বাকলিয়ার শান্তিনগরে ভয়ংকর অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। সন্তানেরা সম্পত্তির জন্য পিতাকে হাত পা বেঁধে বিছানায় ফেলে রেখেছে দীর্ঘদিন। তার ওপর চলছিল অকথ্য নির্যতন। খবর পেয়ে সত্তোরোর্ধ এ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই ছেলেকে।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া শান্তিনগর নিরাপদ হাউজিং সোসাইটির নিজের বাসা থেকে এ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক এ ব্যক্তির নাম খুইল্ল্যা মিয়া। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তার দুই ছেলে হলেন-আবদুল আওয়াল ও আবদুর রহিম।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান অসুস্থ খুইল্ল্যা মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে তার দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা না হওয়ায় ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা ব্যক্তি সুস্থ হলে মামলা করবেন, তখন সে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
জানা গেছে, খুইল্ল্যা মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের বয়স নয় বছর। বাকি দুই জনের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
নিরাপদ হাউজিংয়ে চার কাঠা জমিতে খুইল্ল্যা মিয়ার চার তলা একটি ভবন আছে। পুলিশের ধারণা ভবনটি লিখে নেওয়ার জন্য বড় দুই ছেলে তাকে খাটের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছে।
চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকে খুইল্ল্যা মিয়ার পরিবার। শুক্রবার রাতে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে পাশের আরেকটি ভবনের বাসিন্দারা তাকে খাটে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।
তাকে চার হাত-পা নাইলনের রশি দিয়ে টানা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা খুইল্ল্যা মিয়ার নগরীর বাড়ি এটি। দীর্ঘদিন প্রবাসেও ছিলেন তিনি।
চাটগাঁর চোখ/এআই/এমএ