মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

‘ অ-বুক এইল্লা ক্যান শীত’!

শীতে কাবু,জবুথবু শিশু ও বুড়োরা।হঠাৎ শীত বেড়ে গেল দু-একদিনের মধ্যে। শীতকাল আসার পর থেকে এত অনুভূত হয়নি এর আগে।

শহরে যেমন তেমন গ্রামে আরো বেশী। গ্রামে শীত কেমন এটা বোঝার জন্য কেউ কেউ স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বুড়ো মা’র জবাব” অবুক এইল্লা ক্যান শীত”।

নগরের শাহ আমানত মার্কেটে মোবাইলের দোকানে কাজ করে ঈসমাইল। শীতে বাঁশখালীর বাগমারায় থাকা দাদীর সাথে কথা বলতেই শীতে কাঁপা বুড়ো দাদী বলে উঠে” শঅরত শীত কেন পরের, এঢেত হারাপ অবস্থা”। নগরে পথে ঘাটে রাত কাটানো মানুষের অবস্থা আরো খারাপ।

শীতের সাথে বইছে ঠান্ডা বাতাসও।বেড়েছে শীতের কাপড় ও কম্বল কেনার ধুম ফুটপাত, হকার্স মার্কেট ও নগরের বিভিন্ন মার্কেটে। কষ্ট বেড়েছে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের।
মাথা মুখ মোড়ানো ক্যাপ পরা, গায়ে হাল্কা হাফ হাতা সোয়েটার চেরাগী মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা রিক্সাওয়ালা আব্দুল হাদি। “শীত একটু বেড়েছে মনে হয় একথা বলার পর হাদি আক্ষেপের সুরে বলে” কি করব স্যার পেট কি শীত মানে”।

আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের পাশে কম্বল বিক্রেতা জসীম, তার “কথা বলার টাইম নেই”। জসিম জানায় এতদিনে ভাজ করে ফেলে রাখা কম্বল তারা খুলল। এই শীতে বেচার গরমে তাদের শীত চলে গেছে যেন।
শীতে কাঁপা কাঁপি একটু থাকলেও প্রায় দুস্পাপ্য খেজুরের রস, হরেক রকম পিঠার মজা গ্রাম বাংলায়  এখনো অন্য রকম অনুভূতি এনে দেয়।নগরেও চলছে কোথাও কোথাও পিঠা উৎসব। সব মিলিয়ে শীতের সাথে,শীতের স্বাদে মিশে যায় বাংলার আবহমান জীবন।

Screenshot 20240112 225212 Google » ' অ-বুক এইল্লা ক্যান শীত'!

এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলি ও চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি স

পৌষের শেষে চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিম হাওয়ায় কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ।
বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও দেখা মেলেনি সূর্যের; ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা রাজধানীসহ উত্তরাঞ্চল জুড়ে।

এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও তা গড়াতে পারে দুপুর পর্যন্তও। বিঘ্ন ঘটতে পারে বিমান, নৌ ও সড়কে যানবাহন চলাচলে।
এছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা কমে ঠান্ডা পরিস্থিতি চলতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসেবে চার জেলায় এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তবে এই শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, “শৈত্যপ্রবাহ যেটা আছে, আস্তে-আস্তে কমবে। কারণ তাপমাত্রা বাড়বে, দুই-এক দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ কমে আসবে।
তবে দিনের কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা আরও দুই-তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে, যার কারণে শীতের অনুভূতি থাকবে।”

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর