শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাতিল হচ্ছে চট্টগ্রামের সব ওএমএস ডিলারশিপ

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ওএমএসের (খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি) সকল ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন নীতিমালায় শিগগিরই নতুন ডিলার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ওএমএসের (খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি) সকল ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন নীতিমালায় শিগগিরই নতুন ডিলার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। চট্টগ্রামে ওএমএসের নতুন ডিলার নিয়োগের ব্যাপারে আগামী মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হবে বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে ৪৮ জন ওএমএসের ডিলার রয়েছেন। উপজেলাগুলোতে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ বয়েছে। নগরে ৪৮ ডিলারের মধ্যে প্রতিদিন ২৫ জন ডিলারকে ২৫টি পয়েন্টে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। একজন ডিলারকে প্রতিদিন ১ টন চাল ও দেড় টন করে আটা দেওয়া হয়। ডিলারের কাছে থেকে একজন ক্রেতা ২৪ টাকা দামে (প্রতি কেজি) ৫ কেজি আটা এবং ৩০ টাকা দামে (প্রতি কেজি) ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরিব ও অসচ্ছল মানুষের কাছে কম দামে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করে সরকার। কিন্তু ১৫-২০ বছর ধরে ডিলার হিসেবে রয়েছেন একই ব্যক্তি। এছাড়া ওএমএসের কেন্দ্রের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডিলারশিপ পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আগের সব ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করছে। একইভাবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সব ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করা হচ্ছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর ডিলার পরিবর্তন না হওয়ায় এই কর্মসূচিতে বেড়েছে অনিয়ম-দুর্নীতি। দলীয় বিবেচনায় অনেকে ডিলারশিপ নিয়ে সেটি অন্যজনকে ভাড়া দিয়েছেন। ডিলারের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে প্রতিনিধি হিসেবে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। গুদাম থেকে খাদ্যশস্যও সংগ্রহ করছেন প্রতিনিধিরা। কেন্দ্র ও গুদাম কোথাও দেখা মেলে না ডিলারদের। বিতরণের আগেই গরিবের এই চাল-আটা হরিলুটের অভিযোগও রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন আজাদীকে বলেন, আগের সকল ওএমএসের ডিলার বাতিল হচ্ছে। নতুন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। নানা অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গের জন্য ডিলারদের শাস্তির ব্যবস্থা রেখে নতুন ওএমএস নীতিমালা জারি করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ওএমএস কমিটির সভা আছে। সভায় সিদ্ধান্ত হবে চট্টগ্রামে কতজন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। আগে নগরীতে ২৫টি পয়েন্টে (ডিলারদের) বাই রোটেশনে ওএমএসের চাল ও আটা দেওয়া হতো বলে জানান তিনি।

ওএমএস এখন চালু আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন ডিলার নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত আগের যারা আছেন তাদের দিয়ে ওএমএস চালু রাখা হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে নতুন ডিলারশিপের মাধ্যমে ওএমএস চালু হবে।

৭ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান স্বাক্ষরে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) নীতিমালা ২০২৪ জারি করা হয়। এই নীতিমালা দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। বাংলাদেশের যে কোনো, বিশেষত নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী ওএমএসের উপকারভোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফখরুল আলম আজাদীকে বলেন, নতুন ওএমএস নীতিমালা জারি করেছে সরকার। আগের সকল ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে নতুন করে ৩৮ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে ।
ওএমএস কর্মসূচি এখন শুধুমাত্র নগরীতে চালু আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক ডিলারকে এখন প্রতিদিন ১ টন চাল এবং দেড় টন আটা দেওয়া হয় বিক্রির জন্য । উপজেলাগুলোতে এখন বন্ধ। শুধুমাত্র বন্যা কবলিত তিনটি উপজেলায় চালু আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নানা অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গের জন্য ডিলারদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখে নতুন ওএমএস নীতিমালা ২০২৪ জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

২০১৫ সালের নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে । নতুন নীতিমালা অনুযায়ী অনিয়মের জন্য ডিলারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে। নতুন নীতিমালায় ডিলারদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে লাইসেন্সের মেয়াদ। বাড়ানো হয়েছে ডিলারদের ফেরতযোগ্য জামানতের অর্থের পরিমাণ।

নতুন ওএমএস নীতিমালা ২০২৪ অনুযায়ী, ডিলার নিয়োগের সুপারিশের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কমিটির সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার। সদস্য সচিব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি (মেয়র অথবা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত) এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।


নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য কী সংশয় তৈরি করছে

বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃ ত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমার ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃ ত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমার ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এর ফলে রাজনৈতিক দল ও নেতাদের কাছ থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পরে তার ব্যাখ্যা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গত বৃহস্পতিবার একটি টিভিতে আলোচনার সময় তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বললেও পরে শনিবার দেয়া ব্যাখ্যায় বলেছেন, এটি একান্তই প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের বিষয়। এমন পরিস্থিতিতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অস্পষ্টতার কারণে জনমনে সন্দেহ বা সংশয় তৈরি হচ্ছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান | তারেক রহমান নিজেই এ সংশয়ের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের আগে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে জোর দিয়ে আসছে।

একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, সরকার হয়তো ক্ষমতা আকড়ে রাখার চিন্তা থেকে কিছু করছে না, কিন্তু সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক না করার কারণেই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য আসছে, যা নির্বাচন নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক ঘটাচ্ছে। এর আগে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সেনাপ্রধান এক থেকে দেড় বছরের কথা বললেও প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তারা যখন ঘোষণা করবেন সেটিই হবে তারিখ। আবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, কখন নির্বাচন হবে সেটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণার আহবান জানালেও সরকারের দিক থেকে এ নিয়ে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য ছিলো না। বরং প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেয়া তার ভাষণে বলেছিলেন “কখন নির্বাচন হবে, সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।

দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে, আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।” ওদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে বিএনপি আবারো নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দাবি করে। আলোচনা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, “নির্বাচন আমাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপে আমরা সরকারের কাছে কোনও মাস দিনকাল নিয়ে কথা বলিনি।” কিন্তু এর মধ্যে গত মাসে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই হওয়া উচিত। তবে তিনি ধৈর্য ধারণের ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে সেটাই একটা টাইম ফ্রেম (সময়সীমা) হওয়া উচিত, যার মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারি।”

মূলত বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে শীর্ষ কারও এটাই ছিলো প্রথম নির্বাচনের একটি সম্ভাব্যসীমা উল্লেখ করা। কিন্তু পরে সেনাপ্রধানের এ মন্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও তা নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার ওপরে।

তারপর সময়ের বিষয় আসবে যে নির্বাচন কবে হবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তিনি নিজস্ব মতামত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা (নির্বাচন) কবে হবে? ১৬ মাস পর নাকি ১২ কিংবা ৮ মাস পরে সেটা এখনই নির্ধারিত করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে, সেনাপ্রধান এখানে ওপিনিয়ন দিয়েছিলেন।” পরে ভয়েস অব আমেরিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন, সেটাই হবে তারিখ।”
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি মনে করি, বাস্তবতার নিরিখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হবে। অনেকগুলো বিষয় আছে। এটা আমার প্রাথমিক অনুমান।”

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে নতুন করে এমন বিতর্ক নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেয়া বক্তব্যে বলেছেন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময় ভিন্ন রকম বক্তব্য এসেছে। “এমন একটি কাঙ্ক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সরকারের বক্তব্যের গরমিল জনগণের মনে নানা ধরনের সন্দেহ সংশয়ের উদ্রেক করে । জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দায়িত্বশীল গণমুখী ও কার্যকর দেখতে চায়।” তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং জনগণের সরাসরি ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই জনগণ বর্তমান সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।


ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল রাতে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী বাদি হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য, সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর নিয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার পথে সকাল ১০টায় বারইয়ারহাট খান সিটি সেন্টারের সামনে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের নির্দেশে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এসময় খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানতে উপস্থিত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। গাড়ি বহরটি বারইয়ারহাট রোজিনা হোটেলের সামনে আসার পর পুনরায় হামলা করে আসামিরা। এতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তখন বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম শিফাতুল মাজদার জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর