মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

চালের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টিতে মিলার আড়তদাররা

পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ থাকার পরেও চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতিমণে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ২:০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।

নগরীর পাহাড়তলী বাজারে পরিচালিত এ অভিযানে লাইসেন্স দেখাতে না পারায় এক আড়ত মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অস্বাভাবিক মজুদের বিষয়ে একাধিক আড়তদারকে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে চালের বাজার অস্থির করার নেপথ্যে কাজ করছে এক শ্রেণীর চালকল মালিক (মিলার) ও আড়তদার।
আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স বা লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছেন। এসব মজুতকারীদের বিরুদ্ধে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মিলার ও আড়তদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরী করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। এছাড়াও সারাদেশে চালের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় সমন্বয় সাধন চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে।

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর