বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

আব্দুচ ছালামের ১৩ প্রকল্পের ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের আমলের ১৩ প্রকল্পের ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। তদন্ত শুরু চাকমাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।
২০০৯ সালে আব্দুচ ছালাম সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার সময়কালে নেওয়া ১৩টি প্রকল্পের তদন্ত করবে পাঁচ সদস্যের কমিটি। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের আমলের ১৩ প্রকল্পের ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। তদন্ত শুরু চাকমাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।

২০০৯ সালে আব্দুচ ছালাম সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার সময়কালে নেওয়া ১৩টি প্রকল্পের তদন্ত করবে পাঁচ সদস্যের কমিটি।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত তদন্তের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ম িমন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব-২ মো. নটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল নাজমুল আলম, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসাইন ও এডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।

তদন্তের কাজে আগামী শনিবার সিডিএতে আসবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মিনটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন । আব্দুচ ছালামের গ্রহণ করা ১৩ প্রকল্পের ফিজি বিলিটি রিপোর্ট, প্রকল্পের ফিজিবিলিটি রিপোর্টের টর (টার্মস অব রেফারেন্স), ইআইএ রিপোর্ট, বাস্তবায়ন মনিটরিং মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদন, টেন্ডার ডকুমেন্টস, ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়ার ডকুমেন্টস এবং পিইসি ফর ইসিএনসিইসি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন তদন্ত কমিটি।

সিডিএ’র সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুচ ছালাম। এই ১০ বছরে তিনি ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টি প্রকল্প গ্রহণ করেন। এরমধ্যে তিনি অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন এবং অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেননি, যা এখনো চলমান রয়েছে। এই ৩০ প্রকল্পের মধ্যে ১৩টি প্রকল্পের তদন্ত করবে কমিটি। সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিগত সময়ের উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম/দুর্নীতির তদন্তের লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্তের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত কাগজ- পত্রাদিপত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ওই আদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইল সমূহ নিরাপদে সংরক্ষণ ও কমিটির তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণকে নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে। সিডিএ’র ১৩ প্রকল্পগুলো হচ্ছে- এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, জলাবদ্ধতা প্রকল্প, কালুরঘাট-চাক্তাই রিং রোড প্রকল্প, বাকলিয়া এক্সেস রোড, চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড, সিডিএ স্কয়ার, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান, বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম বলেন, মূলত ২০০৯ সালের পর থেকে সিডিএ’র বাস্তবায়নাধীন ও চলমান প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এসব তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করেছে মন্ত্রণালয়।

সিডিএ’র সচিব স্বাক্ষরিত আরেক অফিস আদেশে আরো বলা হয়- ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, প্রকল্পের ডিপিপি /সর্বশেষ আরডিপিপি, প্রকল্পের ক্রয় পরিকল্পনা মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি, প্রকল্পের ক্রয়কৃত মালামাল বুঝে নেওয়ার কাগজপত্রাদি, প্রকল্পের ড্রইং ও ডিজাইন, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ও সংশোধিত ব্যয়, প্রকল্পের কনসালটেন্ট রিপোর্ট, প্রকল্পের চুক্তিপত্র, প্রকল্পের পিইসি সভার প্রতিবেদন, প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী, প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকা (২০০৯ সাল থেকে), চলমান প্রকল্পের সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা, প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইল সমূহ নিরাপদে সংরক্ষণ ও কমিটির তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তদন্ত কমিটি।


নথি উধাওয়ে বিচারাধীন মামলায় প্রভাব পড়বে না : তদন্ত প্রতিবেদন

সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার‍্যালয় থেকে নথি উধাওয়ের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত জানিয়েছে। নথি উধাওয়ের ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের একজন বিচারপতির প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এসব কথা জানানো হয়েছে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার‍্যালয় থেকে নথি উধাওয়ের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত জানিয়েছে। নথি উধাওয়ের ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের একজন বিচারপতির প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এসব কথা জানানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয় থেকে এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) উধাওয়ের ঘটনা গত রোববার জানাজানি হয়। এরপর পিপি নগরীর কোতোয়ালী থানায় এ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত নথি গায়েবের ঘটনা অবহিত হয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম-১ অঞ্চলের অধঃস্তন আদালতসমূহের কার‍্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে নির্দেশনা দেন।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের তদন্ত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোনো এজলাস বা চেম্বার থেকে কোনো ফৌজদারি মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে এক হাজার ৯১১ টি কেস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার‍্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে।

কেইস ডকেটগুলি ছিল ২০১৫ সালের আগের ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত। বেশিরভাগ মামলা এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এছাড়া ফৌজদারি যে কোনো মামলার কেস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে । এর ফলে আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।


উচ্ছেদের এক বছর পর ঘেরাওয়ের মধ্যে হচ্ছে নতুন স্থাপনা

উচ্ছেদের এক বছর পূর্ণ না হতেই নগরীর কোর্ট হিলের দুই প্রবেশ পথের মুখে ফের বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে উঠছে। গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় যানজটসহ নানা কারণ দেখিয়ে হোটেল ব্রীজ ও হোটেল জামানসহ ১৭টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ওইসব স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে দখলমুক্ত জায়গায় ওয়াশ ব্লক গড়ে তোলা হবে। করা হবে সাধারণের বসার ব্যবস্থা। কোর্ট হিলে ওঠানামায় দীর্ঘদিনের যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা আর থাকবে না । এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

উচ্ছেদের এক বছর পূর্ণ না হতেই নগরীর কোর্ট হিলের দুই প্রবেশ পথের মুখে ফের বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে উঠছে। গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় যানজটসহ নানা কারণ দেখিয়ে হোটেল ব্রীজ ও হোটেল জামানসহ ১৭টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ওইসব স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে দখলমুক্ত জায়গায় ওয়াশ ব্লক গড়ে তোলা হবে। করা হবে সাধারণের বসার ব্যবস্থা। কোর্ট হিলে ওঠানামায় দীর্ঘদিনের যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা আর থাকবে না ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উচ্ছেদকৃত জায়গায় যার ইচ্ছা সে ঢুকে পড়ছিল। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এজন্য তিনজন ব্যক্তির সাথে ভাড়ানামা করা হয়েছে। তারা সেখানে রেস্টুরেস্ট করবে। ইট-পাথরের কোনো স্থাপনা নয়, বরং সেখানে পোর্টেবল স্থাপনা গড়ে উঠবে। যাতে যে কোনো সময় সেগুলো সরিয়ে নেওয়া যায়। ৫ বছরের জন্য এ ভাড়ানামা করা হয়েছে। তবে সরকার যখন চাইবে তখন জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর সেখানে টিন দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনো টিনের ঘেরাও রয়েছে। ঘেরাওয়ের মধ্যেই চলছে নতুন স্থাপনা গড়ে তোলার কাজ। কোর্ট হিলের দুটি প্রবেশ মুখের একটি হচ্ছে জহুর হকার মার্কেটের পাশে। সেখানে ইতোমধ্যে দ্বিতল পোর্টেবল স্থাপনা দাঁড়িয়ে গেছে। কাজ শেষ হয়নি। পুরো কাজ শেষ হতে আরো সময় লাগবে।

অন্যদিকে কোর্ট হিলের প্রধান ওঠানামার পথ বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে অবস্থিত; সে জায়গায় রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানা গেছে। রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ শুরু না হলেও সেখানে স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের জন্য দুটি পোর্টেবল স্থাপনা নির্মাণের কাজ বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ আজাদীকে বলেন, এ জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেজন্য আমরা তিনজন ব্যক্তির সাথে ৫ বছর মেয়াদি ভাড়ানামা করেছি। তারা সেখানে রেস্টুরেন্ট করবে। আমাদের যখন প্রয়োজন পড়বে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। সেজন্য বলে দেওয়া হয়েছে, ইট-পাথরের স্থাপনা ক্রা যাবে না। পোর্টেবল স্থাপনা হতে হবে। মূলত জায়গার দখল ধরে রাখতে আপাতত উচ্ছেদকৃত জায়গা ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কোর্ট হিলের দুটি প্রবেশ পথের মধ্যে প্রধান প্রবেশ পথের মুখে টিন দিয়ে ঘেরাও করে রাখা জায়গা থেকে ২০ শতক ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে দ্বিতল স্থাপনা হবে। ইউনিট হবে দুটি। স্থাপনার কাজে ১০ শতাংশ ব্যবহার করা হবে। বাকি জায়গা খালি থাকবে। পুরো জায়গায় স্থাপনা করা যাবে না, সেটা যারা ভাড়া নিয়েছেন তাদের বলে দেওয়া হয়েছে। ওই জায়গার একটি অংশে স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের জন্য দুটি স্থাপনা হচ্ছে। সেগুলোও পোর্টেবল। আরেক প্রবেশ মুখ (জহুর হকারের পাশে) পাশের টিনের ঘেরাও করে রাখা জায়গার পরিমাণ ৪ শতক। সেখানে দ্বিতল একটি স্থাপনা হবে। ইউনিট হচ্ছে একটি। কোর্ট হিলের এ দুটি প্রবেশ পথে ভবিষ্যতে অন্যকিছু করার প্রয়োজন হলে তা করা যাবে।

কোর্ট হিলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ প্রায় ৩০টি সরকারি অফিস এবং আদালত রয়েছে। উক্ত আদালত ও অফিসগুলোতে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিচারক, আট হাজার আইনজীবী এবং পাঁচ হাজার শিক্ষানবীশ আইনজীবী যাওয়া-আসা করেন। প্রতিদিন যাতায়াত করেন প্রায় ২০ হাজার বিচারপ্রার্থী ও সেবাপ্রার্থী।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি কোর্ট হিলে প্রবেশ মুখের সরকারি খাস জমি দখল করে ১৯৯০ সালে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল ব্রীজ ও হোটেল জামানসহ ১৭টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দখলমুক্ত হওয়া ভূমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ১৪৩৬ একর। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, কোর্ট হিলে ওঠানামার দুটি মুখে জনজট ও যানজট লেগে থাকত। সেজন্য দুটি মুখ থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সম্প্রতি দেখতে পাচ্ছি, দুই জায়গায় নতুন করে স্থাপনা গড়ে উঠছে। লিজ হোক বা ভাড়া হোক কোনোটাই তো জেলা প্রশাসন পারে না। বলা হয়েছিল, প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। এখন তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াল? তিনি বলেন, দুটি জায়গা খালি রাখা উচিত। একদম উন্মুক্ত থাকবে। তাহলে চলাচলে সুবিধা হবে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর