উন্নয়নের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ পরিচালনা করা।
তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলে আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই সংস্কৃতির চর্চা থাকতে হবে। সংগীত বিনোদনের মাধ্যম। দুঃখ বুঝারও একটি উৎস। সুপ্ত মনকে উদ্ভাসিত করার জন্য গান সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় গান ,সংগীত দিয়ে শিল্পীরা উদ্বুদ্ধ করেছেন জনগণকে। জীব যেমন পানি ছাড়া বাচতে পারেনা। সংগীত ছাড়াও মানুষ বাচতে পারে না। সংগীত মানুষকে মুক্তি দেয়।
সংগঠনের সভাপতি শামসুল হায়দার তুষারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহেদ মালেক, বিশে অতিথি ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মো: গিয়াস উদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য আলী আবরাহা দুলাল, সাইফুল আলম বাবু, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, হাকিম আলী, জাফর ইকবাল, রিয়াজ ওয়াইজ, মাহমুদুল আলম লিটন, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের সদস্য রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল।
