বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

নাইক্ষ্যংছড়িতে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে

বুলেটপ্রুফ গাড়িতে বিজিবির টহল

মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি

দেশে প্রথমবারের মত মিয়ানমার সীমান্তে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে টহল শুরু করেছে বিজিবি। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত অন্তত ৮ কিলোমিটার এলাকায় এই গাড়ি দিয়ে টহল দেয় ১১ বিজিবি।

বিশ্বস্থ একাধিক সূত্র জানায়, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আরকান রাজ্যের সীমান্ত চৌকিগুলো বিদ্রোহী আরকান আর্মি (এএ)’র স্বশস্ত্র কমান্ডোরা নিয়ন্ত্রণ করছেন। ২ বছর আগে তাদের তাড়া খেয়ে সরকারি বাহিনী (জান্তা বাহিনী) দেড়’শ কিলোমিটার দূরে আরকানের মন্ডু জেলা শহরে পালিয়ে যান। এ সুযোগে বিদ্রোহী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৮২ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব বিদ্রোহীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের অধিক বলে জানা যায়।
সূত্র মতে, বিদ্রোহী এ গোষ্ঠী খাদ্য ও রসদ জোগাতে নাইক্ষ্যংছড়ির স্থল সীমান্ত দিয়ে মাদকসহ সব ধরনের চোরাকারবার থেকে চাঁদা সংগ্রহ শুরু করে । যা গত ২ বছর ধরে চলছে। দিনদিন তা আরো বাড়ছে। ফলে বিজিবি চোরাকারবার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে।

অপর সূত্র মতে, বিদ্রোহীদের বিশাল বাহিনীর জন্য জন্য সব ধরনের খাদ্য-রসদ সংগ্রহে এখন একমাত্র ভরসা বাংলাদেশ ও চীনের স্থল বা সাগর পথ।
এ পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সীমান্তে যে কোন ধরনের চলাচল, রোহিঙ্গা পারাপার ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবিকে কঠোর থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়। ফলে তারা কঠোর অবস্থান নেয় সীমান্তে।
যার ফলশ্রুতিতে ৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নাইক্ষংছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেও তা ঠেকিয়ে দেয় বিজিবি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানান, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর থেকে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি প্রথমবারের মত চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে টহলে সংযোজন করে বুলেটপ্রুফ গাড়ি।

এ বিষয়ে জোন কমান্ডার ও ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল মো: সাহল আহমেদ নোবেল এ প্রতিবেদককে বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। সে কারণে নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কে সংযোজন করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি। যাতে  সব ধরনের অপকর্ম ও হাতির হামলা ঠেকানো যায়।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর