সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামেন টাইগাররা। এমন ম্যাচে বেধড়ক মার খেতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের। সেইসঙ্গে পাহাড়সম রানের টার্গেট দেয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ভারত। স্যাঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ২৯৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রায় ৩শ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করতে পারেন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। ফলে ভারত ১৩৩ রানের বিশাল জয় পায়, সেই সাথে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজও জিতে নেয়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্যামসন। তবে দলীয় ২৩ রানে ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন অভিষেক।
এরপর ক্রিজে আসা সূর্যকুমারকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন স্যামসন। চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটাতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন স্যামসন।
মারমুখী ব্যাটংয়ে ফিফটি তুলে নেন সূর্যকুমারও। এরপর ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। ৪০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন। সূর্যকুমার ও স্যাঞ্জু স্যামসন মিলে ১৭৩ রানের জুটি গড়েন।
এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় ভারত। স্যামসন ৪৭ বলে ১১১ ও সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে এসে তাণ্ডব চালান হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ। একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকাতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।
দলীয় ২৭৬ রানে আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ৩৪ রান করেন পরাগ। এছাড়া ১৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন হার্দিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই পারভেজ হোসেনকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ টেকেননি আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনও। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় গড়েন ৫৩ রানের জুটি। লিটন ২৫ বলে ৪২ রান করে ফেরার পর ম্যাচের শেষ পর্যন্ত এক প্রান্তে টিকেছিলেন হৃদয়। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে অপরাজিত থেকেছেন ৪২ বলে ৬৩ রানে।
তবে প্রায় তিন শ রান সামনে রেখে ব্যাট করা দলের জন্য এ রান যথেষ্ট হয়নি একদমই। উপরন্তু শেষ দশ ওভারের মধ্যে ব্যাট করতে নামা তিন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন রানের চেয়ে বল বেশি খেলে। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহ ৮ রান করতে খেলেন ৯ বল, মেহেদী হাসান ৯ বলে করেন ৩ রান, আর ৪ বল খেলে রানই করতে পারেননি রিশাদ হোসেন। ফলে রানের হিসাবে টি-টোয়ানৃটিতে রেকর্ড হার হয়েছে বাংলাদেশের।
এনইউ/জই