প্রধানমন্ত্রীর আস্থার শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামের দুই মন্ত্রী যথাক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষা মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নতুন দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই স্বচ্ছন্দ ও সাবলীলভাবে নিজেদের উপস্থাপন করলেন।
দুজনেই নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড কেমন হবে এ নিয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন আমি আমার প্রধান ফোকাস হিসেবে অর্থনৈতিক কূটনীতির উপর জোর দেব। অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশেষ করে আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্প্রসারিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক অন্বেষণে আগ্রহী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ক্রমবর্ধমান বিশ্ব মেরুকরণের পটভূমিতে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা একটি বড় চ্যালেন্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ সবার সাথে বন্ধুত্ব,কারে প্রতি বিদ্বেষ নয় বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতে অটল থাকবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে।
এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নওফেল বলেন, আমাদের দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন, আমাদের দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। উনারা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
“শিক্ষাবর্ষ মাত্র শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো সমস্যা মনে হয়, তাহলে পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলাম হঠাৎ করে আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই আলোচনা সমালোচনাগুলোকে মাথায় রেখেই সেখানে দুর্বলতা থাকলে, সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করা হবে। মূল্যায়ন নিয়ে একটা আলোচনা আছে, সেই মূল্যায়ন যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পরিণত না হয়, সেটাকে আমরা বিবেচনায় রেখে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন,শিক্ষায় একটা ধারাবাহিকতা থাকে। এখানে নতুন করে কিছু করার অবকাশ নেই। সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।”