গেল ২৪ ঘণ্টায় এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জনে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
গেল ২৪ ঘণ্টায় এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে চলতি বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জনে।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৯৯ জনে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৫ জন, ময়মনসিংহে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ৬৩ জন, খুলনায় ৪৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন এবং সিলেট বিভাগের রোগী ৫ জন ভর্তি হয়েছেন। রংপুর বিভাগে গেল ২৪ ঘণ্টায় কোনো ভর্তি নেই।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎ- সাধীন ছিলেন।
এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৯৩৮ জন; আর ২ হাজার ২৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩৬ হাজার ২০৯ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ হাজার ৯৯০ জন।
এ বছর ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ পেয়েছে বর্ষা মৌসুমের শেষে এসে। কেবল অক্টোবর মাসেই ৩০ হাজার ৮৭৯ জন এ রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা সারা বছরের মোট ভর্তি রোগীর অর্ধেক। এর অক্টোবরে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ১৩৪ জনের, যা বছরের মোট মৃত্যুর ৪৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
দেনার ভারে জর্জরিত চসিক
দেনার ভারে জর্জরিত হয়ে আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। বর্তমানে ৪১১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেনা রয়েছে সংস্থাটির। যার সিংহভাগই পাবেন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদাররা। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা, বিদ্যুৎ বিল এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিল খাতে রয়েছে বাকি দেনা। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
দেনার ভারে জর্জরিত হয়ে আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। বর্তমানে ৪১১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা দেনা রয়েছে সংস্থাটির। যার সিংহভাগই পাবেন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদাররা। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা, বিদ্যুৎ বিল এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আনুতোষিক ও ভবিষ্য তহবিল খাতে রয়েছে বাকি দেনা।
চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, বিল না পেলে কাজ শেষ করতে গড়িমসি করেন ঠিকাদাররা। এছাড়া চলমান একটি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকারি সহায়তার সঙ্গে ২০ শতাংশ ‘ম্যাচিং ফান্ড’ হিসেবে পরিশোধ করতে হয় চসিককে। ম্যাচিং ফান্ডের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে প্রকল্পটির বিপরীতে সরকারি সহযোগিতাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে চসিকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে দেনা।
এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার চসিক মেয়র হিসেবে শপথ নিবেন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। এছাড়া মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে তার। অর্থাৎ এমন সময়ে তিনি মেয়রের দায়িত্ব নিচ্ছেন যখন দেনায় জর্জরিত চসিক। ফলে বিপুল অংকের দেনা মাথায় নিয়ে নগরপিতার আসনে বসা ডা. শাহাদাত নাগরিক সেবা নিশ্চিতে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করেন নগরবাসী।
এ বিষয়ে ডা. শাহাদত হোসেন আজাদীকে বলেন, ফান্ডে টাকা থাকলে কাজ করা সহজ। এখন কিছুটা চ্যালেঞ্জ হবে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেই কাজ করতে হবে আমাকে। ২০০১ সালে আমি রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিই। তখন প্রতিষ্ঠানটির অনেক টাকা দেনা ছিল। ২০০৮ সালে আমি বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাড়ে তিন কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখে আসছি সেখানে। কাজেই কর্পোরেশনেরও যেসব দেনা আছে তা শোধ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে একটি স্বাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। সেজন্য আমি কাজ করে যাব। তিনি বলেন, স্বাবলম্বী করার জন্য আয়বর্ধক প্রকল্প নেব। আরো কিছু পরিকল্পনা আছে। বন্দরের সঙ্গে বসব। বন্দরকে প্রচুর লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার পরও কর্পোরেশনকে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ অল্প কিছু টাকা দেয়। চসিকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেনা থাকলেও বর্তমানে চসিকে ১০০ কোটি টাকার এফডিআর আছে। এছাড়া ৬টি প্রকল্পের বিপরীতে আছে সরকারি বরাদ্দও। ফলে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে খুব বেশি সমস্যা হবে না ডা. শাহাদাত হোসেনের।
কোন খাতে কত দেনা : কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক খাতে ৬৩ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৮৫৮টাকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল খাতে ৫৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭২ টাকা দেনা আছে। সড়কবাতির বিদ্যুৎ বিলের দেনা ২৬ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৭৪৪ টাকা, কর্ণফুলী নদীর তিনটি ঘাটের বিপরীতে পটিয়া, কর্ণফুলী এবং আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ চসিকের কাছে পাবে ৪ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ৯ টাকা।
অন্যান্য দেনার মধ্যে থোক বরাদ্দ খাতে ৪৭ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ২৪৩ টাকা ও সাধারণ বরাদ্দের বিপরীতে ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৬ টাকা পাবেন ঠিকাদাররা। একইসঙ্গে ৭৬-ট ধারায় সমাপ্ত উন্নয়ন কাজের বিপরীতেও ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৬ পাবেন ঠিকাদাররা।
চসিকের যান্ত্রিক শাখার ১২ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ১৭৫ টাকা এবং বিদ্যুৎ শাখার ৮ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৫৬১ টাকা এবং নেজারত শাখার ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ টাকা দেনা আছে। এছাড়া কোভিড-১৯ প্রকল্পে ৮৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিভিন্ন পত্রিকা বিজ্ঞাপন খাতে চসিকের কাছে পাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫০২ টাকা।
সমাপ্ত প্রকল্পেও দেনা: চসিকের সাবেক মেয়রদের আমলে সমাপ্ত হওয়া ৯টি প্রকল্পের বিপরীতেও দেনা রয়েছে। যার পরিমাণ ৮৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ২০৭ টাকা। প্রকল্পগুলোর ঠিকাদাররা এ অর্থ পাবে চসিকের কাছে। এর মধ্যে সিডিএমপি-২ (বহাদ্দারহাট ও মহেশখাল) প্রকল্পে ২৭ লাখ ৫২ হাজার ৮২৬ টাকা, অ্যাসফল্ট প্লান্ট দ্বারা রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ টাকা, ইমপ্রুভমেন্ট অব গার্বেজ ডিসপোজাল সিস্টেম প্রকল্পে ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০০ টাকা, মেরিনার্স বাইপাস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ১ কোটি ৭ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৯ টাকা, নগরের বিভিন্ন এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (আইসিসি ক্রিকেট প্রকল্প) ৩ কোটি ৯০ লাখ ৯ হাজার ৫ টাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ৭৭ লাখ ২১ হাজার ২৯৭ টাকা, নগরের বিভিন্ন রাস্তা ও ফুটপাত উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৬২ হাজার ৫০ টাকা, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাসমূহের এবং নালা প্রতিরোধ দেওয়াল, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ বা পুনঃ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭১ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং ব্রিজসমূহের উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি ও সড়ক আলোকায়ন প্রকল্পে দেনা আছে ২০ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ৬১৬ টাকা।
সাবেক মেয়রদের যাত্রাকালে কত দেনা ছিল ২০১০ সালের ২০ জুলাই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলন মোহাম্মদ মনজুর আলম। ওইদিন চসিকের দেনা ছিল ১৯৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ২৬৬ টাকা। একইদিন কর্পোরেশনের তহবিলে ছিল মাত্র ১২ কোটি টাকা।
এছাড়া রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন চসিকের দেনা ছিল ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওইদিন চসিকের দেনার পরিমাণ ছিল ২৩৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৫ টাকা। অবশ্য তিনি মেয়র হিসেবে শপথ নেন ২০১৫ সালের ৬ মে। ওই দিন পূর্বের মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের রেখে যাওয়া দেনার পরিমাণ ছিল ২৯৫ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ১৭৪ টাকা।
আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের আগে আ জ ম নাছির ব্যক্তিগত উদ্যোগে যোগাযোগ করেন মন্ত্রণালয়ে। তখন চসিককে ৫০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেয় সরকার। ওই টাকাসহ ৬০ কোটি ৮৭ লক্ষ হাজার ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা দেনা পরিশোধ করে চসিক। ফলে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের দিন দেনার পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। আ জ ম নাছির তার সর্বশেষ কর্মদিবসে চসিকের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। এতে দেনা হিসেবে উল্লেখ করা হয় ৭৯০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রামে বই পড়ে পুরস্কার পেল সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেছেন, সুন্দর স্বপ্নে ভরা বই আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এসব বই একেকটি জ্ঞানের আধার। উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞান ছাড়া একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেছেন, সুন্দর স্বপ্নে ভরা বই আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এসব বই একেকটি জ্ঞানের আধার। উন্নত জাতি গঠনে নতুন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন। জ্ঞান ছাড়া একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম নগরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে নগরের ৯৩টি স্কুলের প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উৎসবে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী, রিহ্যাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল, গ্রামীণফোন চট্টগ্রাম সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সবসময় আলোকিত মানুষ তৈরির জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার শিরোনামের চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২ হাজার ৪ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৬৭১ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ৭৪০ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৮৮ জন।
বিজয়ী ৫ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। কর্মসূচির নিয়মানুসারে সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি পর্বে ১ জন অভিভাবককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্কেল বিজনেস হেড সামরিন বোখারী বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সাথে গ্রামীণফোন প্রায় দুই দশক ধরে আছে। গ্রামীণফোন চায় সারা বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ তৈরি হোক। কারণ গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে আলোকিত মানুষ ছাড়া দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। এখন মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে বই পড়া যাচ্ছে। এছাড়া জিপি একাডেমি ও গ্রামীণ এক্সিলেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের শুভার্থী ও সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভালো কিছু ছড়িয়ে দিতে পারার মাঝেই আনন্দ। ভালো কিছুকে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়ব। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আলোর পথযাত্রী হিসেবে তোমরা আমাদের সাথে আছ, থাকবে। নিজের জীবনকে আলোকিত করার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। আমি চাইব তোমরা সারাজীবন বইয়ের সাথেই থাকবে।
রিহ্যাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো মানুষ না হলে কেউ আলোকিত মানুষ হতে পারে না। আর আলোকিত মানুষ হতে হলে আমাদের সবাইকে ভালো বই পড়তে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, তোমাদের মতো আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন থেকেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়ার সাথে যুক্ত ছিলাম।
উল্লেখ্য, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছেচল্লিশ বছর ধরে সারাদেশে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে সারাদেশে এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ লাখ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সুপারি মজানোর গর্তে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু, আহত ৩
ফটিকছড়িতে মাটির নিচে বানানো পচা সুপারির গুদাম হতে সুপারি সংগ্রহ করতে গিয়ে মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ (৩৮) ও মুহাম্মদ শফি (৪২) নামের আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের (৬ নম্বর ওয়ার্ড) গুরু সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
ফটিকছড়িতে মাটির নিচে বানানো পচা সুপারির গুদাম হতে সুপারি সংগ্রহ করতে গিয়ে মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ (৩৮) ও মুহাম্মদ শফি (৪২) নামের আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সকালে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের হাইদচকিয়া গ্রামের (৬ নম্বর ওয়ার্ড) গুরু সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই ভাই ওই এলাকার ছালে আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় মুহাম্মদ শফি, মুহাম্মদ তহিদ ও মুহাম্মদ ফারুক নামে তিনজন আহত হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত শফি একজন সুপারি ব্যবসায়ী ও মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রবাসী। উনি ওমান থাকেন, ছুটিতে দেশে এসেছেন। তাদের পরিবার পূর্ব পুরুষ হতে বর্তমান পর্যন্ত সুপারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
সুপারির মৌসুমে উনারা কম দামে সুপারি সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করেন। এ উদ্দেশ্যে নিহতদের পরিবার বাড়ির সামনে মাটির নিচে আনুমানিক ৮ ফুট বাই ১০ ফুটের একটি পাকা ট্যাংকি করে (যা অনেকটাই সেপটিক ট্যাংকের মতো) ওখানে সুপারি সংগ্রহে রাখেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই সুপারি ট্যাংক হতে নিহত শফির স্ত্রী যান সুপারি সংগ্রহ করতে।
ট্যাংকে নামার পর উনি অসুস্থ বোধ করলে চিৎকার শুরু করেন। এতে সবাই উনাকে উদ্ধারে ছুটে যান। এতে শফির বউ সুস্থতার সাথে রক্ষা পেলেও চারিদিকের মানুষ জড়ো হয়ে তিনজনকে ওই সু- বাকিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিৎকার চেঁচামেচিতে পারি ট্যাংকি হতে উদ্ধার করা গেলেও শফিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে খবর পেয়ে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শফিকে উদ্ধার করে হাস- পাতালে পাঠান। হতাহতদের নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সবাইকে নগরীর চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক শহিদুল্লাহ ও শফিকে মৃত ঘোষণা করে বাকিদের ভর্তির ব্যবস্থা করেন বলে জানা যায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।
সুপারির ট্যাংকে পড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন-গ্যাস বিক্রিয়ায় ওদের মৃত্যু হয়েছে। ওই সুপারির ট্যাংকের ভেতরে আলো বাতাস কম থাকায় এই মারাত্মক গ্যাসের সৃষ্টি হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে গ্যাস বিক্রিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখব।
চাটগাঁর চোখ ডেস্ক