মীরসরাইয়ে গণপিটুনিতে সাহেরখীল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. রফিকের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। রফিক সাহেরখালী ইউনিয়নের কাজীর তালুক এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি সাহেরখালী ইউনিয়নেরর সাবেক ইউপি সদস্যও ছিলেন। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চলে এস কিউ নামের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির নির্মাণাধীণ একটি কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কারখানা কর্মকর্তা ও স্হানীয় লোকজন জানান এ কারখানায় গত কয়েকমাসে ডাকাতি হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের বেঁধে,মারধোর করে ৮০ লাখ টাকার ক্যাবল নিয়ে যায় ডাকাতরা।এতে এখানে একটা ডাকাত আতংক আছে।
অন্যদিকে স্হানীয় বিএনপির লোকজন জানান নিহত রফিকের সাথে মাছের প্রকল্প নিয়ে একটি মহলের বিরোধ ছিল। প্রকল্প এলাকা থেকে ফেরার পথে এস কিউ কারখানা এলাকায় এলে রফিক ডাকাত -এ গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যা করে। অনেকে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন।
মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সিফাত সুলতানা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় মো. রফিক নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনার পর রোববার দুপুরে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন মীরসরাই সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল মামুন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর আমিন।
এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহত রফিক সাহেরখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, তাকে গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
অমি/এমএ/জই