শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনি অংশে বড় বড় গর্ত: ৮৭ কিলোমিটার যানজট

ডেস্ক নিউজ

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর দিয়ে তিনদিন পানির স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় সড়কের অধিকাংশ স্থান বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এতে কোথাও যানবাহন ধীরে চলছে, কোথাও যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত বুধবার রাত থেকে ফেনীর লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় খরস্রোতা পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়ে।

গতকাল রোববার বিকেলে লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও চট্টগ্রাম লেনের স্থানটি দেবে যায়। পরে সন্ধ্যা থেকে উল্টো লেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে।

মহাসড়কের কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কে এ অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব গর্তে পড়ে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে ফেনী লেমুয়া ব্রিজ পর্যন্ত দুই লেনেই প্রায় ৮৭ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

যানজটে আটকে আছে বন্যার ত্রাণবাহী গাড়িও। এতে সৃস্টি হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।সকালের যাত্রী পরদিন বিকেল,বিকেলের যাত্রী পরদিন রাত পর্যন্ত পথেই কাটাচ্ছে।১৪/ ১৫ ঘন্টা আটকে আছে যানবাহন।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম জানান মহাসড়কের ফেনী লালপুল ও লেমুয়া ব্রিজ এলাকায় দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে করে সড়কের উভয় পাশে কয়েক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। সড়কে পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে অনেক জায়গা দেবে গেছে এবং কুমিল্লার অংশে অনেক জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার বিকেল থেকে সড়কের ফেনী অংশ থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পুলিশের সহায়তায় যান চলাচল শুরু করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে দেবে যাওয়া স্থান এবং গর্তগুলো মেরামতের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া সড়কে নতুন করে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

এমএ/ জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর