জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস জানার মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত মিথ্যা ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করা সম্ভব হবে। এজন্য জ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই।
গাদীরে খুম দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে “আঞ্জুমানে আশেকানে আহলে বাইতে রাসূল (সা.)” এর উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তার আগে বাদে আছর আছর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ হতে র্যালি দামপাড়া পুলিশ লাইন সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিইসি কনভেনশন হলে পৌঁছায়। আলোচনা সভা পরবর্তী সেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ গোলাম মোরশেদ মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ শাহাদাত উদ্দিন মাইজভান্ডারী।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যপক ড. মোহাম্মদ আহসানুল হাদী। উদ্বোধনী আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরতুল আল্লামা সৈয়দ তানবীরহাদী মাইজভান্ডারী। মাইজভান্ডারী দরবার শরীফ থেকে সম্মানিত আওলাদে পাকগণের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ নুর হোছাইন মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আতিকুল ইসলাম মাইজভান্ডারী, সৈয়দ ইমরান আহমেদ মাইজভান্ডারী, সৈয়দ রাজিবুল হাসান মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজিবউল্লাহ মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নাঈম রহমান মাইজভান্ডারী। বিশেষ আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বাকী বিল্লাহ আজহারী, আল্লামা সৈয়দ মূফতী আসহাব উদ্দীন, মাওলানা সৈয়দ হামিদ হাসান ফারুকী ফাহিম। এছাড়া দেশবরেণ্য আলেম উলামা ও শিক্ষাবিদগন উক্ত অনুষ্ঠানেউপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন রসূল (সা.) এর রেখে যাওয়া দুইটি ভারী জিনিস, আমাদেরকে আকড়ে ধরতে হবে যার একটি আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি আহলে বাইত। আহলে বাইত-ই নাজাতের তরী। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত সৈয়দ ইকবাল ফজল মাইজভান্ডারী।
চাটগাঁর চোখ