শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজান সমাগত সর্বত্র প্রস্তুতি

পবিত্র রমজান মাস আসন্ন, আর এ উপলক্ষে চট্টগ্রামজুড়ে চলছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা। বাজার থেকে শুরু করে মসজিদ, দোকানপাট, বাসাবাড়িসহ সবখানেই লেগেছে মাহে রমজানের ছোঁয়া। তবে রমজানের আগে থেকেই পানির সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও গ্যাসের কম চাপ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কপালে ভাঁজ রয়েছে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

পবিত্র রমজান মাস আসন্ন, আর এ উপলক্ষে চট্টগ্রামজুড়ে চলছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা। বাজার থেকে শুরু করে মসজিদ, দোকানপাট, বাসাবাড়িসহ সবখানেই লেগেছে মাহে রমজানের ছোঁয়া। তবে রমজানের আগে থেকেই পানির সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও গ্যাসের কম চাপ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কপালে ভাঁজ রয়েছে। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা আশ্বস্ত করেছেন রমজানে সবকিছু স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

রমজানকে সামনে রেখে নগরীর কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকান পর্যন্ত সর্বত্রই কেনাকাটার ধুম লেগেছে। পরিলক্ষিত হয়েছে প্রচুর ভীড়।

রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী মার্কেটসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ছোলা, খেজুর, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও অন্যান্য ইফতার সামগ্রীর কেনাকাটা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলেও দাম কিছুটা বেড়েছে। ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ে কারসাজির
অভিযোগ রয়েছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমদ বলেছেন, রমজান সামনে রেখে প্রতিদিন ক্রেতা বাড়ছে। কিছু পণ্যের দাম আগেই বাড়তি ছিল।

রোজা উপলক্ষ্যেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা জানান, খেজুরের চাহিদা বেশি, বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইরান থেকে আমদানিকৃত খেজুরের বিক্রি ভালো চলছে।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে। চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার, আন্দরকিল্লা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বন্দরসহ প্রতিটি এলাকাতেই ইফতার বিক্রির নতুন নতুন পয়েন্ট তৈরি হচ্ছে।

বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ, শামি কাবাব, জিলাপি, হালিম এবং বিভিন্ন ধরনের ইফতারির দোকান তৈরি ও সাজানো শুরু হয়েছে। নগরীর অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁগুলোও নিয়েছে ইফতার উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি।

চকবাজারের ইফতার বিক্রেতা মোহাম্মদ জামসেদ উদ্দিন বলেন, রমজান আসলে আমাদের ব্যবসা জমে ওঠে আমরা নতুন করে দোকান সাজাচ্ছি, আগেভাগেই কিছু প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে প্রথম রোজা থেকেই বিক্রি ভালো হয়।

ঠিকঠাকভাবে সবকিছুর প্রস্তুতি নেয়া হলেও পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। রমজান মাসে পানির চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পায়। গরমও শুরু হয়েছে। এতে করে পানির চাহিদার ঠিকঠাক যোগান নিয়েও শংকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এই শংকাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ না থাকলে পানির উৎপাদন ব্যাহত হবে। সেইসাথে সরবরাহও করা যাবে না। অধিকাংশ স্থানেই মোটর চালিয়ে পানি নিতে হয়। বিদ্যুতের অভাবে যা ব্যাহত হবে।

উদ্বেগ রয়েছে গ্যাস নিয়েও। চট্টগ্রাম পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর। আমদানিকৃত এলএনজি প্রবাহ ঠিকঠাক না থাকলে গ্যাসের যোগান ও চাপ ব্যাহত হবে। যা বিদ্যুৎ এবং পানির যোগানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অবশ্য নগরবাসীর শংকা নাকচ করে দিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, রমজান উপলক্ষ্যে আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুতি রয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না।

চট্টগ্রাম ওয়াসার একজন কর্মকর্তা জানান, রমজানে পানির চাহিদা বাড়বে, তবে আমরা উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। সরবরাহ লাইনে কিছু সমস্যা থাকায় কয়েকদিন কয়েকটি এলাকায় একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্যাসনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন হচ্ছে না বললেই চলে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও উৎপাদন কমেছে।

আমাদেরকে কিছুটা লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। তবে রমজানে ইফতার, তারাবি এবং সেহেরিতে যাতে বিদ্যুতের কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানান, সকালে ও সন্ধ্যায় গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে অনেক এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। রমজানে এ সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে আমরা মনযোগী থাকবো।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদে তারাবির জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জমিয়তুল ফালাহ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, বায়তুশ শরফ, চন্দনপুরা মসজিদ, কাতালগঞ্জ মসজিদ, চকবাজার মসজিদ, নাসিরাবাদ শাহী জামে মসজিদ, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদসহ নগরীর বড় ছোট সকল মসজিদে তারাবির নামাজের বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শুধু মসজিদেই নয়, বিভিন্ন মার্কেট এবং বাসাবাড়ির ভবন কেন্দ্রিক তারাবির নামাজ আয়োজনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হচ্ছে।

একইসাথে নেয়া হচ্ছে মসজিদ কেন্দ্রিক ইফতার প্রস্তুতিও। রমজানে দিনভর সামাল দেয়া হলেও আছর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত সময়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লেগে থাকে। এই পরিস্থিতির উত্তরণে ট্রাফিক বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

রমজানকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ বাজার-সদাই সম্পন্ন করেছে। কেউ কেউ পুরো মাসের বাজার সদাই করে নিলেও অনেকেই দু’চারদিনের প্রয়োজনীয় বাজার সদাই করে ঘরে নিচ্ছেন। বাজার সদাই যাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নামাজ রোজাসহ ইবাদত বন্দেগী যাতে করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


কোটায় বরাদ্দ নিয়েই দখল গৃহায়ণের ফ্ল্যাট!

আবেদন করেই ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই সংর- ক্ষিত কোটায় নগরীর হালিশহর হাউজিং এসেস্টটে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান সগীর আহমেদ রানা। বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই ফ্ল্যাটটি বুঝেও নেন তিনি। তবে তাকে দিতে হয়নি কোন অর্থই! খোদ গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী প্রকৌশলী শামসুল আলমের যোগসাজশে দখল নেন ফ্ল্যাটটি। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

আবেদন করেই ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই সংর- ক্ষিত কোটায় নগরীর হালিশহর হাউজিং এসেস্টটে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান সগীর আহমেদ রানা। বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই ফ্ল্যাটটি বুঝেও নেন তিনি। তবে তাকে দিতে হয়নি কোন অর্থই!

খোদ গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী প্রকৌশলী শামসুল আলমের যোগসাজশে দখল নেন ফ্ল্যাটটি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার কথা ছিল বরাদ্দের অর্থ।

শুধু তাই নয়, গত এক দশকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হওয়ার কথা ছিল ভাড়ার ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা। কিন্তু সেটিও জমা দেননি দখলদার।

বরং প্রভাবশালী প্রকৌশলী ও দখলদার রানা যোগ- সাজসে প্রায় এক দশক ধরে দখলে রাখা হয়েছে সেই ফ্ল্যাটটি। যদিও শেষ পর্যন্ত গৃহায়ণের সেই প্রকৌশলীসহ দখলদারকে আটকাতে হয়েছে দুদকের জালে।

গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচ্য দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ কতৃ ‘পক্ষ চট্টগ্রাম ও রাজশাহী সার্কেলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম ও হাজি সগীর আহমেদ রানা (৪৬)।

দুদক জানায়, ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল হালিশহর হাউজিং এস্টেটের জি ব্লকের ১০৮ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের অবরাদ্দকৃত ৪ টি ফ্ল্যাটের ১২২৪ বর্গফুট (ফ্ল্যাট নং-২সি/১) ফ্ল্যাট নিজ নামে বরাদ্দ দিতে আবেদন করেন সঙ্গীর আহমেদ রানা।

পরে ২০১৫ সালের ২ জুলাই ২/ সি-১ নং ফ্ল্যাটটি সংরক্ষিত কোটায় রানার নামে বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আসামি শামসুল আলম বরাদ্দপত্র প্রদান করেন। ফ্ল্যাটটি প্রদানের বিপরীতে প্রকৌশলী শামসুল আলম বরাদ্দপত্রের শর্ত না মেনেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে পারস্পরিক যোগসাজশে কোন কিস্তি/টাকা পরিশোধ ছাড়াই বাস্তব হস্তান্তর দখল প্রদান করেন। এরপর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বসবাস করছেন আসামি সঙ্গীর আহমেদ রানা৷

মামলার এজহারে বলা হয়, সরকারি বিধি মোতাবেক ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ভাড়া ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা।

মো. শামসুল আলম অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে অপর- ধিমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নিজে লাভবান হয়ে বা অন্যকে লাভবান করার অসং উদ্দেশ্যে সগীর আহমেদ রানার কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ না করেই বাস্তব হস্তান্তর দখল প্রদান করেন।

পারস্পরিক যোগসাজশে দখল গ্রহণকারীকে অবৈধভাবে বসবাসের সুযোগ প্রদান করে রাষ্ট্রের ২১ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। পাশাপাশি বরাদ্দ দিলেও কোন ডাউন পেমেন্ট বা কিস্তি পরিশোধ না করে ও প্রতারণাপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বাস্তব হস্তান্তর দখলের মাধ্যমে প্রতারণা করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মো. আতিকুল আলম বলেন, কমিশনের নির্দেশে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা তদন্তকালে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আইনামলে আনা হবে।


সবজির দাম বেড়েছে

শীতের মৌসুম শেষ পর্যায়ে, কমে আসছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। সরবরাহ কমতির পাশাপাশি রমজানকে ঘিরে সবজির বাজারে আংশিক দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে অনান্য নিত্যপণ্যের বাজার দরে তেমন পরিবর্তন আসেনি। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া দরের মধ্যে রয়েছে অপরিবর্তিত। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

শীতের মৌসুম শেষ পর্যায়ে, কমে আসছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। সরবরাহ কমতির পাশাপাশি রমজানকে ঘিরে সবজির বাজারে আংশিক দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে অনান্য নিত্যপণ্যের বাজার দরে তেমন পরিবর্তন আসেনি। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া দরের মধ্যে রয়েছে অপরিবর্তিত।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর অন্যতম ভোগ্যপণ্যের বাজার রেয়াজউদ্দিন ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে আড়তগুলোতে আলু, বেগুন, টমেটো, বাধাকপিসহ প্রায় সকল সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। যার কারনে মানভেদে প্রায় সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

বলা যায় শালগম, টমেটো, বেগুন, কাঁচামরিচ, বাধাকপি, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, আলু বিক্রি করছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়। আর গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঝিঙ্গে, পটল, বরবটি, করলা, ঢেঁড়স বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া সালাদের সবজি হিসেবে পেঁয়াজ পাতা ২৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শশা ৪৫ টাকা, ধনে পাতা ৪০ টাকা, পুদিনা ২৫০ গ্রাম ২০ টাকা ও লেবু প্রতি পিস ১০ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবমিলিয়ে সবজির বাজারে কিছুটা দাম বেড়েছে।

আর বাজারে লালশাক, মূলাশাক, সরিষাশাক, ডাটাশাক, বথুয়াশাক ও পালংশাকসহ প্রায় সকল শাকের আঁটি প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমতি দরে বিক্রি করছে।

এছাড়া কমতি দরে বিক্রি হয়েছে গাজর, কাঁচামরিচসহ অনান্য সালাদ সবজিও। এসব সবজি কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী ফারুক বলেন, সবজির সরবরাহ কমে আসার কারনে কয়েকটি সবজির দাম আংশিক বেড়েছে। আগামি মাস থেকে বাড়তির দিকে থাকবে।

পরিবর্তন আসেনি চালের বাজারে

অন্যদিকে চালের বাজারে পরিবর্তনের কোন সুখবর নেই। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছিল চালের দর। যা এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ও মিনিকেট মানের সরু চাল ৭৫ থেকে ৮৪ টাকা, পাইজাম ও ব্রি-২৮ মানের মাঝারি চাল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা আর স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, উন্নতমানের নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হিসেবে সরু চালে দুই টাকা, মাঝারি মানের চালে ৫ টাকা, মোটা মানের ৩ টাকা ও পোলাও চালে ১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি আড়তে তদারকি না করলে চালের দওে পরিবর্তন আসবে না।

অপরিবর্তিত মাংস ও মাছের দর

এদিকে গত দুই সপ্তাহ আগে মাছ ও মাংসের দর বেড়েছিল পরে গত সপ্তাহে তা কিছুটা কমে আসলেও গতকাল তার কোন পরিবর্তন আসেনি।

বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা, সোনালি ফার্মের ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, সোনালি জাতের ঘরোয়া পালনের মুরগি ৪00 টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর দেশী মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা ও জাতভেদে প্রতি পিস দেড় কেজি ওজনের (প্রায়) হাঁস বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া গরুর মাংসের মধ্যে কলিজা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, হাঁড়যুক্ত মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও হাঁড়হীন পিউর মাংস বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা। মহিষের মাংসও একই দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা করে যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এছাড়া গত সপ্তাহের দরে প্রায় সকল মাছের দর স্বাভাবিক রয়েছে। বলা যায় রুই, কাতলাসহ কার্প জাতীয় মাছ ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা আর সমুদ্রের মাছগুলোর মধ্যে লইট্যা ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পোয়া ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাইট্যা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও ইলিশ ৭০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

স্বস্তির পর্যায়ে রয়েছে ডিমের বাজার

এদিকে গত এক মাস ধরে স্বস্তির পর্যায়ে রয়েছে ডিমের বাজার। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও কমতির মধ্যে রয়েছে আমিষজাত এ খাবারের দাম।

বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করেছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ থেকে ২৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় ডিমের দাম বাড়েনি। বাজারে আসা ক্রেতারা বলছে, বাজারে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলসহ প্রায় সকল পণ্য পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে রোজা চলাকালীন দাম বাড়ানোর জন্য সংকট দেখিয়ে ইচ্ছা করে মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা।

তাদের এই সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে রোজায় সাধারণ মানুষকে কষ্ট পাবেন। তার জন্য প্রশাসনের তদারকিতে জোরদার করতে হবে। আর বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি বুকিংয়ে কিছু পণ্যের দর বাড়তি, যার কারনে পরিবর্তন আসছে না।

এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে ক্রেতাদের তদারকিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিকারের জেলা ও বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি চসিকও তদারকি বাড়াবেন বলে জানান।

ভোক্তা অধিকারের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার তদারকিতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর রমজানকে ঘিরে আমাদের অভিযান বাড়ানো হবে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর