চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,ক্যান্সার রোগীর আধুনিক চিকিৎসায় মা ও শিশু হাসপাতাল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
দীর্ঘদিন যাবত চট্টগ্রামের মানুষ ক্যান্সার রোগী নিয়ে ভোগান্তিতে ভুগছিল। কোন রোগির ক্যান্সার ধরা পড়লে তাকে চট্টগ্রাম এর বাইরে ঢাকা অথবা বিদেশে নিয়ে যেতে হতো।
কিন্তু এখন চট্টগ্রামবাসী ক্যান্সার রোগী নিয়ে দুর্দশায় আর ভুক্তে হবে না। মা ও শিশু হাসপাতালের অত্যাধুনিক ক্যান্সার ইউনিটে চট্টগ্রামসহ দক্ষিণ অঞ্চলের সমস্ত ক্যান্সার রোগী সুচিকিৎসা পাবে। আমরা আশা করি অভিজ্ঞ ডক্টররা ক্যান্সার রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দিয়ে যাবে। যা একটি চট্টগ্রামের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
মা ও শিশু হাসপাতালের এই ক্যান্সার ইউনিট প্রতিষ্ঠার পিছনে যারা আছেন, বোর্ড মেম্বার থেকে শুরু করে সকলকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আপনাদের সফলতা কামনা করছি।
তিনি আজ ৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার, দুপুরে, মা ও শিশু হাসপাতালের ক্যান্সার ইউনিট পরিদর্শন শেষে পরিচালনা পর্ষদের সাথে মত বিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,বিএনপির আমলে মা ও শিশু হাসপাতালের এই জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময় ২০০৫ সালে ৪ দশমিক ৬ একর জায়গা মাত্র ১ লক্ষ টাকায় মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য জায়গাটি বরাদ্দ দিয়েছিলেন।
শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত এই চট্টগ্রামকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভালোবাসতেন। তাই তিনি এই চট্টগ্রামের মানুষের চিকিৎসার জন্য শুধু মা ও শিশু হাসপাতাল জায়গা ছাড়াও অনেক উন্নয়ন করে করেছেন।বিএনপি জনগণের দল।
জনগণের কল্যাণে বিএনপি কাজ করা যায়। আগামীতেও বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মা ও শিশু হাসপাতালের অবশিষ্ট উন্নয়নের কাজ অব্যাহত থাকবে ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মা ও শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মোরশেদ হোসেন,জেনারেল সেক্রেটারি ডা.রেজাউল করিম আজাদ,পরিচালক নুরুল হক, উপ-পরিচালক ডা:আশরাফুল করিম, ডা:মীর ওয়াজেদ আলী,ডা:মাঈনুদ্দিন ইলিয়াস ডা:শেফাতুজ্জাহান, ডা. কামরুন নাহার দস্তগির, ডা.সরওয়ার আলম, আজীবন সদস্যবৃন্দ -মোহাম্মদ সেকান্দর,হুমায়ুন কবির সোহেল, আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ মুছা,তারিকুল ইসলাম তানভীর, মোহাম্মদ শাহাজাহান, হাজী হোসেন,শাহ আলম, মোহাম্মদ এছাক, সুমন, এস্কান্দার, বজল, রুবেল, জুয়েল, আক্তার, মোহন প্রমুখ ।
প্রেস রিলিজ