সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গবেষণায় মানুষের আগে ইঁদুর কেন?

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা ল্যাবে কোনো পরীক্ষার জন্য প্রথমে ইঁদুরের উপর গবেষণা করেন, তারপরে তা মানুষের উপর প্রয়োগ করেন। এর পেছনে কোন কারণ?

আমরা প্রায়ই সিনেমা বা চলচ্চিত্রে দেখি, যখন কোনও বিজ্ঞানী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও ওষুধ বা থেরাপি পরীক্ষা করেন, প্রথমে ইঁদুরের উপর তা প্রয়োগ করেন। এটি শুধু সিনেমার গল্প নয়, বাস্তব জীবনেও এটি ঘটে। বিজ্ঞানীরা ল্যাবে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো গবেষণা আগে ইঁদুরের উপরই করেন। কেন এটি করা হয়?

মানুষের উপর গবেষণা চালানোর আগে এটি প্রথমে ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। যদিও বাহ্যিকভাবে মানুষ এবং ইঁদুর একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, জৈবিকভাবেও মানুষের সঙ্গে ইঁদুরের অনেক মিল নেই। তবে একটি বিষয় উভয়ের মধ্যে মিল এনে দেয়, তা হলো তাদের ডিএনএ।

এবিসি ১০ ওয়েবসাইট অনুসারে, আমেরিকার ফাউন্ডেশন ফর বায়োমেডিকাল রিসার্চের মতে, মানুষ এবং ল্যাব ইঁদুর জেনেটিক দিক থেকে একে অপরের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ।

এফবিআরের মতে, ৯৫ শতাংশ ল্যাবের প্রাণী, বিশেষত ইঁদুর গবেষণার জন্যই জন্মানো হয়। বেশিরভাগ ল্যাব ইঁদুর যারা মেডিকেল ট্রায়ালে ব্যবহৃত হয়, তারা ইনব্রিড হয়ে থাকে, যা মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফলকে ধারাবাহিক করে।

তাদের ব্যবহার করা হয় কারণ জেনেটিক, জৈবিক এবং আচরণগত দিক থেকে তারা অনেকাংশে মানুষের মতো। মানুষের নানা শারীরিক সমস্যার লক্ষণ ইঁদুরের উপরেও দেখা যায়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইঁদুর ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই যা দিয়ে ল্যাব পরীক্ষাগুলো সঠিকভাবে করা সম্ভব।

কম্পিউটার মডেল, সেল কালচার এবং অন্যান্য গবেষণা পদ্ধতি প্রাণীর ব্যবহারের প্রয়োজন কমায়, তবে এটি পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে না।

এটি মনে করা হয় যে, ইঁদুরের উপর পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রভাব ফেলে, এই কারণেই তাদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। এছাড়াও, ইঁদুরের রক্ষণাবেক্ষণ সহজ, এজন্য বিজ্ঞানীরা তাদেরকেই বেছে নেন।

এনইউ/জই

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর