চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ (৩৮) ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বাদী বিএনপি নেতা ফিরোজ খানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, দলের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ফিরোজ খানকে অব্যাহতি দিয়েছে দল।
তবে এই বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি দেয়ার নেপথ্যে কী- সেটাই এখন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে নগরের কোতোয়ালী থানায় ফিরোজ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ (৩৮), কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে (৩৮), তুষার চক্রবর্তী (২৮), মিথুন দে (৩৫), রূপণ ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮), হৃদয় দাস (২৫)। এর মধ্যে রাজেশ ও হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওই দিন নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়।
এদিকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে শুক্রবার ৬৪ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল।
এনইউ/জই