মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরের উদ্দেশে আসা তিনটি জাহাজ নাফ নদী থেকে আটক করে নিয়ে গেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার নাফ নদীর জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির কথা বলে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ আরাকান আর্মি আটকে রাখে। দুদিন গত হলেও এখনো জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
আজ শনিবার বিকালে তিনি বলেন, ‘দুদিন পার হলেও মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী জাহাজগুলো ছাড়েনি আরাকান আর্মি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার জলসীমানা থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে পণ্যবাহী জাহাজ আটকের খবর শুনেছি। এ বিষয়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট কেউ অবহিত করেনি। তবে বিষয়টি আমার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছি।
জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন পণ্যের আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এসব পণ্যের আমদানিকারক শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াস, এম এ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী।
টেকনাফ স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক বলেন, প্রায় দেড় মাস পর ইয়াঙ্গুন থেকে আমরা কয়েকজন পণ্য আমদানি করেছি। সেগুলো আসার পথে আটকে দিয়েছে আরাকান আর্মি। এখনও পণ্যবাহী জাহাজ তিনটি তাদের হেফাজতে। মিয়ানমার ব্যবসায়ীরা আরকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করতেছে। আশা করি, দুয়েক দিনের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজগুলো টেকনাফে চলে আসবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে তিনটি পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসছিল। পথে নাফ নদীর মাঝপথে জাহাজগুলো তল্লাশির কথা বলে আটকে দেয় আরাকান আর্মি। দুদিন পার হওয়ার পরও জাহাজগুলো ছেড়ে দেয়নি তারা। মিয়ানমারের ব্যবসায়ী ও আরকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এনইউ/ জই