সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৫ কোটির বিলাস বহুল ল্যান্ড ক্রুজার বিক্রি হল ২ কোটিতে

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে তোলা সেই ৫ কোটি টাকার বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি অবশেষে ২ কোটি টাকায় পেলেন এক দরদাতা। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে তোলা সেই ৫ কোটি টাকার বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি অবশেষে ২ কোটি টাকায় পেলেন এক দরদাতা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অনলাইন নিলামে এই গাড়ির জন্য ১৩ জন দরদাতাকে টপকে সর্বোচ্চ দর দিয়ে গাড়িটি পেয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকার প্রতিষ্ঠান হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিসহ মোট ১৪জন এই গাড়িটি কেনার জন্য দর জমা দিয়েছিল।

৫ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের এই ল্যান্ড ক্রুজারের সর্বোচ্চ দর ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা দিয়ে গাড়িটি জিতে নিল হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেড। সংরক্ষিত মূল্যের ৪১% দর পাওয়াকে সন্তোষজনক বিবেচনা করে গাড়িটি বিক্রির অনুমোদন দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অনলাইন নিলামে মোট ৪৬ লট পণ্য রাখা হয়েছিল। তারমধ্যে একটি লটের নিলাম স্থগিত হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৪৫ লটের নিলামে দর জমা পড়ে ১৯টি লটে। পড়ে দরদাতাদের প্রস্তাবিত মূল্য তালিকা যায় নিলাম কমিটির কাছে।

গত ২০ অক্টোবর দর জমা পড়া ১৯টি লটের মধ্যে মাত্র ৮টি বিক্রির জন্য অনুমোদন দেয়। এই ৮টির মধ্যে রয়েছে সেই বিলাস বহুল ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি।

ওই একই নিলামে বিলাসবহুল ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকার একটি ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনতে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা দর দিলেও সেটি বিক্রির অনুমোদন দেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গাড়িটির জন্য নিলামে সর্বোচ্চ ওই দর দিয়েছিলেন সীতাকুণ্ডের শিপব্রেকিং প্রতিষ্ঠান যমুনা শিপ ব্রেকাস।

প্রতিষ্ঠানটি ছাড়াও এই গাড়িটির জন্য আরো তিনজন দর জমা দিয়েছিলেন। তবে অনলাইন ওই নিলামে মার্সিডিজ বেঞ্জে সংরক্ষিত মূল্যের মাত্র ২৫% দর পাওয়ায় সেটি বিক্রির অনুমোদন দেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিক্রির অনুমোদন পাওয়া লটগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০ নম্বর লটের পলি ওভেন ডাই ফেব্রিক্স, ১৫ নম্বর লটের কম্বলের কাপড়, ১৬ নম্বর লটের নন ওভেন ফেব্রিক্স, ১৭ নম্বর লটের কাপড়, ১৯ নম্বর লটের কেমিক্যাল সোডিয়াম সালফেট, ২০ নম্বর লটের বিলাস বহুল ল্যান্ড ক্রুজার, ৩৪ নম্বর লুটের ইঞ্জিন অয়েল এবং ৪৪ নম্বর লটের ফ্লোর টাইলস।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সেলিম রেজা বলেন, যেসব চালানের পণ্য আমদানিকারকেরা খালাস নেন না, ব্যবহার উপযোগিতা থাকে সেগুলো নিলাম করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় ৪৫ লটের অনলাইন নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরমধ্যে যাচাই বাছাই শেষে নিলাম কমিটি ৮টি লটের পণ্য বিক্রির জন্য সন্তোষজনক দর পাওয়ায় বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। বার বার নিলামে তুলেও বিক্রি না হওয়া যেসব পণ্য ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী ধ্বংস করা হবে।

উল্লেখ্য, নিলাম ও পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে একদিকে ডলারে আমদানি করা পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকা পড়ছে বছরের পর বছর। পাশাপাশি এসব কনটেইনার ও কার্গোর কারণে মূল্যবান ইয়ার্ডের জায়গা ও রেফার কনটেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরও।


ট্রেন মিস, কর্মচারীদের মারধর করল এক দল যাত্রী

ট্রেন মিস করায় এক দল যাত্রী রেলওয়ের বুকিং সহকারী গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ট্রেন মিস করায় এক দল যাত্রী রেলওয়ের বুকিং সহকারী গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শনিবার রাতে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন। সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে আসা এই ট্রেন রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছার কথা। কিন্তু তা রাত ১২টা ১০ মিনিটে পৌঁছায়। এই ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন।

কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন দেরিতে পৌঁছায় অন্তত ৪০ জন যাত্রী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেন পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রীরা রেল কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ সময় গিয়াসসহ ৫ কর্মচারী আহত হন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারের লোকাল ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছাতে দেরি হওয়া এবং ট্রেনের কিছু যাত্রী তূর্ণা নিশিতায় টিকেট কাটা ছিল। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রী বলে জানা গেছে। অনাকাক্সিক্ষত কারণে ট্রেন মিস করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা ট্রেনের টিকেট চেকার, ঘোষক ও স্টেশনের বুকিং সহকারী গিয়াস উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে। এতে ৫ জুন আহত হয়।

রেলওয়ের আরেক কর্মচারী জানান, ট্রেন মিস করা যাত্রীরা হইচই শুরু করেন। টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন। টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও তাদের পর্যটক এক্সপ্রেসে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও ৩০- ৩৫ জন তরুণ বুকিং সহকারীকে মারধর করেন।


স্বস্তি ফিরলো দুই পাড়ের মানুষের

সংস্কার কাজ শেষে প্রায় একবছর পর যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে কালু- রুঘাট সেতু। গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সেতু এলাকার দুইপারের মানুষের। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

সংস্কার কাজ শেষে প্রায় একবছর পর যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে কালু- রুঘাট সেতু। গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সেতু এলাকার দুইপারের মানুষের।

গতকাল সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজ- মুল ইসলাম বলেন, বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতু দিয়ে বড় ট্রাক ও বাস চলাচল করতে পারবে না। টোল ছাড়াই আপাতত যানবাহন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

ভূ-সম্পত্তি বিভাগ শিগগিরই রেলসেতু দিয়ে চলা যানবাহন থেকে টোল আদায়ে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, কালুরঘাট সেতুর নতুন সংযোজন হলো দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হয়েছে। আগে সেতুতে পানি জমে থাকায় ঢালাই নষ্ট হয়ে যেতো। কংক্রিটের ঢালাই দেয়ায় এখন আর সেখানে পানি জমে থাকবে না।

এদিকে, যান চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান স্থানীয়রা। বোয়ালখালী এলাকার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গোমতি যেমন কুমিল্লাবাসীর দুঃখ ছিল। তেমনি আমাদের বোয়ালখালীবাসীর দুঃখ ছিল কালু- রঘাট সেতু। আজকে এ সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের কারণে আমাদের যাতায়াত সহজ হয়েছে। আমাদের দুঃখ কিছুটা লাঘব হবে।

প্রসঙ্গত, ৯০ বছরের পুরোনো এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১ আগস্ট। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালু- রঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তারা সংস্কার কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত যান চলাচলের জন্য সেতু চালু করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মূলত দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে আসার পরও নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় পুরোনো কালুরঘাট সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে।

১৯৩১ সালে ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে নির্মিত কালুরঘাট সেতুটি বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। বুয়েটের পরামর্শে সেতুটি সংস্কার করা হয়। ভারী ও দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল করতে সেতুর পিলারগুলোর নদীর পানির নিচে প্রায় ৬০ হাজার জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালি ফেলাসহ মানুষের যাতায়াতে ওয়াকওয়ে এবং রেলপথের ওপর সড়ক কার্পেটিং এ বিশেষ নকশা প্রণয়ন করে রেলওয়ে। নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নের কারণে একমুখী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

কালুরঘাট সেতু দিয়ে বর্তমানে কক্সবাজার পর্যন্ত দৈনিক তিন জোড়া ট্রেন ও দোহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানীবাহী ট্রেন চলাচল করে। তবে কালুরঘাট সেতু সংস্কার ও কর্ণফুলী নদীতে নতুন সেতু নির্মাণের পর এই রুটে দৈনিক ২৩ জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে চালু হওয়া রেলওয়ের ওয়ার্কিং টাইম টেবিলে কক্সবাজার পর্যন্ত আপাতত আরও কয়েকটি ট্রেন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ের।


বাঁশখালীতে রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অসুস্থ অর্ধ শতাধিক

বাঁশখালীর চাম্বল বাজারের এআর কিচেন নামে একটি রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অতিথিসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটি দৈনিক পূর্বদেশের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

বাঁশখালীর চাম্বল বাজারের এআর কিচেন নামে একটি রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে অতিথিসহ অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি অসুস্থ হন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার দুপুরে বাঁশখালী হাসপাতালে হিমোফিলিয়া সোসাইটির একটি অনুষ্ঠান শেষে চাম্বল বাজারে জনৈক মো. আরফাতের মালিকানাধীন ওই রেস্টুরেন্টটির সরবরাহ করা খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ডাক্তার, সাংবাদিক, রোগীদের স্বজনসহ অনেকেই রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হিমোফিলিয়া সোসাইটির কর্মকর্তা, বাঁশখালী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বাঁশখালীতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাঁশখালী হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে হিমোফিলিয়া সোসাইটির একটি কর্মশালা ও প্রচারণা সভা ছিল।

হিমোফিলিয়া সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি মো. দিদারুল আলম অনুষ্ঠানের অতিথি ও মেহমানদের জন্য ২৪০ টাকা দরে ৯০টি কাচ্চি বিরিয়ানির অর্ডার করেন। বিল বাবদ ২১ হাজার ৬০০ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন। অর্ডার নেওয়ার সময় ঢাকা-চট্টগ্রামের নামিদামি হোটেল রেস্টুরেন্টের চেয়ে খাবার ভাল হবে- এমন কথাও বলেছিল রেস্টুরেন্টের পক্ষে।

অনুষ্ঠান শেষে শনিবার দুপুর ২টার দিকে মেহমানরা খাবার খেতে বসে দেখেন খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। পঁচা-বাসি খাবার গরম করে প্যাকেটজাত করা হয়েছে। এমনকি খাবারের সুঘ্রানের পরিবর্তে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এ খাবার খেয়ে অনুষ্ঠানে আগত ডাক্তার, সাংবাদিক, হিমোফিলিয়া রোগী এবং রোগীর স্বজনরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

হিমোফিলিয়া সোসাইটির চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ সভাপতি দিদারুল আলম জানান, এআর কিচেন নামে রেস্টুরেন্টটি কাচ্চি বিরিয়ানি সরবরাহ না করে নিম্নমানের খাবার ধরিয়ে দেয়। খাবার খেতে গিয়ে অনেকেই টেবিল থেকে উঠে যান। অনেকেই অসুস্থবোধ করেন। এমনকি কারো কারো ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। অনেকেই চিকিৎসা নেন। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ প্রতারণা ও ধোকাবাজি করেছে।

এআর কিচেন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন খাবারে সমস্যা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের পুরাতন বাবুর্চি না থাকায় নতুন বাবুর্চি দিয়ে রান্না করতে গিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। খাবারটা নরম হয়ে গেছে। তিনি অতিথিরা অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান এবং এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

বাঁশখালী হাসপাতালের টিএইচও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ জানান, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করেছে। বিষয়টি নিন্দনীয়।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর