সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হাসিনার ঘনিষ্ঠরা ব্যাংকখাত থেকে লুট করেছেন ২ লাখ কোটি টাকা : গভর্নর

শেখ হাসিনার আমলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের সমর্থনপুষ্ট প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ কোটি টাকা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

শেখ হাসিনার আমলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের সমর্থনপুষ্ট প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ লাখ কোটি টাকা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, জোর করে ওইসব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিতে সহায়তা করে ডিজিএফআই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পাওয়া মনসুর বলেন, ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ, বাড়িয়ে দেখানো আমদানি ব্যয়ের (ওভার ইনভয়েসিং) মতো কৌশল ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক দুই ট্রিলিয়ন টাকা বা ১ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার পাচার করা হয়েছে।

তার ভাষায়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবেচনা করলেও যে কোনো বিচারে ব্যাংক ডাকাতির সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি। এই মাত্রায় কোথাও এমনটা ঘটেনি। এতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল এবং গোয়েন্দারা (ব্যাংকের তখনকার সিইওদের) মাথায় বন্দুক না ঠেকালে এটা ঘটতে পারত না।
খবর বিডিনিউজের

গভর্নর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এস আলমের গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার সহযোগীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে অন্তত ১০০০ কোটি ডলার বা ১০ বিলিয়ন ডলার সরিয়েছে। প্রতিদিন তারা নিজেরাই নিজেদের ঋণ দিচ্ছিল।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, অভিযোগের বিষয়ে এস আলমের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছিল তারা। সাইফুল আলমের তরফে ল ফার্ম কুইন ইমানুয়েল উরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেছে, মনসুর যেসব অভিযোগ তুলেছেন সেসবের কোনো সত্যতা নেই।

বিবৃতিতে পাল্টা অভিযোগে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে মৌলিক নীতিগুলোর প্রতিও সম্মান দেখানো হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, (এস আলম) গ্রুপের অতীত ইতিহাস ও অবদানের নিরিখে গভর্নরের অভিযোগ আমাদের কাছে… বিস্ময়কর ও অযৌক্তিক ঠেকছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, অভিযোগের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর সাড়া দেয়নি। ব্রিটিশ পত্রিকাটি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) বক্তব্যও জানতে পারেনি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সব মিলিয়ে দুই দশক ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু ভোট কারচুপি, বিরোধীদের জেলে পাঠানো ও নির্যাতন এবং ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে তার শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান। তারপর শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়।

শেখ হাসিনা সরকারের সদস্য ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে বর্তমান সরকার তা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান মনসুর গত মাসে ফিনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার মিত্রদের বিদেশি সম্পদ অনুসন্ধানে তিনি যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন।

আওয়ামী লীগের আমলে নেতৃস্থানীয় ব্যাংকগুলোর বোর্ড সদস্যরা শাসকগোষ্ঠীর নিশানায় ছিলেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

গভর্নর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, বোর্ড সদস্যদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা অপহৃতদের অস্ত্র ঠেকিয়ে এস আলমের কাছে শেয়ার বেচতে এবং পরিচালকের পদ ছাড়তে বলতেন। একের পর এক ব্যাংকের ক্ষেত্রে তারা এটা করেছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, জোর করে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনের চাপের মুখে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পছন্দের লোককে বোর্ডে বসানো এবং ব্যাংকের একজন বিদেশি পরিচালকের হোটেল কক্ষে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের তল্লাশির কথাও মান্নান বলেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে তাকে আটকানো হয় এবং একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য পুরো এক কর্মদিবস সেখানে আটকে রাখা হয়।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে মান্নানকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, তারা ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকের চিঠিপত্র তৈরি করেছিল। আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছে।

এস আলম গত এক দশকে ব্যাংক খাতে নিয়ন্ত্রণ বিস্তৃত করেছে। গ্রুপটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ সাতটি ব্যাংকে তাদের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এ রকম প্রায় এক ডজন ব্যাংকের (বেশিরভাগই দেউলিয়া) নিরীক্ষা শেষে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্য ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমরা এই নিরীক্ষাকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ আদালতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ওই ব্যাংকগুলোর শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আহসান মনসুর বলেন, ওই ব্যাংকগুলোর শেয়ার এখন ভালো মানের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দুর্দশাগ্রস্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা অবসায়নে একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফার্ম গঠনের পরিকল্পনা আছে।

দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য বা অন্য জায়গায় এসব ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের নামে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থাগুলোকে নিয়োগ দেওয়ার কথাও সাক্ষাৎকারে বলেছেন গভর্নর।


আপাতত ৫টি র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে না

নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫টি র‍্যাম্প আপাতত নির্মাণ করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে নির্মাণের সুযোগ রেখে আপাতত ৯টি র‍্যাম্প নির্মাণের পরই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫টি র‍্যাম্প আপাতত নির্মাণ করা হচ্ছে না। পরবর্তীতে নির্মাণের সুযোগ রেখে আপাতত ৯টি র‍্যাম্প নির্মাণের পরই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। মূল নকশা থেকে ৫টি র‍্যাম্প বাদ দেয়া হলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটিতে বড় কোন সমস্যা হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রথম বোর্ড সভায় গতকাল এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। সিডিএ সূত্র জানিয়েছে, নগরীর যানজট নিরসনসহ বহুমুখী লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নগরীর লালখান বাজারে ইতোপূর্বে নির্মিত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সাথে যুক্ত হবে। এতে পতেঙ্গা থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে শহরের অধিকাংশ যানবাহন চলাচল করবে।

ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য মূল ফ্লাইওভার থেকে ৮টি এলাকায় ১৪টি র‍্যাম্প নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে নকশা প্রণয়ন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে ইতোমধ্যে কয়েকটি র‍্যাম্প নিয়ে আপত্তি উঠে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নগরীর টাইগারপাসের একটিসহ মোট ৫টি র‍্যাম্প নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিএ। তবে এসব র‍্যাম্প পরবর্তীতে নির্মাণ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই পাঁচটি র‍্যাম্পের মধ্যে টাইগারপাস অংশে পলোগ্রাউন্ডের দিক থেকে ওঠার র‍্যাম্প, আগ্রাবাদের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে নামার র‍্যাম্প, কেইপিজেডে নামার র‍্যাম্প এবং আগ্রাবাদের এক্সেস রোডে উঠা ও নামার দুইটি র‍্যাম্প এখন নির্মাণ করা হবে না।

শুরুতে আগ্রাবাদে চারটি, টাইগারপাস, নিমতলা, সিইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় দুটি করে এবং জিইসি মোড়, ফকিরহাটে একটি করে র‍্যাম্প নির্মাণের কথা ছিল। আগ্রাবাদ এলাকার চারটির মধ্যে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সড়কে একটি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সড়কে একটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কে দুটি র‍্যাম্প নির্মাণের কথা ছিল। এখন সেখানে একটি র‍্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে।

রেলওয়ে থেকে জায়গা নিয়ে ডেবারপাড়ে এই র‍্যাম্প নির্মাণ করা হবে। যা দিয়ে আগ্রাবাদ এলাকা থেকে ফ্লাইওভারে উঠে পতেঙ্গা যাওয়া যাবে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এবং জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে আপাতত র‍্যাম্প নির্মাণ করবে না সিডিএ। টাইগারপাস এলাকার পলোগ্রাউন্ড দিকের রাস্তা থেকেও কোন র‍্যাম্প নির্মাণ করা হবে না। এই এলাকার মানুষকে জিইসি মোড়ের র‍্যাম্প ব্যবহার করে ফ্লাইওভারে উঠতে হবে।

নিমতলা এলাকায় দুইটি র‍্যাম্প নির্মিত হবে। এর একটি দিয়ে উঠে লালখান বাজারের দিকে আসা যাবে অপরটি দিয়ে সি বিচ থেকে এসে নিমতলায় নামা যাবে। ইপিজেডের সামনে একটি র‍্যাম্প দিয়ে নামা যাবে এবং ইপিজেডের ভিতর থেকে উঠে আসা একটি র‍্যাম্প দিয়ে লালখান বাজারের দিকে আসা যাবে। কর্ণফুলী ইপিজেডের কাছে নির্মিত র‍্যাম্প দিয়ে উঠে লালখান বাজারের দিকে আসা যাবে। ফ্লাইওভার থেকে ফকিরহাটে একটি র‍্যাম্পে নামা যাবে। আমবাগানে নামার র‍্যাম্পটি ইতোমধ্যে নির্মিত হয়ে গেছে।

উপরোক্ত নয়টি র‍্যাম্প দিয়েই আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটি রক্ষা করা হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদেরকে ৯টি র‍্যাম্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য বোর্ড থেকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। আমরা চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করে রাস্তা সংস্কার করে দেবো। বাকি ৫টি র‍্যাম্প পরবর্তীতে নির্মাণের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। ওগুলোর ব্যবস্থা থাকবে, যাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজন দেখা দিলে সেগুলো নির্মাণ করা যায়।

উল্লেখ্য, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ২৮ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। যানবাহন চলাচলে কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলে টোল আদায় করা হবে বলে উল্লেখ করে ইতোপূর্বে বলা হয়েছিল যে, যান চলাচল শুরুর প্রথম দিন থেকেই টোল আদায় করা হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো টোল প্রস্তাবের অনুমোদন না পাওয়ায় এখনো টোল নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।.

সিডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস দৈনিক আজাদীকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই আমরা টোলের ব্যাপারটি কার্যকর করবো।


মেয়েদের সাথে সম্পর্কের নামে প্রতারণাই নেশা চবি শিক্ষার্থীর

সম্পর্কের নাম দিয়ে অসংখ্য মেয়ের সাথে প্রতারণা ও হেনস্তার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

সম্পর্কের নাম দিয়ে অসংখ্য মেয়ের সাথে প্রতারণা ও হেনস্তার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।

আটকের পর তার মোবাইল চেক করে অসংখ্য নারীর সাথে সম্পর্কের, টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম এইচ বি রাফসান। তিনি বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ছাত্র।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নাট্যকলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে ছাত্রী। আমার সাথে অনেক বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ স্টাডিজের ছাত্র এইচ বি রাফসানের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি তার দুই বছরের সিনিয়র হওয়ার পরও সে আমাকে পরিবারের কথা বলে বলে তার প্রতি আগ্রহী করে তুলে।

আমাদের অনেকদিন যাবৎ সম্পর্ক ভালো ছিল। তার পরিবার অর্থাৎ তার মায়ের সাথে ভালো যোগাযোগ ছিল। তার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তার মা আমাকে বলে তার সাথে সবসময় থাকতে।
এজন্য আমি সাথে থাকতে হয় এবং রাত ৩ টার | সময় পর্যন্তও তাকে মেডিকেলে নিতে হয়। সে আমার সাথে রিলেশন থাকা অবস্থায় এবং অসুস্থ থাকা অবস্থায় মেডিকেলে অনেক মেয়ে তাকে কল করে। যার কারণে আমি বুঝতে পারি সে এবং তার মা আমার সাথে প্রতারণা করছে।

সে কায়দা করে চট্টগ্রামে এপেনডিক্স অপারেশন না করে রাজশাহীতে চলে যাওয়ার চাপ প্রয়োগ করে। তার অসুস্থতা দেখে আমি তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দিই। সে সুস্থ হওয়ার পর আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং প্রতারণা করে।

অভিযুক্তের মোবাইলে প্রক্টর অফিসে প্রক্টরিয়াল বড়ির তল্লাশিতে প্রমাণ স্বরূপ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপে অন্তত দুইডজন মেয়ের সাথে ছলনার প্রেমের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার মেয়েরা এই প্রতারণার শিকার। সকল মেয়েকে বলতো আমার বাবা মা স্টোক করে মারা গেছে। আমি এতিম। এতিমকে কেউ ভালোবাসেনা। এমন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েদেরকে তার দিকে আকৃষ্ট করতো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইলে ভুক্তভোগীসহ প্রায় দুইডজনের উপরে মেয়েদের সাথে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই অভিযোগপত্র ছাত্র উপদেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে যাবে। তারপর বাকিটা আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিবো। এখন অভিযুক্তকে আপাতত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


চট্টগ্রাম বন্দরের নদী ভরাটের ক্ষমতা নিয়ে রুল

নদী ভরাটের ক্ষমতা দিয়ে করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২ -এর ১০ (২) (চ) ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নদী ভরাটের ক্ষমতা দিয়ে করা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২২ -এর ১০ (২) (চ) ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সি চবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন পাস করা হয়। আইনের ১০ ধারায় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। আইনের ১০ (২) (চ) ধারায় নদী ভরাটেরও ক্ষমতা দান করা হয়েছে। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড ফিস ফর বাংলাদেশ (এই- চআরপিবি) রিট দায়ের করে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র আই নজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর