বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশতম আসর বসছে কাল। এই উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাজ সাজ রব। স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুম থেকে শুরু করো মিডিয়া সেন্টার পর্যন্ত সব জায়গায় শেষবারের মত ফিনিশিং দিতে দেখা যায় কর্মীদের। বাউন্ডারি লাইন থেকে গ্যালারি পর্যন্ত বাসানো স্ক্রিনগুলোও শেষবারের মত লাইন চেক নেন টেকনেশিয়ানরা।
তবে টিকেট সংগ্রহের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় দিনের শুরুতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেও পরে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, অনলাইনে বিসিবির ওয়েবসাইট ও মধুমতি ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু ব্রাঞ্চ থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। অবশ্যই এর জন্য বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম দুঃখ প্রকাশ করেন।
তবে ক্রিকেটারদের ওপর এসবের প্রভাব পড়েনি। বিসিবি একাডেমি মাঠে দলগুলো অনুশীলন চালিয়ে গেছে নির্বিঘ্নেই। সংবাদ সম্মেলন কক্ষও আজ দেখেছে ব্যস্ত এক দিন। একে একে হয়েছে সাত দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। কোনো দলের হয়ে কথা বলতে এসেছিলেন অধিনায়ক আবার কোনো দলের কোচ।
কাল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল আর নবাগত দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বিপিএলের এবারের আসর। দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ম্যাচটি। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আরেক নবাগত দল ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।
তবে ক্রিকেট প্রেমীদের দৃষ্টিতে এবার অনেকটা শক্তিশালী দল মনে হচ্ছে বরিশালকে। এদলে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, তাওহিদ হৃদয়ের মতো জাতীয় দলের তারকাদের সাথে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নবীদের মতো বিদেশী তারকাও। অন্যদিকে নতুন দল দুর্বার রাজশাহীতে স্কোয়াড গড়েছে স্থানীয়দের প্রাধান্য দিয়েই। এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদ, জিশান আলমদের সাথে আছেন শফিউল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ নামও। অত নামডাকওয়ালা বিদেশি কেউ নেই। তবে রায়ান বার্ল, লাহিরু সামারাকুন আছেন বিদেশি কোটায়। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস, সাদ নাসিমদেরও বিপিএলে খেলার কথা দলটির হয়ে।
এবারের বিপিএলে খেলবে মোট ৭ দল। টুর্নামেন্টে ৪৬ ম্যাচ খেলা হবে ডাবল রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে। প্রথম পর্বে প্রতি দল বাকি ছয় দলের প্রতিটির বিপক্ষে খেলবে দুটি করে ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল নিয়ে হবে প্লে-অফ। প্লে-অফে হবে মোট তিন ম্যাচ; কোয়ালিফায়ার-১, এলিমিনেটর- ও কোয়ালিফায়ার ২।
পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ দল খেলবে এলিমিনেটরে। হেরে যাওয়া দল বাদ পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে। জয়ী দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে বিজিত দলের। সেই ম্যাচে জয়ী দল পাবে ফাইনালের টিকেট। থাকছে না কোনো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আগামী ০৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের।
এদিকে কনসার্ট আয়োজন ও ম্যাচের সিডিউল থাকলেও প্রয়োজনীয় প্রচারণার অভাবে চট্টগ্রামে এবার বিপিএল তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। চট্টগ্রামের ক্রিকেট প্রেমীরা দাবি করেছেন, এখানকার ফেস্ট ছিল দায়সারা। দেখে মনে হয়েছে কর্তৃপক্ষের তেমন আন্তরিকতা ছিল না।
এনইউ/জই