চট্টগ্রামে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে গ্যাস সরবরাহ। আর গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে চিটাগাং ইউরিয়া সার কারখানা( সিইউএফএল), কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো), এবং শিকলবাহা বিদ্যুত কেন্দ্রসহ গ্যাসনির্ভর সব শিল্প কারখানা।
এছাড়াও বন্ধ রয়েছের৬৮টি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন এবং কয়েক হাজার বাণিজ্যিক এবং ৬ লাখেরও বেশি আবাসিক গ্রাহকের রান্নার চুলা।
হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসা-বাড়ি ও কলকারখানার গ্রাহকেরা।গ্যাস রিফুয়েলিং করতে না পেরে চালাতে পারছেনা শত শত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বাস, ফলে পথে পথে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ২টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এতে কতক্ষণ সময় লাগবে তা নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও চট্টগ্রাম পর্যন্ত সেই গ্যাস এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ঘন্টা কয়েক লেগে যাবে। এতে করে আজ গ্যাস সরবরাহ আদৌ শুরু কিংবা স্বাভাবিক হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেজিডিসিএল’র বিপণণ বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক (দক্ষিণ) প্রকৌশলী অনুপম দত্ত বলেন, এলএনজি টার্মিনালে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততার সঙ্গে এ সংকটের সমাধান হবে।
এদিকে শুক্রবার ছুটির দিনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে হোটেলগুলোতে খাবার কিনতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সুযোগ বুঝে অসাধু দোকানিরা খাবারের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।