জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পরাজিত হয়েছেন কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আলম।
মঙ্গলবার (২১ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ-২৪ এর ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর কাছে ৪৮৭০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চকরিয়া উপজেলার ১১৪টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬১ হাজার ১০৩ জন।
এরমধ্যে বিজয়ী ফজলুল করিম সাঈদীর ভোট পেয়েছেন ৫৭১২২ ভোট এবং পরাজিত প্রার্থী জাফর আলম ভোট পেয়েছেন ৫২২৫২ ভোট।
২য় ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজারের ৩ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব, চকরিয়া উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছে ফজলুল করিম সাঈদী ও পেকুয়া উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন শাফায়েত আজিজ রাজু।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে কক্সবাজার-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাফর আলম।
এমপি হওয়ার পর জাফর আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ উঠে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া তার হলফনামা থেকে জানা যায়, জাফর আলমের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা শাহেদা বেগমের নামে ৬১৯ শতক জমি রয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫০১ টাকা। রয়েছে ১৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ৩০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র।
সব মিলিয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭১ হাজার ২৫৪ টাকা। সম্পদের হিসাব আলোচনায় এলে জাফর আলম, তার স্ত্রী, পুত্র ও মেয়ের অর্জিত সম্পত্তির তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এসব আলোচনা সমালোচনার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন জাফর আলম। তবে বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি উপজেলা নির্বাচনেও জিততে পারেননি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
চচ/টিএ/আরপি