বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

একের পর এক দুর্ঘটনা কেন?

দুই সপ্তাহের কম সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জ্বালানিবাহী চারটি জাহাজে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না কেউ। সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলের শঙ্কা, বড় ধরনের কোনো নাশকতার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে দেশের জ্বালানি খাতকে । এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

দুই সপ্তাহের কম সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জ্বালানিবাহী চারটি জাহাজে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না কেউ। সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলের শঙ্কা, বড় ধরনের কোনো নাশকতার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে দেশের জ্বালানি খাতকে । গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটি-৭ এ বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এমটি বাংলার জ্যোতি জাহাজে।

ওই ঘটনায় জাহাজের ক্যাডেটসহ নিহত হন ৩ জন। ৫ অক্টোবর বন্দরের বহির্নোঙরে একই ধরনের বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এমটি বাংলার সৌরভ জাহাজে। ওই ঘটনায় মারা যান একজন। ঘটনা দুটিতে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিপিসি) জ্বালানি তেল লাইটারিংয়ে নিয়োজিত দুটি জাহাজ অচল হয়ে যায়।

একইসাথে শেষ হয়ে যায় দেশের জ্বালানি তেল লাইটারিংয়ের সক্ষমতাও। এখন ভাড়া করা জাহাজ দিয়ে বিপিসির তেল লাইটারিং কার্যক্রম চালাচ্ছে বিএসসি।

ওই ঘটনার পর বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়, নাশকতা রয়েছে। ঘটনাগুলো তদন্তে একাধিক কমিটি কাজ করছে। এর মধ্যে গত শনিবার গভীর রাতে বহির্নোঙরে এলপিজিবাহী দুটি জাহাজে একসাথে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেI এতে করে পুরো বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। একইসাথে আলোচনা চলছে নাশকতা নিয়েও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে।

সিনিয়র ক্যাপ্টেন আতিক ইউ খান উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেন, মাত্র দিনকয়েকের মধ্যে ৩টা দুর্ঘটনা হলো। এর মধ্যে দুইটা তেলের ট্যাংকার আর দুইটা গ্যাস ক্যারিয়ার। অথচ দুঃখজনক ব্যাপার হলো, চট্টগ্রাম পোর্ট, কোস্ট গার্ড বা নেভি কারো কাছেই তেল-গ্যাসের আগুন নিভানোর জন্য উপযুক্ত কোনো অগ্নিনির্বাপক টাগবোট নেই। যা আছে সবই সমুদ্রের পানি ছিটাতে পারে। এতে সাধারণ আগুন নিভলেও কার্যকরীভাবে তেল-গ্যাসের আগুন দ্রুত নিভানো সম্ভব না।

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি অনিরাপদ এবং ঝুঁকিপূর্ণ বন্দর হিসেবে আন্তর্জাতিক শিপিং সেক্টরে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করে শিপিং বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন আতিক ইউ খান ফেসবুকে লিখেন, এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের জ্বালানি খাত ও বন্দরের রাজস্ব আয়েও পড়তে পারে। বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক আজাদীকে বলেন, সকল সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পেছনে কোনো ঘটনা থাকলে নিশ্চয় তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর, নৌবাহিনী কিংবা কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণী সক্ষমতা প্রশ্নাতীত বলে উল্লেখ করেন তিনি।


আর নির্বাচন না করার ঘোষণা অলির
সংসদ নির্বাচনে আর কখনো অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

সংসদ নির্বাচনে আর কখনো অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকেদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় অলি আহমদ তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ- সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানি এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য। অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন। উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আর নির্বাচন করব না, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। খবর বাংলানিউজের।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি ।
ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না। সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম। আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না-প্রশ্ন রেখে উপস্থিতদের হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এ এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতাকর্মীদের আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এসব কি মানা যায়?

তিনি বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমিই তাকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করি। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে, চাইলে দেখতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যেকোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে ও এলডিপির নেতাকর্মীদের পাশে পাবেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সহ-সভাপতি এ জি এম শাহজাহান, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি আইনুল কবির, উত্তর সাতকানিয়ার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন উদ্দিন ভুট্টো প্রমুখ।


প্রতিদিনই চলবে বাজার তদারকি

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর চট্টগ্রামে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর চট্টগ্রামে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেছে অংশীজনদের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষ টাস্কফোর্স। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন ও মো. মঈনুল হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনা না করায় এক ব্যবসায়ীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এসময় রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিভিন্ন সবজি মশলা ও নানা পণ্যের খুচরা দোকান, পাইকারি আড়ত ও কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন করে টাস্কফোর্স। সরকারের বেধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি, কেনাবেচার রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন, পণ্য মজুদ না করা এবং ফড়িয়া বা মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণে ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মূলত শনিবারই আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। রবিার প্রথম মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হলো। প্রতিদিনই টাস্কফোর্সের তদারকি কার্যক্রম চলবে।
অভিযানে টাস্কফোর্সের সদস্য সচিবসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে গঠিত টাস্কফোর্সে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মৎস্য কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, ক্যাব, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।


সাতকানিয়ায় সুদ কারবারির খপ্পরে নিঃস্ব বহু পরিবার

সাতকানিয়ায় এক মহিলা সুদ কারবারির ঋণের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এমনকি মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পরিশোধের পরেও এক পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো ১৩ লাখ টাকার মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

সাতকানিয়ায় এক মহিলা সুদ কারবারির ঋণের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এমনকি মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিপরীতে ৩ লাখ টাকা পরিশোধের পরেও এক পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো ১৩ লাখ টাকার মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।

সুদি কারবারি মহিলা রেহানা আক্তার উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী। মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার উপজেলার একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোহাইমিনুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা আর্থিক সংকটে পড়ে বিভিন্ন সময়ে রেহেনা আক্তারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় আমরা প্রত্যেকেই প্রতি ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে একটি তিনশত টাকা মূল্যের খালি স্ট্যাম্প ও একটি করে খালি চেক দিয়েছি। আমাদের টাকার একান্ত প্রয়োজন ছিল তাই সরল বিশ্বাসে তাকে এসব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস দিয়েছি। টাকা ফেরত দিলে আমাদের স্ট্যাম্প ও চেক ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও রেহেনা আক্তারকে টাকা পরিশোধ করার পরও আমাদের স্টাম্প এবং চেক ফেরত না দিয়ে উল্টো কয়েকগুন বেশী টাকা দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা টুকে দেন ।

পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করবেন বলেও একাধিকবার টাকা নেন। আমরা প্রতিবার তাকে বিশ্বাস করেছি এই ভেবে যে, তিনি টাকা নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে অন্তত আমাদেরকে তার হয়রানি থেকে মুক্তি দিবেন। তিনি বরাবরই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছেন এবং আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাইমিন আরো বলেন, এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগীদের একজন হুমায়ুন কবির। তিনি গত ২০১৭ সালে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।

বিনিময়ে রেহেনা আক্তার তার কাছ থেকে একটি খালি স্টাম্প এবং একটি খালি চেক নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সুদ আদায় করেন।

উল্লেখ্য, কয়েকমাস পরে মূল ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও সে টাকা ফেরত নেয়নি। বরং তৎকালীন সরকারের বিভি- নক্ষমতাসীন নেতাদের দিয়ে হুমকি ধমকি প্রদান করেন এবং সুদ দিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে করোনাকালীন সময়ে সুদ পরিশোধ করতে অপারগ হলে রেহেনা আক্তার বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে হুমায়ুন কবিরের চেক দিয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে ১৩ লাখ টাকার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে ২০২৩ সালে পূণরায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। অদ্যাবধি মামলা প্রত্যাহার করেননি বরং উল্টো হুমকি দিচ্ছেন।

একইভাবে নুরুন্নাহারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার মামলা করেন এবং আরো অনেক পরিবারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ, ১৫ লাখ, ২০ লাখ টাকা করে মামলা করেছেন । এছাড়াও নিয়মিত হয়রানি করে যাচ্ছেন কহিনুর আক্তার, নুরুন্নাহার, ওয়াহিদুর রহমান, সাহাবুদ্দীন, আরিফুল ইসলাম, ফরিদ, ছফুরা বেগম, রফিক, এহসানুল কবিরসহ অন্তত অর্ধশত পরিবারকে।

এ অবস্থায় আমরা এই মহিলার এমন অত্যাচার, মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় সকল সংস্থার কাছ থেকে সহযোগীতা কামনা করছি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রেহেনা আক্তারকে ফোন দিলে তিনি কথা বলেননি অভিযুক্ত রেহেনার মেয়ে বলেন, আমার মা চাকরি করেন। তিনি মধ্যস্থতা করেছেন মাত্র। তাছাড়া ছয় বছর ধরে আদালতে মামলা চলমান আছে। এই মুহূর্তে আমরাতো কিছু করতে পারবনা। যদি কেউ মিথ্যা কথা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর