শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ ডিসেম্বরে

বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল-কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগ হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের মধ্যদিয়ে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে। আগামী বছরের মে-জুনে প্রকল্পের জন্য কোরিয়ার পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

বহুল প্রতীক্ষিত কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল-কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগ হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের মধ্যদিয়ে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে। আগামী বছরের মে-জুনে প্রকল্পের জন্য কোরিয়ার পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরামর্শক নিয়োগের সাথে সাথে জুনে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।

রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে। মূল সেতুর পুরো টাকা দক্ষিণ কোরিয়ার। প্রকল্পের ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ১২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ)। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ভূমি অধিগ্রহণ সরকারি অর্থায়নে হবে বলে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন। কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত ফোকাল পার্সন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট নতুন সেতু প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে সেতুর পিডি নিয়োগ হবে। ২০২৫ সালের মে-জুনে প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ হয়ে যাবে। যেহেতু প্রকল্পটি কোরিয়ান অর্থায়নে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হবে কোরিয়ার। পরামর্শক নিয়োগের পর তারা ডিটেইল ডিজাইন করবে। একইসাথে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও মে-জুন থেকে শুরু হবে। ডিটেইল ডিজাইন করতে এক বছর লাগবে। এরপর টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এরপর সেতুর কাজ শুরু হবে।

সেতুর কাজ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পরামর্শক নিয়োগের সাথে সাথে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর দিয়ে রেল-কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি গত ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, চট্টগ্রাম এবং কাজারের মধ্যে নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান পুরাতন সেতুর পাশে কালুরঘাটে কর্ণফুলীর উপর নতুন রেল-কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।


মিয়ানমারে যুদ্ধের গুলি পড়ল টেকনাফের ঘরের আঙিনায়

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র আরাকান আর্মির যুদ্ধ পুনরায় তুমুল হওয়ায় আভাস পাওয়া গেছে। এতে ব্যবহৃত মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ আবারও শুনেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ। এটি দৈনিক পূর্বদেশের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র আরাকান আর্মির যুদ্ধ পুনরায় তুমুল হওয়ায় আভাস পাওয়া গেছে। এতে ব্যবহৃত মর্টার শেল, শক্তিশালী বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ আবারও শুনেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ। এমনকি সেদেশে চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত গুলি দমদমিয়া এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরের আঙিনায় এসে পড়েছে বলেও জানান হ্নীলা ইউনিয়নের সদস্য মোহাম্মদ আলী।

এ ছাড়া শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের শব্দ গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। খবর বিডিনিউজের।

হ্নীলার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রাত থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের শব্দের মধ্যে আজ (শনিবার) সকালে দমদমিয়ার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের বসতবাড়ির আঙিনায় একটি গুলি এসে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। কাতারের আমিরের রয়েল প্যালেসের ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ও গবেষণার কাজে জড়িত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি প্রায় সাত মাস পর নিজ জন্মভূমিতে আসেন। কিন্তু ভোরে মিয়ানমারে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে তার বাড়ি কেঁপে ওঠে।

তার ভাষ্য, সমস্যা মিয়ানমারে হলেও টেকনাফের বাসিন্দাদের নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলেও মনে করছেন তিনি। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, শুক্রবার রাতে আবারও বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে আর কতদিন চলবে। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন।

মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধে ব্যবহৃত গোলা-বারুদের বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তের লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছেন না বলে টেকনাফের অন্তত তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, হঠাৎ করে এভাবে বিস্ফোরণের শব্দে বাড়িঘর কেঁপে উঠছে। এলাকায় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও এ কারণে কোনো রোহিঙ্গা যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


১ ডিসেম্বর দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যাচ্ছে

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পর্যটকবাহী দু’টি জাহাজ। ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পর্যটকবাহী দু’টি জাহাজ। ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকেট বিক্রিও শুরু হয়েছে।

এমবি বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যেতে এক হাজার টিকেট অগ্রিম কিনেছেন। পর্যটকরা যাতে নিরাপদে সেন্টমার্টিনে পৌঁছতে পারেন সে বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে উল্লেখিত দিনে পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে পারবেন।

সেন্টমার্টিন রয়েল বিচের পরিচালক জাহেদ হোসেন বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে উখিয়ার ইনানী জেটিঘাট দিয়ে কর্ণফুলী ও বারো আউ- লিয়া নামে দুটি জাহাজে পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসার কথা। তবে পর্যটন মৌসুমের দুইমাস পেরিয়ে গেছে। সেন্টমার্টিনে পর্যটক না আসাতে দ্বীপবাসীর সংসার চলছে না। হোটেল-রেস্তোরাঁ বা অন্যান্য দোকানপাটে টাকা খরচ করে সাজিয়েছি, পর্যটক না আসার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

কক্সবাজার অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আনোয়ার কামাল বলেন, মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে আপাতত টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ পর্যটকসহ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার কথা। তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে টিকিট সংগ্রহ করছেন। ১ ডিসেম্বর থেকে ইনানী জেটিঘাট দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। পরে সাবরাং পয়েন্ট দিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন যেতে পারে সেটা নিয়ে জায়গা দেখছি।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, উখিয়ার ইনানী নৌবাহি নীর জেটিঘাট দিয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ যাবে কিনা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর