শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন

পরীক্ষা হয়নি এমন পরীক্ষার খাতাও পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ২২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থী সর্বমোট ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

পরীক্ষা হয়নি এমন পরীক্ষার খাতাও পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ২২ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থী সর্বমোট ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজী বিষয়ের জন্য। ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ১৪ হাজার ৯৪২টি করে ২৯ হাজার ৮৮৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।

গতকাল চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড বিগত এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সংখ্যা প্রকাশ করে। বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র, যুক্তিবিদ্যা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, ভূগোল, পদার্থ বিদ্যা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, হিসাব বিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং তথ্য ও যোগাযোগ মিলে মোট সাত বিষয়ের ১২টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ফলাফল প্রকাশের পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করার সময় দেয়। ফলাফলে অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করে খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। কিন্তু চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছেন যে, যেসব পরীক্ষা হয়নি সেসব বিষয়ের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য পরীক্ষার্থীরা আবেদন করেছেন।

বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের ৭৬৯৮টি, দ্বিতীয় পত্রের ৭৬৯৮টি, ইংরেজী প্রথম পত্রের ১৪ হাজার ৯৪২টি, দ্বিতীয় পত্রের ১৪ হাজার ৯৪২টি, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ের ৬ হাজার ৮১৭টি, পদার্থ বিদ্যা প্রথম পত্রের ৪ হাজার ৬২টি, দ্বিতীয় পত্রের ৪ হাজার ৬২টি, হিসাব বিজ্ঞান প্রথম পত্রের ২ হাজার ৭শ” দ্বিতীয় পত্রের ২ হাজার ৭শ’, যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের ৭৮৭টি, দ্বিতীয় পত্রে ৭৮৭টি এবং ভূগোল প্রথম পত্রের ১২টি খাতা পুনঃনিরীক্ষনের আবেদন করা হয়েছে।

পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলেও অর্থনীতি প্রথম পত্রের জন্য ১০৮টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১০৮টি, সমাজ বিজ্ঞান প্রথম পত্রের জন্য ৩৩টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩৩টি, মনোবিজ্ঞান প্রথম পত্রের জন্য ৪টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৪টি, পরিসংখ্যান প্রথম পত্রের জন্য ১০টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১০টি, ভূগোল দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১২টি, রসায়ন প্রথম পত্রের জন্য ৩৯টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩৯টি, জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের জন্য ২১টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ২১টি, কৃষি বিদ্যা প্রথম পত্রের জন্য ৩টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৩টি, ইসলামী শিক্ষার জন্য ৪টি করে মোট ৮টি, উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রের জন্য ৫৩টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৫৩টি, পৌরনীতি প্রথম পত্রের জন্য ৯৪টি, দ্বিতীয় পত্রের জন্য ৯৪টি, ইতিহাস প্রথম পত্রের জন্য ১১টি এবং দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১১টি করে পরীক্ষা না হওয়া বিষয়গুলোর খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন বিষয়ের খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন পেয়েছি। এগুলো যাছাই বাছাই করে ফলাফর প্রকাশ করা হবে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষাই হয়নি সেসব বিষয়ের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুল করে হয়তো এগুলো করেছে। এসব আবেদনের কোন মূল্য নেই।


রবিবার কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হচ্ছে

কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজের জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিলো যান চলাচল । আসছে রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজের জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিলো যান চলাচল । আসছে রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, সেতুটি যান চলাচলের জন্য উপযোগী। রবিবার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, ৯০ বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠাি নকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কালুরঘাট রেল সেতু সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেল সচিব আবদুল বাকী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘সংস্কার শেষ হলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। ধারণা করছি অল্পকিছু দিনের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।


চসিক মেয়র হিসেবে ৩ নভেম্বর শপথ নেবেন ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ৩ নভেম্বর শপথ নেবেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে ৩ নভেম্বর শপথ নেবেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টায় তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডা. শাহাদাত হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আজ জানতে পেরেছি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠির একটিতে বলা হয়, ‘আগামী ৩ নভেম্বর (রবিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ নির্বাচিত মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করাতে সম্মতি দিয়েছেন।

“শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ বা আইনগত কোনও জটিলতা
কিনা তা জরুরি ভিত্তিতে জানানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

অন্য এক চিঠিতে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ৮(১) ও (২) ধারা মোতাবেক নবনির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণের সময় সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত হলফনামা দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

‘এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়রের সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত হলফনামা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন।

একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পাওয়ায় নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুসারে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে রাতে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে মেয়রদের অপসারণ করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করায় চসিক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আইনি বাধা পুরোপুরি কেটে যায় ডা. শাহাদাতের।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর