বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ১৪ রোহিঙ্গাকে শনিবার (৩০ নভেম্বর) পুশব্যাক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে কয়েকজন দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এরপরেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থামছে না। এখনো প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু জলপাইতলী পয়েন্টের ৩২নং পিলার হয়ে অনুপ্রেবেশ করা ১৪ রোহিঙ্গাকে শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে জনতা। এরপর তাদেরকে ঘুমধুম বিজিবির কাছে সোপর্দ করে। শনিবার সকালে বিজিবি তাদেরকে বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করে।
এছাড়া শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমান্ত পিলার ৩৩ নং এর নিকটবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢোরি নামক স্থানে অনুপ্রবেশের জন্য ২ শতাধিক রোহিঙ্গা জড়ো হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করাতে ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোক শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সীমান্তে জড়ো হয়। তবে বিজিবি সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন, আবদুর রহিম, মোহাম্মদ ইউনুছ ও গ্রাম পুলিশ আবদুজ্জাবার জানান, ঘুমধুম থেকে তুমব্রুর বাইশফাঁড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার এলাকা এখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের অভয়ারণ্য। এ পয়েন্টে ৫ শতাধিক চোরাকারবারি ও শতাধিক দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাকারবারে জড়িত। তারা অনুপ্রবেশ করানো বাবদ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরাফি বলেন, মূলত পয়েন্টটির মিয়ানমার অংশে রাস্তা-ঘাট ভালো। আর এ পারে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির। এ কারণে তারা টাকার বিনিময়ে এ পারে অুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তবে বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে তারা সফল হচ্ছে না।
তিরি আরো জানান, বিজিবি তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় কিছু লোক টাকার বিনিময়ে তাদের অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে ধরে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এনইউ/জই