রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

গ্যাসের চুলায় পানি গরম করে ঢেলে দেন শিক্ষার্থীর গায়ে

ছবক দিতে না পারায় বাঁশখালীতে মো. আশরাফুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক হাফেজ মো. আলম প্রকাশ হাফেজি হুজুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন থেকে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

ছবক দিতে না পারায় বাঁশখালীতে মো. আশরাফুল ইসলাম (১২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক হাফেজ মো. আলম প্রকাশ হাফেজি হুজুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন থেকে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক। খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের গণি চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন দারুস সুন্নাহ রহমানিয়া মাদরাসায় গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন রোববার বিকালে এলাকাবাসী ও সহপাঠীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারেন বলে জানান শিশুটির পিতা মো. শফিউল আলম মানিক। তিনি বলেন, আমার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আঠারো পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। ঘটনার দিন সকালে ছবক (পড়া হাজিরা) দিতে না পারায় হুজুর মারধর করেন। দুপুরে নাস্তার বিরতির সময় ওই হুজুর গ্যাসের চুলায় পানি বসিয়ে গরম করেন। পরে আশরাফুলের পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি খুলে গরম পানি ঢেলে দেন। এতে আমার ছেলের শরীর ঝলসে যায় । বিনা চিকিৎসায় মাদরাসায় আটকে রাখা হয় তাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গুনাগরীর আয়েশা সিদ্দিকা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কথা বলতে মাদরাসার সুপার আমিনুর রশিদকে ফোন দেওয়া হয়। সাংবাদিক পরিচয় শুনে কথা না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. ইউসুফ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। এভাবে মারধর করা হুজুরের উচিত হয়নি। হুজুরের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, হুজুর পালিয়ে যাননি। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে আহত শিশুর পিতাকে ডাকা হবে। ওই হুজুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।


নগরীর ৩৭% বাড়িতে এডিসের লার্ভা!

নগরীর ৩৭ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা। শুধু তাই নয়, এসব বাসাবাড়ির আশপাশে এবং বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত থাকা ৩৬ শতাংশ। কন্টেইনারে মিলেছে লার্ভার প্রজননকেন্দ্র। এসবের মধ্যে আট ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব বেশি। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নগরীর ৩৭ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা। শুধু তাই নয়, এসব বাসাবাড়ির আশপাশে এবং বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত থাকা ৩৬ শতাংশ। কন্টেইনারে মিলেছে লার্ভার প্রজননকেন্দ্র। এসবের মধ্যে আট ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব বেশি। এর মধ্যে ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট এলাকায় সর্বোচ্চ। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, এডিস মশা নিয়ে চালানো জরিপের ফলাফলসহ মশক নিধনে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তাতে আটটি সুপারিশও রয়েছে।

জানা গেছে, জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেদাওছের নেতৃত্বে গত মাসের ১৭ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপ কাজ চালানো হয়। এতে অংশ নেন কার্যালয়টির কীটতত্ত্বীয় কুশলী সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন ও মো. রিয়াজ উদ্দীন। এসময় তারা উঁচু ভবন, নির্মাণাধীন ভবন, সেমি পাকা, খালি প্লট ও বস্তি এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার ২০০ বাসা-বাড়ি থেকে এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে ৭৪টিতে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যা ৩৭ শতাংশ। এছাড়া ১৯৪ কন্টেইনারে থেকে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে ৬৯ কন্টেইনারে পজিটিভ পাওয়া যায়। যা ৩৬ শতাংশ। এছাড়া প্লাস্টিক ড্রাম ও বাস্কেটে ৪০, টায়ারে ৩৭, মাটির পাত্রে ১২, প্লাস্টিক জার ও শিটে ৬, পানির ট্যাংক, ফুলের টব ও এলুমিনিয়ামে ৩ এবং ভবনের লিফটের নিচে জমানো পানিতে ২ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। আর কতগুলো বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, তা পরিমাপের সূচক হলো হাউস ইনডেক্স। জরিপে দেখা যায়, ৮ ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। ওয়ার্ডগুলো হলো-৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাটে ৮০ শতাংশ, ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের শেরশাহ-বায়েজিদে ৬০ শতাংশ, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের পাহাড়তলীতে ৪৫ শতাংশ, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে ৪০ শতাংশ, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ও কোতোয়ালিতে ৩০ শতাংশ, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ খুলশীতে ২৫ শতাংশ, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের হালিশহর এলাকায় ২০ শতাংশ এবং ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ। জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, ‘জরিপে বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করি। এ কাজে আমাদের কর্মীও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। প্লাস্টিকের ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ারে জমা থাকা পানিতে লার্ভার অস্তিত্ব বেশি।’

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ে চালানো জরিপের ফলাফল এবং কিছু সু- পারিশ সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। ফলাফল অনুসরণ করে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস এবং ওষুধ ছিটানো সহজ হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতেও কাজে লাগবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মশার ঘনত্ব বাড়বে। তাতে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।’


আনোয়ারায় ৫৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা

আনোয়ারাকর্ণফুলীতে টানেলের সঙ্গে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) ‘চাতরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএলকর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী) ফকিরনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান প্রশস্ততায় উন্নীতকরণনামে ৫৮৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছিল। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে টানেলের সঙ্গে সড়ক নেটওয়ার্ক গড়তে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) ‘চাতরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল-কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী) ফকিরনিরহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামে ৫৮৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছিল। অনুমোদনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকার পতনের পর প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। যেহেতু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে জানান দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।

জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৫২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ৩৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে চাতরী (চৌমুহনী)-সিইউএফএল- কর্ণফুলী ড্রাইডক (মেরিন একাডেমী)-ফকিরনিরহাট (এন- ১২১) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকর’ নামের প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটি আনোয়ারা ব্যস্ততম বাজার চাতরী চৌমুহনী বাজার থেকে সিইউএফএল, মেরিন একাডেমি, বদলপুরা, দক্ষিণ শাহমীর পুর, জামতলা বাজার হয়ে কর্ণফুলী উপজেলার ফকিরনীর হাটে টানেল সংযুক্ত শিকলবাহা ওয়াই জংশন সড়কে যুক্ত হবে। সিই- উএফএল সড়ক ও এলজিইডির দুটি সড়কসহ মোট তিনটি সড়ক নিয়ে একীভূত করে সড়ক বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কটিতে চারটি সেতু ও ১৫টি কালভার্ট নির্মাণ ও বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সড়কটি দিয়ে ছোটবড় প্রায় ১০০টি শিল্প কারখানার পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পশ্চিম অঞ্চলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সেতু বন্ধন রচিত হবে। আনোয়ারা কর্ণফুলীর দুই লাখেরও বেশি মানুষের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে, উন্নত হবে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান । এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জনআকাঙ্ক্ষার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। ইতিমধ্যে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ অগ্রগতির জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চিঠি আবেদন পাঠিয়েছেন আনোয়ারা-কর্ণফুলীর প্রকল্প সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা।

স্থানীয় বদলপুরা গ্রামের আবু সৈয়দ নামের এক বাসিন্দা বলেন, সড়কটি আমাদের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। এখানে কেইপিজেড, সিইউএফএল, ডিএপিএফসিএল, মেরিন একাডেমি, চায়না ইকোনমিক জোন, কর্ণফুলী ড্রাইডকসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিল্পকারখানা রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এসব শিল্পকারখানায় কাজ করে। সড়কটি হলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে এসব শিল্পকারখানার যোগাযোগ সহজতর হবে। চাতরী চৌমুহনী, সিইউএফএল’র যানজট দূরীভূত হবে।

স্থানীয় বৈরাগ ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোরশেদুল আলম বলেন, এটি শিল্প এলাকা হলেও রাস্তা সংকীর্ণ হাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রাস্তাটি হলে আনোয়ারা-কর্ণফুলীর অনেক অবহেলিত গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর টেন্ডারের কথা ছিলো কিন্তু ডেইট পিছিয়েছে। প্রকল্প যেহেতু অনুমোদন হয়েছে সেহেতু তা বাস্তবায়ন হবে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর