সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে উঠেন হোটেলে, পরদিন নারীর মরদেহ উদ্ধার

নগরের বহদ্দারহাটের আবাসিক হোটেল ‘গুলজার’ থেকে লিপি আকতার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নগরের বহদ্দারহাটের আবাসিক হোটেল ‘গুলজার’ থেকে লিপি আকতার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ফরহাদ নামে এক যুবকসহ গত শনিবার রাতে ওই হোটেলে উঠেন লিপি। তখন নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন তারা। লাশ উদ্ধারের সময় পাওয়া যায়নি ফরহাদকে।

পলাতক ফরহাদ ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদ গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। চান্দগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মো. সবেদ আলী আজাদীকে জানান, স্বামী- স্ত্রী পরিচয়ে দুজন আবাসিক হোটেল গুলজারে রুম ভাড়া নেন। রুমের ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ওই রুমে প্রবেশ করে দেখতে পায়, বাথরুমে গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ। তখন রুমে স্বামী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ সাংবাদিকদের জানান, ধারণা করা হচ্ছে কোনো এক সময় ওই তরুণীর গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ফরহাদ পালিয়েছে। লাশটি কক্ষের বাথরুমে পাওয়া গেছে। গলায় উড়না পেঁচানো ছিল এবং পেছনে মুড়িয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই নারী আগেও অন্য লোকের সাথে একই হোটেলে উঠেছিল।


অনিশ্চয়তায় চসিকের ২১ খাল পুনরুদ্ধার প্রকল্প

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে থাকা নগরীর ২১ খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের বাইরে থাকা নগরীর ২১ খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি (বাস্তবায়নযোগ্যতা নিরীক্ষা) সম্পন্ন করতে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা কনসালটেন্ট ফার্মগুলো এ কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে অর্ধযুগ ধরে আলোচনায় থাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) এই প্রকল্পটি অবশেষে ভেস্তে যেতে পারে।

নগরীর ৩৬টি খাল নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির ৭২ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে ৩৬ খালের বাইরেও নগরীতে আরো ২১টি খাল রয়েছে। এই ২১ খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০২২ সালের আগস্টে নগরীর ২১ খালের ফিজি- বিলিটি স্টাডি (সমীক্ষা) প্রণয়নের লক্ষ্যে কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করে চসিক। প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রণয়নের জন্য কাজটি পায় ওয়াস ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড। ৩৪ লাখ টাকায় প্রতিষ্ঠানটি ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রণয়নের কথা থাকলেও পরবর্তীতে কাজটি করতে অস্বীকৃতি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

অন্যদিকে, ৬৫ লাখ টাকায় দরপত্রে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিইজিআইএস ও এ কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে জানা যায়। দরপত্রে অংশগ্রহণ করেও ‘টাকা কম হওয়ায় চলতি বছরের মার্চে এই কাজ করতে প্রতিষ্ঠান দু’টি অস্বীকৃতি জানায় বলে জানান চসিকের সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের সংস্কার সম্প্রসারণ কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানায় সিডিএ। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। এ ৩৬ খালের সঙ্গে সংযুক্ত আরও ২১টি খাল আছে নগরীতে। এ খালগুলো সংস্কার, সম্প্রসারণ না হলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ অনুসারে নগরে খাল আছে ৫৭টি। যেগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১৫৩ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হচ্ছে ৩৬ খালের। যেগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার। প্রকল্পের বাইরে নগরীতে ৪৮ কিলোমিটারের আরো ২১টি খাল রয়েছে। এই ২১টি খাল প্রকল্পের বাইরে থাকায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতে নির্বাচিত কনসালটেন্ট ফার্ম নতুন করে জরিপ করে খাল শনাক্ত করার কথা ছিল। এছাড়া, আরএস-বিএস শিটের আলোকে খালের সীমানা নির্ধারণ, খালের উপর থাকা অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা এবং খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণে কী পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ও এর মূল্য নির্ধারণ করবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ থেকে জানা যায়, সিডিএর মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল হচ্ছে- মরিয়মবিবি খাল, ২ নম্বর গেট খাল, বির্জা খাল, বালিরচর খাল, বালুখালি খাল, ছাগলনাইয়া খাল, চন্দ্রবিল খাল, চট্টেশ্বরী খাল, ফরেস্ট খাল, জুগিরখোলা খাল, কালিরছড়া খাল, কাটা খাল, কাট্টলী খাল, কৃষ্ণ খাল, কুয়াইশ খাল, কুমার খাল, মহেশ ডাইভার্সন খাল, পতেঙ্গা নিজাম মার্কেট খাল, পাকিজা খাল, রাজাখালী ডাইভার্সন খাল এবং সৈকত খাল।

যেভাবে আলোচনায় আসে ২১ খাল : নগরীর ২১ খালের বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে ২০১৭ সালে। ওই বছরের ৫ আগস্ট একনেকে অনুমোদন পায় ৩৬ খালকে ঘিরে সিডিএর গৃহীত ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প ।

প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ওয়াসার মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে। ওয়াসার মাস্টার প্ল্যানে নগরীতে ৫৭ খাল থাকলেও সিডিএ’র প্রকল্পটি ৩৬টি খালকে ঘিরে। এ প্রকল্পের বাইরে এই ২১টি খাল থেকে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় ২১ খাল নিয়ে চসিকের প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম বলেন, এটি যেহেতু নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি দীর্ঘ সময় নিয়ে করতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগের আহ্বান করা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণ করলেও চসিকের বাজেট অনুযায়ী কাজটি করতে কোন প্রতিষ্ঠান রাজি হয়নি।

তিনি আরো বলেন, তৎকালীন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ২১ খালের প্রকল্প নেয়ার কথা বললেও সে সময়ে অর্থ সংকটের কারণে সরকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছিল না। ফলে চসিকের নিজস্ব বাজেটে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এখন বিদেশি কোন ফান্ড থেকে অর্থায়ন করা গেলে প্রকল্পের কাজ করা যাবে।

২১ খাল ছাড়া নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আমরা সিডিএ’র প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খালের কাজ করছি। আমাদের প্রকল্পের বাইরেও কিন্তু আরো ২১টি খাল রয়েছে। জলাবদ্ধতার শতভাগ সুফল পেতে হলে চট্টগ্রামের এই ২১সহ মোট ৫৭টি খালের সংস্কার করতে হবে। অন্যতায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের শতভাগ সুফল পাবে না নগরবাসী।


চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সীমাহীন দুর্ভোগ

ধীরগতির সঙ্গে কমেছে লোকবল। আবার মালয়েশিয়ায় চালু হয়েছে নতুন কলিং ভিসা। এ কারণে আবেদন গ্রহণ ও ডেলিভারি দিতে হচ্ছে দৈনিক অন্তত ৫০০ গ্রাহককে । এতে হিমশিম অবস্থা কর্মকর্তাদের। সরকারের লোকবলের বিষয়টি ভাবতে হবে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ধীরগতির সঙ্গে কমেছে লোকবল। আবার মালয়েশিয়ায় চালু হয়েছে নতুন কলিং ভিসা। এ কারণে আবেদন গ্রহণ ও ডেলিভারি দিতে হচ্ছে দৈনিক অন্তত ৫০০ গ্রাহককে । এতে হিমশিম অবস্থা কর্মকর্তাদের। সরকারের লোকবলের বিষয়টি ভাবতে হবে।

ভোগান্তি আর জনদুর্ভোগের আরেক নাম চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। দীর্ঘ লাইন ও ভিড়ে নাকাল অবস্থা সেবা প্রত্যাশীদের। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ। তবে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, লোকবল গতকাল সরেজমিনে নগরীর পাঁচলাইশ আঞ্চলিক সংকটের কারণে তাদের সেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পাসপোর্ট এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আবেদন জমা দিতে আসা ব্যক্তিদের লাইনের দীর্ঘ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তাজ বিল্লাহ বলেন, সারি। সকাল থেকে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যায়ও দেখা ‘পাসপোর্ট সেবায় ভোগান্তি কমাতে আমরা যায় লাইনে দাড়িয়ে আছেন অনেকে। কিন্তু সরকারি সাধ্যমতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে লোকবল নির্ধারিত সময়ের পর কেউ আর সেবা পাচ্ছেন না। সংকটের কারণে সম্ভব হচ্ছে না স্বাভাবিক সেবা আবার পরদিনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দেয়া।’ যদিও পাসপোর্ট অফিস ঘুরে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট তিনি আরও বলেন, ‘সরকার পতনের পর কাজের কর্মকর্তারা সবাই।
যার যার মতো করে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু লোকবল কম হওয়াতেই তাদেরকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতে সেবা প্রত্যাশীদেরকেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাঁশখালী থেকে পাসপোর্ট করতে আসা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি। আবেদনপত্র কখন জমা দিতে পারবো জানিনা। দীর্ঘ লাইন দেখে মনে হচ্ছে, আজকে জমা দেওয়া আর সম্ভব হবে না।

পটিয়া থেকে আবেদনপত্র জমা দিতে আসা মো. আনসার উদ্দিন বলেন, পাসপোর্ট অফিসে যথানিয়মে কাজ হচ্ছে। দালাল বা কারো মাধ্যমে আবেদন করানোর সুযোগ আছে তা চোখে পড়েনি। কিন্তু লোকবল কম থাকার কারণে পার্সপোর্টের কাজে সময় লাগছে। আমি সকালে দাঁড়িয়েছি, এখন বাজে বিকাল তিনটা। আজ হয়তো জমা দেওয়া হবে না।

পাসপোর্ট অফিস সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরাসরি পাসপোর্ট সেবায় কাজ করেন অফিস সহকারী বা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদের স্টাফরা। এই পদে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১০ জন স্টাফ কর্মরত আছেন। আবেদন জমা গ্রহণের দুটি, ছবি তোলার ৮টি এবং পাসপোর্ট ডেলিভারির ৩টি কাউন্টার চালু আছে। কিন্তু সেবা গ্রহীতাদের তুলনায় এতো কম সংখ্যক জনবল দিয়ে সবাইকে যথাযথ সেবা দিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পাসপোর্ট অফিস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে দৈনিক সেবা প্রার্থীর সংখ্যা বা চাহিদা বিবেচনায় আবেদন জমা গ্রহণে অন্তত ৪টি, ছবি তোলায় অন্তত ২০টি এবং পাসপোর্ট ডেলিভারিতে অন্তত ৫টি কাউন্টার প্রয়োজন । আর কাউন্টার বাড়াতে হলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বা অফিস সহকারী পদে আরো স্টাফ জরুরি ভিত্তিতে বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া সহকারী পরিচালক পদেও লোকবল সংকট রয়েছে। এসব পদেও বাড়াতে হবে।

পাসপোর্ট অফিসে আবেদন গ্রহণকারীদের একজন বলেন, আন্দোলনের পর পাসপোর্ট আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ জন আবেদন করতো এখন তা হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু সে হিসেবে আমাদের লোকবল তেমন বাড়েনি। সেই কারণে আমাদের সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

ছবি তোলার রুমে একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, পাসপোর্টের আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে একবার রুমে ১০ জন করে ঢুকিয়ে ছবি তোলে বের হতে দিতাম। এখানে একজন ব্যক্তিকে তাঁর সবকিছু দেখে ছবি তুলতে হচ্ছে। কিন্তু লোকবল কম। লোকবল বাড়ালে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।

উল্লেখ্য, বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালের আগস্টে চট্টগ্রামে বিভাগীয় এই পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় কর্মকর্তা কর্মচারী মিলিয়ে মোট জনবল ছিল ৩১ জন । তবে এর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তেমন জনবল বাড়েনি। অথচ, দশ বছর আগে দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০০ পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়তো। আর বর্তমানে দৈনিক আবেদনের সংখ্যা এক হাজারের বেশি। দিন দিন এ সংখ্যা আরো বাড়ছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর