শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চট্টগ্রামে হঠাৎ করে কেন এই লোডশেডিং

কার্তিকের গরমের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। দিনে- সন্ধ্যা ও রাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ওঠানামা করছে। চট্টগ্রামে পিডিবির হিসেব অনুযায়ী দুপুরে-সন্ধ্যা ও রাতে যে পরিমাণ লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয় বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

কার্তিকের গরমের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। দিনে- সন্ধ্যা ও রাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ওঠানামা করছে। চট্টগ্রামে পিডিবির হিসেব অনুযায়ী দুপুরে-সন্ধ্যা ও রাতে যে পরিমাণ লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয় বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি। পিডিবির অনেক সাব স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছেন তারা।

হঠাৎ করে কেন এই লোডশেডিং- এর কারণ জানতে গিয়ে মোটা দাগে দুটি বিষয় সামনে এসেছে। প্রথমটি হলো, বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি (গ্যাস-কয়লা ও ফার্নেস অয়েল) সংকট। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কার্তিকের তীব্র গরমে কুলিং লোড বেড়ে যাওয়া।

প্রতি বছর গ্রীষ্মের পর শরৎ ও হেমন্তের এই সময়ে অর্থাৎ কার্তিক মাসে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়, যা সামাল দিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। এবার কার্তিকের এই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতিও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে পিডিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলের সার্কেল (পূর্ব) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র এবং মাতারবাড়ি ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে।

এছাড়াও কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট, ১০০ মেগাওয়াটের এনার্জি প্যাক, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, , রিজেন্ট পাওয়ার এবং ৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টটিও বন্ধ রয়েছে। পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, আজকে (গতকাল বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় ১৫৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।

সন্ধ্যা ৭টায় লোডশেডিং ছিল ৫৩ মেগাওয়াট। আজকে দুপুর ১১টায় চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ ছিল ১১১৩ মেগাওয়াট। ২টায় সরবরাহ কমে যায়। তখন জাতীয় গ্রিড থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯০০ মেগাওয়াট। তখন কিছুটা লোডশেডিং ছিল। রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামে সরবরাহ ১৫৮৯ মেগাওয়াট ছিল বলে জানান তিনি।

গতকাল চট্টগ্রামে দিনের বেলায় বিশেষ করে দুপুর ২টা থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সীমাহীন বেড়ে যায়। এই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বিকালেও ছিল। সন্ধ্যায়ও নগরীর বেশি কিছু এলাকায় লোডশেডিং ছিল।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির খুব সামান্য অংশ হলো গ্যাস। চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানাসহ সকল শিল্পকারখানায় এবং আবাসিকের গ্যাসটা আসে এলএনজি থেকে। এছাড়াও তরল জ্বালানি (ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল) এবং কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে চট্টগ্রাম ও কাজারের মাতারবাড়িতে। কাজার মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে কয়লা সংকটের কারণে।


বিদ্যুৎ বিভাগে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) এখনও তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছেন। এটি দৈনিক পূর্বদেশের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) এখনও তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছেন।

এমনকি বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান দপ্তর থেকে গত ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর তিনটিসহ আরও কয়েকটি বদলি/পদায়নের আদেশ হলেও সেখানে চট্টগ্রামের কোনো প্রকৌশলী বা কর্মকর্তার নাম নেই। গত কয়েকদিন বিপিডিবি প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও পদবঞ্চিতদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্যমতে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যেসব কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের হয়ে কাজ করেছেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে সেসব দোসররা পদায়ন পেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আছেন।

ফলে আওয়ামী লীগের আমলে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা এখনও বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে আওয়ামীবিরোধী মনোভাবাপন্ন বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দলীয়করণ করে রেখেছিল। পুলিশ- প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রতিটি দপ্তরে তাদের দোসররা কাজ করছে। এসব কর্মকর্তাদের রাখার উদ্দেশ্য হলো, সেখান থেকে সুবিধা নেয়া। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা সরকারি দপ্তরকে নিজের ঘর মনে করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইচ্ছেমত ব্যবহার করেছে। তবে এখন তা আর হতে দেয়া যাবে না। এসব অসাধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদি দোসরদের সরিয়ে দ্রুত সংস্কারের আওতায় আনতে হবে। পদবঞ্চিতদের মধ্যে যাদের কোনো দুর্নীতি নেই, আওয়ামী লীগের চামচামি করেনি, তাদেরকে যোগ্য জায়গায় পদায়ন করা উচিত। এটা আমাদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করা হবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিপিডিবি’র প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে কর্মরত প্রকৌশলীরা ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ’র সদস্য। তারা চট্টগ্রামের আওয়ামী নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রীদের কথামতো চলতেন। এমনকি সাধারণ একটি গ্রাহকের সংযোগ মিটার লাগাতেও আওয়ামী নেতাদের কথামতো কাজ করতেন তারা।

একাধিক পদবঞ্চিত প্রকৌশলী বলেন, বিগত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি, নির্বাচন প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। যা সকলে অবগত রয়েছেন। তাছাড়া আওয়ামী ঘরানার ঠিকাদারদের কাজ দেয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে গেলেও সরকার পরিবর্তনের পরও তাদের বদলি বা পদায়নের খবর নেই।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। তবে বোর্ডের জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক মো. শামীম হাসান পূর্বদেশকে বলেন, সারাদেশে অভ্যুত্থানের পর সরকার প্রতিটি সেক্টরে সমতা ফিরিয়ে এনেছে। বিদ্যুৎ সেক্টরেও ইতোমধ্যে বেশ কিছু বদলি ও পদায়ন হয়েছে। আমাদের বিপিডিবিতেও এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি আদেশ হয়েছে। সেখানে যদি চট্টগ্রামের বিষয় না থাকে, তবে সেখানেও বৈষম্য দূর করে সমতায় ফিরিয়ে আনা হবে।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর উপপরিচালক-১ (কর্ম) মো. বনি আমিন স্বাক্ষরিত আদেশে ২৩ জন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিক্রয় ও বিতরণ জোনে পদস্থ করা হয়।

এরপর ১০ সেপ্টেম্বর উপপরিচালক-২ (কর্ম) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আরেক আদেশে ৮ জন কর্মকর্তাকে পদস্থ করা হয়। এভাবে গতানুগতিক গত ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ আরেকটি আদেশে ২১ জনকে পদস্থ করা হয়। কিন্তু এসব আদেশে বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বা বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কোনো প্রকৌশলী-কর্মকর্তাকে বদলি বা পদস্থ করা হয়নি। সামনের সপ্তাহে বোর্ডের অডিট, ফাইন্যান্স এবং একাউন্ট বিভাগে বদলির সম্ভাবনা আছে বলে একটি সূত্রে জানা গেলেও চট্টগ্রামের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পদবঞ্চিত প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রকৌশলী জানান, গত ৫ এপ্রিল পিএন্ডডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হওয়ায় যোগ্য কর্মকর্তা থাকা সত্ত্বেও তাকে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান প্রকৌশলী করা হয়েছে।

বোর্ডের উপ-পরিচালক-১ (কর্ম) মো. বনি আমিন স্বাক্ষরিত আদেশে এ পদায়ন করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের ব্যবহার করে এ পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। গত ৭ এপ্রিল তিনি বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করলেও সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এবং বিপিডিবি এখনও তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছে। এমনকি তিনি চট্টগ্রামের অন্যান্য প্রকৌশলীদেরও বদলির হাত থেকে বাঁচিয়ে সেইফ জোনে রাখছেন।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ্ সূত্রে জানা গেছে, এ পরিষদে ২৫৮ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জোনে কাজ করছেন সাংগঠনিক সম্পাদক-৩ খুলশী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এফ এম নুরুদ্দীন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক-৬ চট্টগ্রাম জোনে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (দক্ষিণ) উজ্জল কুমার মোহন্ত, পিসি পোলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার দেবনাথ, স্টেডিয়াম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেনোয়ার হোসেন, ফৌজদারহাট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস ইবনে আলম, চট্টগ্রাম জোনে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এরশাদ আলী, পটিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউন নবী বৃত্ত, খুলশী বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাঈদ ইকবাল পারভেজ। এছাড়া অন্যান্য সদস্যরা হলেন মোহরা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফায়জুল আলিম আলো, হাটহাজারীর নির্বাহী প্রকৌশলী নেওয়াজ আহমেদ খান (ডলার), হালিশহরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম, মাদারবাড়ি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোরশেদ আলী চৌধুরী, পাথরঘাটা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (উত্তর) শেখ মো. মাহফুজুল হক, আগ্রাবাদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিংহলা মং মারমাসহ আরও অনেকে। তবে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহানকে এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।


খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ির শান্তি রঞ্জন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে তিন ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ির শান্তি রঞ্জন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ইউ- পিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে ইউপিডিএফের তিনজন কর্মী সিজন চাকমা, শাসন ত্রিপুরা ও জয়েন চাকমা ঘটনাস্থলে নিহত হন।

এদিকে, তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তার শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউি পডিএফ)।

গতকাল বুধবার ইউপিডিএফের প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অবরোধের ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ। বিবৃতিতে বলা হয়, গতবছর এই সন্ত্রাসীরা পানছ- ড়ির পুজগাঙে বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যা করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার-প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ তিনটি উদ্ধার করে পানছড়ি থানায় আনা হয়েছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর