শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মাঠে বিএনপির ৫৪ সম্ভাব্য প্রার্থী

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে অনেক আগেই। অরপদিকে বসে নেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে অনেক আগেই। অরপদিকে বসে নেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও।

নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে এবার বিএনপিকে বেশ বেগ পেতে হবে। এ আসনের শক্তিশালী প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ইন্তেকালের পর একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় পয়েছেন তার দুই সন্তানও।

অপরদিকে বিএনপির আরেক জানান দিতে ৫৪ সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে ময়দানে দলীয় শক্তিশালী প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুর কর্মসূচি ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। এ দুই সিনিয়র নেতা স্ব-স্ব আসনে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। সেখানে পর তার পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও আবদুল্লাহ অন্য কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। তবে আল নোমানের মৃত্যুর পর পুত্র সাঈদ আল নোমানও মাঠে রয়েছেন।

প্রার্থীদের মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে দুইটি আসনে। সব মিলে প্রার্থী বাছাইয়ে বিএনপিকে সংসদ নির্বাচনের আগেই বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে- এমনটি মনে করেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল আমিন চেয়ারম্যান। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আরো রয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ক্লিপটন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমডি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বড়তাকিয়া গ্রুপের কর্ণধার মনিরুল ইসলাম ইউসুফ।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : এ আসনে সাবেক মনোনয়ন প্রত্যাশী পিজিআর প্রধান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আরো রয়েছেন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছালাউদ্দিন ও সরোয়ার আলক্ষ্মীর। এ আসনে গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর কারণে পরিবারের কাউকে প্রার্থী করতে পারে দলটি।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুল রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বিশেষ সহকারী তরিকুল আলম তেনজিন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তকিউল আলম এবং উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : এ আসনের বিএনপির একক প্রার্থী দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) : এ আসনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : এ আসনে নাম শোনা যাচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহৰ য়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত।

চট্টগ্রাম – ৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ আংশিক) : এ আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) : এ আসনে চসিক মেয়রও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএন- পির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র সাঈদ আল নোমান।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) : এ আসনে একক প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ এবং চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মামুন মিয়া এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ আলী আব্বস।
চট্টগ্রাম ১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) : চসিক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম এবং ২০০৮ সালের বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী।

চট্টগ্রাম- ১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) : এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বয়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী।


পানির জন্য ওয়াসা ভবন ঘেরাও

নগরের উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের দাবিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নগরের উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহের দাবিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনের নিচে জড়ো হন ধনিয়ালাপাড়া, সুপারি- ওয়ালাপাড়া, পোস্তারপাড়, দেওয়ানহাট, মতিয়ারপোলসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। অবস্থান কর্মসূচির পর ওয়াসার কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী চট্টগ্রাম ওয়াসা গ্রাহক কল্যাণ কমিটির পক্ষে স্মারকলিপি দেন মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের ওয়ার্ডের পানির সমস্যা একদিনের নয়। আমরা আগে পানি পেতাম কলেজিয়েট স্কুল এলাকার ওয়াসার ডি- পটিউবওয়েল থেকে প্রায় এক বছর ধরে আন্দোলন করে আমরা জাইকার সরবরাহ লাইনে সংযুক্ত হই। কিন্তু সেই পাইপলাইনের ব্যাসের পুরোটুকুও পানি দেওয়া হয় না। এ কারণে আমাদের ওয়ার্ডে পানির সংকট সারা বছর ধরে লেগে থাকে।

তিনি বলেন, ওয়াসার কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন গত শনিবার সাগরিকায় যে পাইপ লাইন কাটা পড়েছে সেজন্য পানি সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থায় তারা রাতে আমাদের এলাকায় কিছু পানি দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে আমাদের যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, সেটার বিষয়ে কোনো সদুত্তর তারা দিতে পারেননি। তারা আমাদের মদুনাঘাট এলাকায় পানিতে লবণাক্ততা ও এ কারণে কম পরিশোধনের অজুহাত দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ঠিকাদারের ভুলের কারণে সাগরিকায় সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খননযন্ত্রের আঘাতে পাইপ ফুটো হয়। এতে হালিশহরের জলাধারটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মেরামতের কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।

এর আগে গত রোববার চট্টগ্রাম ওয়াসা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত শনিবার রাতে ‘চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের কাজ করার সময় সাগরিকা মোড়ে ওয়াসার ৪৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন ফুটো হয়ে যায়।

ঠিকাদারের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের কাজ করছিল পাওয়া গ্রিড বাংলাদেশ লিমিটেড। পাইপ লাইন ফুটো হওয়ায় কারের আগ্রাবাদ, পশ্চিম মাদারবাড়ী, হালিশহর, বড়গোল, ছোটগোল, ব্যাপারীপাড়া, গোসাই- লডাঙ্গা, পানওয়ালাপাড়া, পোস্তারপাড়, ধনিয়ালাপাড়া, কদমতলী, হাজীপাড়া, শান্তিবাগ, মুহুরীপাড়া, পাহাড়তলী, ঈদগাহ, দেওয়ানহাটসহ সংলগ্ন এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই সব এলাকায় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।


নন্দনকাননে গ্যাসের বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন এলাকার একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ নারী নাসরিন আকতার (৩২) মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন এলাকার একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ নারী নাসরিন আকতার (৩২) মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার রাত ১০টার দিকে নন্দনকাননের ৩ নম্বর হোসেন মঞ্জিল গলির উকিল বাবুর ভবনে রান্নার চুলায় আগুন জ্বালানোর সময় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে নাসরিন ও তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল তায়িফ (৩) আহত হন।

আগুনে নাসরিনের শরীরের ৯০ শতাংশ ও তায়িফের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাসরিনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রবিউল আলম।

তবে শিশু তায়িফ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।


দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতিতে চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

ম্যাটস ও ডিএমএফ ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ম্যাটস ও ডিএমএফ ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের কাছে ৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন তারা।

এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বেসরকারি ৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এরমধ্যে ছিল চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ, আইএএইচএস মেডিকেল কলেজ, সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ এবং মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি গ্রহণ করে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করেন। একইসঙ্গে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার আশ্বাসও দেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে।

২০১০ সাল থেকে সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর