বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

রমজানকে ঘিরে পণ্যের আমদানি বেড়েছে

রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে খেজুর, ডাল, চিনিসহ প্রায় সকল পণ্যের আমদানি বেড়েছে। এসব আমদানির মধ্যে আগের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়েছে রোজাদারদের অন্যতম খাবার খেজুর। এছাড়া রমজানকে ঘিরে কোন ধরনের কৃত্রিম সংকট যেন না হয় এবং অনান্যবারের মতো দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য আমদানিতে শুল্কছাড়ের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে খেজুর, ডাল, চিনিসহ প্রায় সকল পণ্যের আমদানি বেড়েছে। এসব আমদানির মধ্যে আগের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়েছে রোজাদারদের অন্যতম খাবার খেজুর। এছাড়া রমজানকে ঘিরে কোন ধরনের কৃত্রিম সংকট যেন না হয় এবং অনান্যবারের মতো দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য আমদানিতে শুল্কছাড়ের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত সাত মাসে খেজুর আমদানি করা হয়েছে অনান্য বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি; যা প্রায় ১৮৬ মেট্রিক টন। একই সঙ্গে বেড়েছে ডাল, ছোলা, মসলা, ভোজ্যতেল, চিনি, গমসহ প্রায়সব প্রয়োজনীয় খাবার। আমদানির সঙ্গে জড়িত খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অন্যবারের তুলনায় এবার আমদানি সরবরাহ ভালো রয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকও আমদানিতে এলসি খোলার সুযোগ দিচ্ছে তবে ডলার রেট যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না। শুকনো মসলা উপকরণ আমদানিতে দাম হেরফের হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও পচনশীল মসলা উপকরণের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, এবার ব্যবসায়ীরা অনান্যবারের তুলনায় আগেই পণ্য আমদানি করছে। ব্যাংকও সুযোগ দিচ্ছে। সে অনুসারে প্রশাসনের বাজার তদারকি বাড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীদের পুরোনো সিন্ডিকেটের তৎপরতা গজিয়ে উঠবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে আমাদানির করা হয়েছে ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৯৭২ মেট্রিক টন।

এছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানি করার সুযোগ পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি রমজানের আগেই দেশি মসলা বাজারে আসবে; যার কারণে পচনশীল মসলার দাম বাড়বে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

চাক্তাইয়ের ফোরকান ট্রেডার্সের মালিক মো. ফোরকান বলেন, এ বছর আমদানি সরবরাহ ভালো থাকায় অনান্য বছরের মতো পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়তির কোন প্রভাব পড়বে না। রমজানের আগেই দেশি পেঁয়াজও বাজারে আসবে। ব্যবসায়ীরা এখন থেকে নানাদেশে আমদানিতে বুকিং রেখেছে। আর আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের নেতৃত্বে বাজারকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হবে।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস ডাল আমদানি আগের বছরের তুলনায় প্রায় সাত মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর এক লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রকারের ডাল আমদনি করা হয়েছে। আর ২০২৩ সালে ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। এছাড়া ছোলা চলতি অর্থবছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানি করা হয়েছে ২৬ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন।

তাছাড়া আগাম এলসি করা ডালও বাজারে আসা শুরু হয়েছে। শুল্কছাড়ের ডালও রমজানের একমাস আগেই বাজারে আসবে বলে জানান ডাল আমদানিকারকরা। এছাড়া ২০২৪ সালে ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৪ মেট্রিক টন। অর্থাৎ গত বছরের ব্যবধানে চলতি অর্থবছর ৬৪ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল বেশি আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে চিনি আমদানি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিনি আমদানি করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ মেট্রিক টন। আগের বছরের একই সময়ে দেশে চিনি আমদানি করা হয়েছিলো ছয় লাখ ৯০ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন। আর ডিসেম্বরে আমদানিকারকরা দেশে দুই হাজার ১৮৬ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছে। নভেম্বরে দেশে আনা হয়েছিল ৬৫৪ মেট্রিক টন। চলতি মাসে খেজুরের যথেষ্ট বুকিং করা হয়েছে যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে অর্ধেক বাজারে চলে আসবে বলে জানান খেজুর আমদানিকারকরা।

স্টেশন রোডের ফলমন্ডি এলাকার খেজুর আমদানিকারক মো. আবু জাফর বলেন, ব্যবসায়ীরা খেজুর আমদানি করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু ইতিপূর্বে যেসব এলসি করেছে তাঁর শুল্ক দিতে হয়েছে; যার কারণে কিছু খেজুরের দাম খরচ সমন্বয় করে বিক্রি করবেন আমদানিকারকরা। আর যেসব পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে তাও খরচ ছাড় দিয়ে বিক্রি করা হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী এবার খেজুর আমদানি করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এস এম মো. মহিউদ্দিন বলেন, অনান্য বছরের মতো এবারও ব্যবসায়ীরা রোজাকে ঘিরে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকারও চ্যালেঞ্জ করেছে এবার কোন অবস্থায় পণ্যের সংকট হবে না। সে কারণে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের আমদানি করার সুযোগ দিচ্ছে। অনেকেই আগাম মজুদ করছে। এবার দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

*আমদানিতে ব্যাংকের ডলার রেট ও বুকিং খরচে গরমিল’ রয়েছে দাবি করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমদানিতে সকল ব্যাংক ডলার রেট একদামে নিচ্ছে না। ব্যাংকভেদে ভিন্ন ভিন্ন ডলার দর নিচ্ছে ব্যবসায়ীদের থেকে। এটি সংস্কারে আসা প্রয়োজন। নয়তো একেক ব্যবসায়ী একক রেটে পণ্য বিক্রি করবে। এতে প্রশাসনের তদারকিতে যেমন সমস্যা হবে; বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদেরও সমস্যা হবে। নিত্যপণ্যের বাজারে সমতা আসবে না। আমরা চাই, সকল ব্যাংকের ডলার রেট সমান হোক এবং প্রতিদিনই নোটিশে তাদের দর জানিয়ে দেয়া হোক।


কমে গেছে গ্যাসের চাপ, রান্নায় দুর্ভোগ

চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। শীতের দাপটের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) মেরামতে থাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। শীতের দাপটের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) মেরামতে থাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে পুরো পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠে।

অপরদিকে হালিশহরে খালের মধ্যে থাকা একটি ১০ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস পাইপ লাইন কেটে যাওয়ায় হালিশহর, আগ্রাবাদ এবং খুলশীসহ বিস্তৃত এলাকায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় পুরোটাই বন্ধ হয়ে রয়েছে।

গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের বহু মানুষকেই হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। হোটেল রেস্তোরাঁয়ও জুটছে না খাবার। কোনো কোনো পরিবার ইলেক্ট্রিক এবং মাটির চুলা ব্যবহার করেও রান্নাবান্নার কাজ সারছে।

সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ ঠিকঠাক থাকলেই চট্টগ্রামে গ্যাস থাকে। আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের কোথাও ছন্দপতন ঘটলেই চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান থমকে যায়।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) সংস্কারের জন্য গত শুক্রবার থেকে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার দুপুর ১২টায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করার কথা রয়েছে। যা চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, দুইটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ন্যাশনাল গ্রিডে গ্যাস যায়। এরমধ্যে একটি টার্মিনাল পুরোপুরি বন্ধ থাকায় গ্যাস সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসে। এতে করে চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এছাড়া শীতের সময় গ্যাসের চাপ স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। বর্তমানে প্রচণ্ড শীতের কারণে গ্যাসের চাপ কমে গেছে।

একদিকে গ্যাসের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে যাওয়া এবং অপরদিকে শীতের দাপট থাকায় চট্টগ্রামে গ্যাসের হাহাকার শুরু হয়েছে। মহেশখালী থেকে এলএনজি না আসলে চট্টগ্রামে অন্য কোনো সোর্স থেকে গ্যাস আসার কোনো পথ নেই বলেও তিনি স্বীকার করেন। বলেন, আগে কুমিল্লা অঞ্চলের যে গ্যাস আশুগঞ্জ-বাখরাবাদ পাইপ লাইন হয়ে আসতো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন কোনো কারণে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হলে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।

কেজিডিসিএল-এর অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রামে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। তবে দুটি সার কারখানা চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিন ধরে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেলেই চট্টগ্রামের পরিস্থিতি কোনোরকমে সামাল দেয়া যাচ্ছে। তবে মহেশখালীর দুইটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের একটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে এখন ২০০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া হচ্ছে। এতে গ্যাসের চাপ কমলেও কোনোরকমে সামলে নেয়া সম্ভব হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন।

এদিকে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না থাকায় চট্টগ্রামে রান্না ঘরের চুলা থেকে শুরু করে কলকারখানা এবং সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনসহ সর্বত্রই কমবেশি সংকট চলছে। চট্টগ্রামের প্রায় ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক, ৬০টিরও বেশি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন এবং অগুনতি বাণিজ্যিক এবং শিল্প গ্রাহক নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন । বিশেষ করে রান্নাবান্নার চুলাগুলো দিনের শুরুতে বন্ধ হয়ে যায়। সকালের নাস্তা এবং দুপুরের রান্নাবান্না করতে অনেকেই এলপিজি সিলিন্ডার কিনে ঘরে নিচ্ছেন। সামর্থ্যবানেরা এলপিজি সিলিন্ডার কিনে পরিস্থিতি সামাল দিলেও সামর্থ্যহীনদের দুর্ভোগ চরমে । কেউ কেউ ঘরের মধ্যে ইটের চুলা বানিয়ে রান্নাবান্না সারছেন। এতে শুধু ভোগান্তিই নয়, একই সাথে বাড়ছে ঝুঁকিও। শহুরে বাসাবাড়িতে কয়লা বা কেরোসিনের চুলা জ্বালিয়ে রান্নাবান্নার সুযোগ সীমিত বলেও সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে।

অপরদিকে মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁর মতো একটি পাইপ লাইন কেটে যাওয়ায় নগরীর জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় পুরোটাই বন্ধ হয়ে গেছে। কেজিডিসিএল এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নগরীর হালিশহরের বড়পোল এলাকায় খালের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করার সময় দুর্ঘটনাবশত ১০ ইঞ্চি ব্যাসের একটি সঞ্চালন পাইপ লাইন কেটে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত এই ঘটনার পর পুরো হালিশহর, আগ্রাবাদ এবং খুলশী থানা এলাকার গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় মিটমিট করে জ্বলছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে বলে উল্লেখ করে কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, আজকের মধ্যে এই পাইপ লাইন পুনঃস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে। তবে এলএনজি যোগান স্বাভাবিক না হলে এসব জায়গায়ও গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হবে না বলে তারা জানান।

শুধু আগ্রাবাদ, হালিশহর বা খুলশীই নয়, নগরীর দেওয়ান বাজার, পূর্ব নাসিরাবাদ, ষোলশহর, আসকার দীঘির পাড়, বাকলিয়া, কোতোয়ালী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সংকট বিরাজ করছে। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে।

কর্ণফুলী গ্যাসের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ঠিকঠাকভাবে চালু হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে শীতের দাপট থাকলে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিকভাবেই কম থাকবে। বিষয়টিতে কারো কোনো হাত নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৮শ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত এবং আমদানিকৃত এলএনজি মিলে দেশে বর্তমানে ২ হাজার ৮শ থেকে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ দেয়া হয়। এর মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি যোগান আসে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে। এতে করে এলএনজি আমদানি ব্যাহত বা কোনো কারণে সরবরাহে ধস নামলে সারাদেশেই গ্যাস সেক্টরে সংকট প্রকট হয়ে উঠে।


কোটি টাকার একাধিক পণ্য বিক্রি হবে অনলাইন নিলামে

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪৫ লট পণ্য আজ রোববার অনলাইন নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চলতি বছরের প্রথম এই নিলামে ৪৭ লট পণ্য রাখা হলেও দুই লট পণ্যের নিলাম স্থগিত করা হয়েছে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত ৪৫ লট পণ্য আজ রোববার অনলাইন নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। চলতি বছরের প্রথম এই নিলামে ৪৭ লট পণ্য রাখা হলেও দুই লট পণ্যের নিলাম স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ৪৫ লট পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে একাধিক পণ্যের সংরক্ষিত মূল্য কোটি টাকার বেশি।

নিলামে তোলা ৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিট ফেব্রিক্স প্রিন্টেড, প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল, উড ফ্রি পেপার, নন ওভেন ফেব্রিক্স, ডুপ্লেক্স পেপার বোর্ড, তিন চাকার অটোরিকশার টিউবসহ টায়ার, ফায়ার রেসিসটেন্ট ডাবল ডোর শিট, মার্বেল ব্লক, স্টিকার প্রিন্টেড, ডেনিম ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেট, কম্বলের কাপড়, নাট বোল্ট, ডার্ক গ্রিন রিফ্লেক্টিভ গ্লাস, রাবার শিট, এনিম্যাল ফিড, তরল পরিমাপক যন্ত্র, মোজা তৈরির মেশিন, এডহেসিভ পেপার, ব্যবহৃত এস্কেভেটর, পলেস্টার ও রেয়ন ফেব্রিক্স ইত্যাদি।

গত ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে অনলাইন নিলামের দর গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে আজ নিলামের দিন ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিলামের পণ্য বিডারদের দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পণ্যগুলো একাধিকার নিলামে তোলা হলেও সেগুলো বিক্রি হয়নি। তাই পুনরায় অন- লাইন নিলামে তোলা হচ্ছে। অনলাইন নিলামে দেশের যে কোন স্থান থেকে অংশগ্রহণ করা যায়। তাই অনলাইন নিলামে বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণকারী পাওয়া সম্ভব এবং প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া সম্ভব।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, যেসব চালানের পণ্য আমদানিকারকেরা খালাস নেন না, ব্যবহার উপযোগিতা থাকে সেগুলো নিলাম করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। যেসব পণ্য নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক সেগুলো ধ্বংস করা হয়। যথারীতি চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনলাইন নিলাম পরিচালনা করবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কে এম কর্পোরেশন।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর