হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে পারেননি লঙ্কান বোলার মাহিশ থিকশানা। ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো কিউইরা।
দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে থিকশানার; শ্রীলঙ্কার সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। তিনবার এই স্বাদ পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা, দুইবার চামিন্দা ভাস।
থিকশানার আগে দেশটির সবশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন দিলশান মাদুশাঙ্কা, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন তার কীর্তি গড়া বোলিং ছাপিয়েই রাচিন রাভিন্দ্রা ও মার্ক চ্যাপম্যানের ফিফটিতে লড়ার মতো পুঁজি গড়ল নিউ জিল্যান্ড। পরে সম্মিলিত চেষ্টায় চমৎকার বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে দেড়শর আগে গুটিয়ে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিকরা।
হ্যামিল্টনে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৩ রানে জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। ৩৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৫৫ রান করে তারা। পরে লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দেয় স্রেফ ১৪২ রানে।
নিউ জিল্যান্ডকে আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৭৯ রান করেন রাভিন্দ্রা। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৬২ রান করেন চ্যাপম্যান।
লঙ্কানদের ইনিংসে একমাত্র ফিফটি কামিন্দু মেন্ডিসের, ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৪। আর কেউ ২৫ রানও করতে পারেননি।
সেডন পার্কে এদিন বৃষ্টির কারণে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইল ইয়াংকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। পরে রাভিন্দ্রা ও চ্যাপম্যানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দুইজনে গড়েন ১১২ রানের জুটি।
৪৪ বলে ফিফটি করা চ্যাপম্যান বেশিদূর যেতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া যুগলবন্দি ভাঙেন থিকশানা। ৪৩ বলে ফিফটি করে ইনিংস আরেকটু টেনে নেন রাভিন্দ্রা। তার দারুণ ইনিংসটি থামে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে চারিথ আসালাঙ্কার দারুণ ক্যাচে।
পরে ড্যারিল মিচেলের ৩৮ বলে ৩৮, গ্লেন ফিলিপসের ২৬ বলে ২২ এবং মিচেল স্যান্টনারের ১৫ বলে ২০ রানের ইনিংসে আড়াইশ ছাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের রান।
প্রথম ইনিংসের শেষ দিকে দুই ওভার মিলিয়ে হ্যাটট্রিক করেন থিকশানা। ৩৫তম ওভারে শেষ দুই বলে স্যান্টনার ও ন্যাথান স্মিথকে ফিরিয়ে দেন এই রহস্য স্পিনার। পরে ৩৭ ওভারের প্রথম বলে ম্যাট হেনরিকে বিদায় করে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।
রান তাড়ায় লঙ্কানদের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। হেনরি, ডাফিদের বোলিংয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় তারা। জানিথ লিয়ানাগে ও কামিন্দু হাল ধরার চেষ্টা করেন। লিয়ানাগেকে ফিরিয়ে ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন স্মিথ।
পরের ব্যাটসম্যানরা পারেননি দলকে টানতে। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কামিন্দু। ৫৮ বলে ফিফটি করে তিনিও পারেননি ইনিংস বেশি বড় করতে। তাতে বড় পরাজয়ের তেতো স্বাদ পায় লঙ্কানরা। আগামী শনিবার অকল্যান্ডে মাঠে গড়াবে তৃতীয় ওয়ানডে।
এনইউ/জই