চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ও সামগ্রিক কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, চট্টগ্রামে জলকল্যাণমূলক পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে গোষ্ঠীর জন্য, চট্টগ্রামবাসীর জন্য নয়। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোতে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ও সামগ্রিক কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, চট্টগ্রামে জলকল্যাণমূলক পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে গোষ্ঠীর জন্য, চট্টগ্রামবাসীর জন্য নয়। তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোতে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। নতুন যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তারা এসব দুর্নীতির অনুসন্ধান এবং দমন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় চট্টগ্রামের মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে সিডিএর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এ সময় ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খান, সিডিএ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, সিডিএর বোর্ড সদস্য এবং কর্মকর্তাবৃন্দ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও গৃহায়ণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রজেক্ট করা হয়েছে টাকা বানানোর জন্য। প্রজেক্ট বানিয়ে টাকা পকেটে নিয়ে চলে গেছে। গত ১৫ বছর ধরে এভাবেই কোটি কোটি টাকা খরচ এবং লোপাট করা হয়েছে।
গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ হামিদুর রহমান খান চট্টগ্রামের মাস্টার প্ল্যানের খসড়া রিপোর্ট কবে নাগাদ জমা হবে তা জানতে চান। উপদেষ্টা মাস্টার প্ল্যানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত লিখিত আকারে থাকতে হবে বলে নির্দেশনা প্রদান করেন। আউটার রিং রোড প্রকল্প এবং চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত প্রকল্পটি কবে নাগাদ শেষ হবে তা জানতে চাওয়া হয়। এসব প্রকল্প দ্রুত শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সিডিএর পক্ষে প্রকল্প বিষয়ক তথ্য নিয়ে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের পরিচালক আবু ঈসা আনসারী, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মঈনুদ্দীন, চাক্তাই টু কালুরঘাট শীর্ষক রোড কাম বেড়িবাধ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক রাজীব সাহা, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো নিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম শাহজালাল মজুমদার ও গৃহায়ণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল সরকার।
বিশ্ব এইডস দিবস আজ
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস-২০২৪। এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে পহেলা ডিসেম্বর পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস-২০২৪। এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে পহেলা ডিসেম্বর পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “অধিকার নিশ্চিত হলে, এই- চআইভি/এইডস যাবে চলে’।
‘বিশ্ব এইডস দিবস’ উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে র্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজনের কথা রয়েছে।
বছরের ব্যবধানে আক্রান্তের হার বেড়েছে ৪৪ শতাংশ
চট্টগ্রামে ২০২৩ সালে এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ৫৮ জন। অথচ গত এক বছরেই (নভেম্বর ২৩-অক্টোবর ২৪) একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগীর শনাক্তের হার বেড়েছে সাড়ে ৪৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এন্টি রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টার (এআরটি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এসব জানা গেছে।
সুখবর হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমেছে। ২০২৩ সালে এইডসে ২৭ জনের মৃত্যু হলেও গেল এক বছরে মারা গেছেন ১১ জন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন প্রবাসী এবং তাদের স্বজন। প্রবাসে অবস্থানরতদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা এবং বিদেশে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং না হওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন তারা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব ব্যক্তিদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
চমেক হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে (নভেম্বর-২৩ থেকে অক্টোবর-২৪) এ সেন্টারটিতে সর্বমোট ৩ হাজার ৮১৭ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৮৪ জনের এইডস শনাক্ত হয়। এসব রোগীর মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী। এছাড়া একই সময়ে এইডসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
চিকিৎসকরা বলছেন, চট্টগ্রামের এইচআইভি আক্রান্ত প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত। যাদের মধ্যে ওমান, দুবাই, আরব আমিরাত প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি।
প্রবাসীদের অসচেতনতায় তাদের স্ত্রীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এইচআইভি ভাইরাসে। যার কারণে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যারা জন্মসূত্রেই আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে।
চাটগাঁর চোখ ডেস্ক