মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে আসা পশুতেই বসে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের একমাত্র গরু-মহিষের হাট চাকঢালা বাজার । সপ্তাহে ২ দিন এ হাট বসে।
তথ্য মতে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারে স্থল সীমান্তের ৪৪ নং পিলার থেকে ৫০ নং পিলার পর্যন্ত দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে বসে পশুর হাট। এটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়া চোরাকারবারীরা নিরাপদ ও অধিক সুবিধার এ বাজার কেন্দ্রিক চোরাকারবার চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ( ৯ অক্টোবর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিজিবির টহল থাকায় দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত চাকঢালা পশুর হাট বসেনি। তবে বিজিবির জওয়ানরা দুপুরে খেতে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চতুর্দিক থেকে প্রায় শ’খানেক মিয়ানমারের পশু হাটে তোলা হয়।
যার মধ্যে শুধু মেহেরপুর সড়ক দিয়ে আসে অর্ধশত মহিষ। অন্যান্য সড়ক দিয়ে আসে বাকি অর্ধশত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে পশুসহ ইয়াবা টেবলেট, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, আইস ও সিগরেটসহ নানা পণ্য প্রবেশ করে বাংলাদেশে। আর এদেশ থেকে সার, তেল, মুরগি, ডিম মাছ, চাল, ওষুধ, পলথিন ও কীটনাশকসহ শতাধিক পণ্য মিয়ানমারে পাচার হয়।
এসব চোরাচালানে জড়িত স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, পশু ও মালামাল চোরাচালানে সড়ক ব্যবহৃত হচ্ছে মেহেরপুর সড়ক, হামিদিয়া পাড়া সড়ক, দক্ষিণ মৌলভীরকাটা সড়ক, নিকুছড়ি টু সোনাইছড়ি সড়ক, ছালামী পাড়া শাহ আলমের দোকানের পাশ হয়ে লাইটে গোড়া সড়ক, আলী মেম্বার-অইক্যের ঘোনা সড়ক হয়ে লাইটে গোড়া সড়ক, মৌলভীকাট রাবার ড্যাম-ভামো ও শামশুর ঘোনা হয়ে ছালামীপাড়া খামারপাড়া অংকপাড়া হয়ে লাইটের গোড়া সড়ক।
স্থানীয় এক স্কুল ছাত্র প্রতিবেদককে জানান,
আগে বিজিবি টহল বেশী ছিল, এখন কম। রাত যত গভীর হয় চোরাকারবার তত বাড়ে।
চাকঢালা বাজার ব্যবসায়ী শামশুর আলম, ছৈয়দ আলম ও ছব্বির আহমদ বলেন, চাকঢালা বাজারের রশিদেই সব অবৈধ পশু ও পণ্যের বৈধ লেনদেন হচ্ছে। মিয়ানমার কেন্দ্রিক স্বশস্ত্র ২ টি গোষ্ঠী
নিজেদের খাদ্যের জোগান দিতে চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাহল আহমেদ নোবেলকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কয়েকদিন আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি জানান, চোরাকারবার ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। অভিযান চলছে, তবে তা আরো জোরদার করা হবে।
এনইউ/জই