শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাঁচ দেশে চাকরির কথা বলে নিয়ে গিয়ে ‘জিম্মি’

চাকরির কথা বলে ‘জিম্মি’ করার ঘটনায় থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চাকরির কথা বলে ‘জিম্মি’ করার ঘটনায় থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

গতকাল শুক্রবার দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। এতে বলা হয়, “কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কলসেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।

“এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সাথে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।”
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, ‘প্রতারক চক্রের’ স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে দেশবিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে চক্রটি সেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে অর্থ আত্মসাৎ করে তারা। বিদেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রয়োজনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা যাবে।”

মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া ও পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে দূতাবাস।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এসব দেশগুলোতে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এমন এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।”


শীতের সবজির দাম কমছে বেড়েছে মাছের

দেশে ইতোমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে, আর মৌসুমের সবজিতেও ভরে উঠেছে বাজার। এরপরও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির দামে খুব একটা হেরফের ঘটেনি, আগের মতোই রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। বাজারে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। এটি দৈনিক পূর্বদেশের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

দেশে ইতোমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে, আর মৌসুমের সবজিতেও ভরে উঠেছে বাজার। এরপরও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও সবজির দামে খুব একটা হেরফের ঘটেনি, আগের মতোই রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। বাজারে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। গতকাল শুক্রবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও চকবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে মাছের দামে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মাছের ফিডের দামবৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে, যা আর কমেনি। সরেজমিন বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজ কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি পিস ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১২০ টাকা, লাউ পিস ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে কেজি ৫০ টাকা, শিম
১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা ও টমেটো ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু সবজির দাম বেড়েছে ও কমেছে। গত সপ্তাহে কুমড়ো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি, যা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বেগুনের দাম ছিল ৭০ টাকা, যা এ সপ্তাহে ৬০ টাকা।
আবার গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে বরবটির দাম। ৬০ টাকা কেজির বরবটি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। বেড়েছে শসার দামও। গতসপ্তাহে শসা ৬০ টাকা, এ সপ্তাহে যার দাম ১০০ টাকা।

বিক্রেতা আবু বক্কর বলেন, বাজারে শীতের সবজির সাপ্লাই ভালো আছে, তাই দাম কিছুটা কম। শীত বাড়লে সাপ্লাই আরও বাড়বে, তখন দাম আরও কমতে পারে। আরেক বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, কিছু সবজি ছাড়া প্রায় সব সবজির দাম কমের দিকে আছে, সামনে আরও কমে যাবে। আগ্রহ নিয়েই শীতের সবজি কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা।

বাজারে আসা ক্রেতা আবু তৈয়ব বলেন, আগে শীতের সবজি আরও কম দামে কিনেছি। আশা করছি শীত আসলে দাম আরেকটু কমে যাবে, তখন আমরা একটু স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারবো।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়, সোনালির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০, কক ৩০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
তবে বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। প্রতিকেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙ্গাস মাছ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চকবাজারে মাছের ক্রেতা বেসরকারি চাকরিজীবী ইয়াছিন আরাফাত মাছের বাড়তি দামের বিষয়ে তিনি বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি সেই কথা আর নেই । এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম মাছের। সাধারণ ক্রেতারা দুই একটি কমদামি মাছ ছাড়া, অন্য কোনো মাছ এখন আর কিনতে পারে না। কমদামি মাছ বলতে চাষের কই, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া। তবে এসব মাছেরও এখন দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি।

এগুলো ছাড়া অন্য কোনো ধরনের ভালো মাছ কেনার সামর্থ্য আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নেই। তাই ঘুরে ফিরে প্রতি সপ্তাহে এ ধরনের মাছই আমরা কিনি।
মাছ বিক্রেতা মিন্টু বলেন, আসলে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, তখন থেকেই মাছের দাম বাড়তি। এরপর থেকে সেভাবে আর দাম কমেনি। অল্প কিছু দাম ওঠানামা করে পাইকারি বাজারে। সেক্ষেত্রে আমরা যখন যেদিন যে দামে মাছ কিনতে পারি, খুচরা বাজারে একটু লাভ রেখে তেমন দামেই বিক্রি করি। পাইকারি বাজার থেকে মাছ কেনার পর বাজার খরচ, পরিবহন খরচ, লেবার খরচ, দোকান ভাড়া সবকিছুর সঙ্গে সমন্বয় করে পাইকারি বাজারের যে কিছুটা বেশি দামে আমরা খুচরা বাজারে বিক্রি করি।

মূলত মাছ চাষি পর্যায়ে মাছের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যে কারণে তারা আগের চেয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। আমরা যদি পাইকারি বাজার থেকে কম দামে মাছ কিনতে পারি, তাহলে খুচরা বাজারেও কম দামে মাছ বিক্রি করতে পারবো।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর