মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সরবরাহের জন্য অপেক্ষায় ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি প্রকল্প

চট্টগ্রাম ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কমিশনিংয়ের (ট্রায়াল রান) কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলা ট্রায়াল রানে প্রকল্পের ১৩০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কোথাও কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হয়েছে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কমিশনিংয়ের (ট্রায়াল রান) কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলা ট্রায়াল রানে প্রকল্পের ১৩০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের কোথাও কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে জানা গেছে, এখন প্রকল্প পরিচালকসহ চট্টগ্রাম ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের এক নাগাড়ে তিন দিন অপারেশন কার্যক্রম চালাতে হবে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা হিসেবে একনাগাড়ে ৭২ ঘণ্টা অপারেশন কার্যক্রম চালানোর পর প্রকল্পের পানি সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হবে। প্রথম পর্যায়ে সিইউএফএলে দৈনিক ২ কোটি লিটার এবং ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানায় দৈনিক ১ কোটি লিটারের মতো পানি সরবরাহ করা হবে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম গতকাল আজাদীকে বলেন, ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের সকল কাজ শেষ হয়েছে। টেস্টিং কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত পানি সব পাইপলাইনে পৌঁছেছে।

বেসিক কোনো সমস্যা নেই। এখন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে কন্ট্রিনিউ ৭২ ঘণ্টা পানি উৎপাদন করে পাইপলাইনে সরবরাহ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ঠিদাকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকল্পের দায়িত্ব বুঝে নেওয়া হবে। তারপরই এই প্রকল্পের পানি আনুষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ (বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্রাহকদের মাঝে) শুরু হবে। আপাতত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) কারখানায় পানি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, সিইউএফএল পর্যন্ত আমাদের পাইপলাইন চলে গেছে। এখন শুধু কানেকশন দেওয়া হবে।

ড্যাপের (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানা) কানেকশনও হয়ে যাবে। তারা সংযোগ নেওয়ার জন্য সম্মত আছে। আমরা ডিমান্ড নোট ইস্যু করব। সংযোগ ফি দেওয়ার সাথে সাথে কানেকশন দিয়ে দেব।
১ম পৃষ্ঠার পর তিনি বলেন, সিইউএফএলে দৈনিক ২ থেকে আড়াই কোটি লিটার পানি লাগবে। ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানায় দৈনিক ১ কোটি লিটারের মতো পানি লাগবে। সিইউএফএল ও ড্যাপে ৩ কোটি লিটার পানির জন্য প্রতিদিন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পানি উৎপাদন করলে হয়ে যাবে।

জুনের মধ্যে ২/৩টি কারখানায় সংযোগ হয়ে যাবে। আমাদের বড় গ্রাহক হওয়ার কথা ছিল কাফকো। কাফকোতে প্রতিদিন ২ কোটি লিটারের মতো পানি লাগবে। কাফকোর কাছে আমরা প্রকল্পের শুরুতে পানি নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তখন তারা আগ্রহ দেখালেও এখন দেখাচ্ছে না। প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রকল্পের শুরুতে আমরা আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়ার দেশি- বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রকল্প থেকে পানি নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তখন কাফকো, সিইউএফএল, ড্যাপ, কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইকোনমিক জোনসহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পানি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। এখন আমরা সংযোগ নেওয়ার জন্য চিঠি দিলে দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া (সিইউএফএল ও ড্যাপ) আর কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন আবার নতুন করে পানির সংযোগের জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ছোট-বড় মোট ১৩টি বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল চট্টগ্রাম ওয়াসার। এই শিল্পাঞ্চলগুলোতে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের টার্গেট ছিল। অবশিষ্ট ১ কোটি লিটার পানি দেওয়া হবে বোয়ালখালী-পটিয়ার আবাসিক গ্রাহকদের মাঝে। এখনো পর্যন্ত পটিয়ায় ৬শ আবাসিক গ্রাহকের সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। বোয়ালখালীতে ১০০টির মতো আবাসিক গ্রাহকের সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

উল্লেখ্য, ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং কোরিয়ান এভ্নি ব্যাংকের মধ্যে ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরে পুনরায় সমীক্ষা শেষে প্রকল্প ব্যয় সংশোধন করে ১,৯৯৪ কোটি টাকায় বর্ধিত করা হয়। এই প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এমি ব্যাংক ১,২২৪ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের ৭৫০ কোটি টাকার যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দিতে হয়েছে ২০ কোটি টাকা। কোরিয়ান এমি ব্যাকের সাথে নতুনভাবে চুক্তি সম্পাদনের পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সাল থেকে। দুই দফা সময় বাড়ানোর পর অবশেষে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।


পরিবর্তনের হাওয়া ‘শাহ আমানতে’

ওমানের রাজধানী মাস্কাটের একটি দোকানে কাজ করেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা মো. সোলেমান। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর গত শুক্রবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। বিমান থেকে নেমে আনুষ্ঠানিকতা সেরে লাগেজ বেল্টে গিয়ে দেখেন তার লাগেজ আগেই চলে এসেছে। ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই লাগেজ হাতে পেয়ে খুশি এ প্রবাসী। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ওমানের রাজধানী মাস্কাটের একটি দোকানে কাজ করেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা মো. সোলেমান। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর গত শুক্রবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। বিমান থেকে নেমে আনুষ্ঠানিকতা সেরে লাগেজ বেল্টে গিয়ে দেখেন তার লাগেজ আগেই চলে এসেছে। ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই লাগেজ হাতে পেয়ে খুশি এ প্রবাসী।

সোলেমান লাগেজ হাতে পাওয়ার ঠিক ৪৫ মিনিট পর আবুধাবি থেকে বিমানের অন্য আরেকটি ফ্লাইটে একই বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন ফেনী জেলার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন। তিনিও ইমিগ্রেশনসহ বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে লাগেজ বেল্টে আসা মাত্রই পেয়ে যান তার লাগেজটি। তাদের দু’জনের অভিজ্ঞতা ছিল একই। আমজাদ হোসেন বলেন, সবসময় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত হয়।

এখানে বড় সমস্যা ছিল লাগেজ বিড়ম্বনা। আগে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এবার সত্যিই ভালো লেগেছে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই লাগেজ হাতে পেয়েছি। আগের চেয়ে সেবার মানও অনেক উন্নত হয়েছে। বিমানবন্দরের পরিবেশেও বেশ পরিবর্তন এসেছে।

শুধু আমজাদ কিংবা সোলেমানের ক্ষেত্রেই নয়। বর্তমানে দ্রুত সময়ের মধ্যেই লাগেজ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্যান্য যাত্রীরাও। শুধু লাগেজ পাওয়ার পরিবর্তন হয়নি, দৃশ্যমান পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক এ বিমানবন্দরে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর চিত্র বদলেছে। অবসান হয়েছে সব ভোগান্তির। পরিবর্তনের ছোঁয়ায় কমেছে যাত্রী ভোগান্তি। বেড়েছে যাত্রীসেবার মানও। ইমিগ্রেশনসহ নানা সেবাখাতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যাতে খুশি যাত্রীরা। অথচ নতুন কোন যন্ত্র কিংবা নতুন করে কোন লোকবলের নিয়োগ দেয়া হয়নি। বদলেছে শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনা।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিমানবন্দরে যথাযথ যাত্রীসেবা দেয়া হচ্ছে। যাত্রীসেবায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, এ বিষয়ে নেয়া হচ্ছে পরামর্শ। নিয়মিত নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তায় জোর দেয়ায় যাত্রীদের সেবার মানে এমন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। যাত্রীসেবার এমন পরিবর্তন সামনেও অব্যাহত থাকবে এমন আশা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীসেবায় যে পরিবর্তন লেগেছে, তা যেন অব্যাহত থাকে। সেজন্য প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দর পরিদর্শন করছি।

কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছি। এছাড়াও কোন কোন জায়গায় সমস্যা আছে, তা চিহ্নিত করে প্রত্যেকটি জায়গায় সমাধানের চেষ্টা করছি। যাত্রীরা যেন ভালো ও সুন্দর সেবা পান সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

একসময় লাগেজ পেতে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হলেও এখন আর সেই চিত্র নেই। বর্তমান সেবায় যে পরিবর্তন এসেছে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী।

খবর নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর বিশেষ টাস্কফোর্স ও বিমাবন্দরের নিরাপত্তা শাখার সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ একটি টিমের নেতৃত্বে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর পুরো বিমানবন্দরে তল্লাশির পাশাপাশি নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে।

এছাড়াও যাত্রীদের সেবা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরের এপ্রোন এরিয়ায় প্রবেশের ৪ নম্বর গেট, রাডার স্টেশন, ভিওআর, ট্রান্সমিটিং স্টেশন, পাওয়ার হাউস, জিপি-লোকারাইজার স্টেশন এই পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দুই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তায় জোর দেয়া হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় প্রধান এই বিমানবন্দরকে।

যাত্রীসেবা নিশ্চিতে বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ সদস্য কাজ করছেন বলে জানান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। তিনি জানান, বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রাস্কফোর্সে বর্তমানে ১৮১ জন বিমান বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা শাখার ১৩৬ জন কাজ করছে।

এছাড়া নতুন করে দুইশ’ আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োগ করা হয়েছে। তাদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নিয়োজিত করা হবে।


এক যুগ পর চবিতে ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ

২০১২ সালের পর থেকে নবীনবরণের আয়োজন করতে পারেনি ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। অবশেষে এক যুগ পর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাই ডলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে তারা। এতে প্রায় দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

২০১২ সালের পর থেকে নবীনবরণের আয়োজন করতে পারেনি ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। অবশেষে এক যুগ পর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাই ডলাইন প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে তারা। এতে প্রায় দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এজে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চবি শাখার শিক্ষা ও এইচ আর এম সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় চবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উদ্বোধনী বক্তব্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. ওসামা রায়হান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী এবং চবি শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানতে পারেনি। দেশব্যাপী এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি ছিল। আমরা কোনও শিক্ষার্থীকে জোর জবরদস্তি করে বলি না যে, ছাত্রশিবির করতে হবে। সবাই দলে দলে এসে শিবিরে যোগ দেবে এমনটাও চাই না। আমরা চাই একজন মানুষ হিসেবে আপনারা নীতি- নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও ইসলামি মূল্যবোধ বজায় রাখেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো কাজ করতে আমরা অন্যান্য সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা সবাইকে বলবো, আপনারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো ভালো ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেন।’

ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বরকত আলী বলেন, ‘মানুষ হলো একটা সামাজিক জীব, যারা অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে না। অন্য মানুষকে হত্যা করে না। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের পাঁচটি বিষয় খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এগুলো হলো, চরিত্র, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ, সক্ষমতা ও সাহস। এসব না থাকায় আজ আমরা সমাজ ও দেশের নেতৃত্ব সঠিকভাবে দিতে পারি না। কারণ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক নেই। নেতৃত্ব ও জ্ঞান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা কম হয়। আজ চীন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, যোগ্য ও সক্ষম নাগরিক হিসেবে তৈরি করে তুলছে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাজাতে হবে। শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের অন্তর্চক্ষুকে বাড়াতে হবে। কারণ বিপ্লব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’ সমাপনী বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের
চবি আত্মত্যাগে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, আমরা আজ তাদের স্মরণ করছি। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখবো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে আগেও সচেতন ছিলাম, আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো। আগামীর বিশ্ববিদ্যালয় হবে মাদক ও অস্ত্রমুক্ত।’ অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে দুর্নিবার শিল্পীগোষ্ঠী।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর