রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

সোমবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে ‘আলটিমেটাম’

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন । আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। অন্যথায় পরদিন মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকেই কঠোর আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ, চট্টগ্রাম নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক অডিও বার্তায় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ এই আলটিমেটাম দেন। অডিওতে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশে ছাত্রলীগ একটি আতঙ্কের নাম হল ছিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রলীগের দখলে ছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আসতো তাদের হলে থাকার জন্য ছাত্রলীগের ছায়াতলে থাকতে হতো। যার ফলে হলরুম-গেস্টরুমের কালচার তাদেরকে অমানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিল। আমরা বিভিন্ন আন্দোলনে দেখেছি ছাত্রলীগ লাঠি, দেশীয় অস্ত্র কিংবা গুলি নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করেছে। যেখানে একটা যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের কিংবা আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করার কথা, সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

রাসেল আহমেদ আরও বলেন, আমরা ২০২৪ সালে একটা যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। সেসময় যখন কোটা সংস্কার পর্যন্ত আন্দোলনটা ছিল তখন পর্যন্ত যদি আমাদের সাথে থাকতো, আমাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতো, তবে আজ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের কথা উঠতো না। তখন আমাদের সাথে না থেকে তারা আমাদেরকে হামলা করেছে, আমাদের বোনদেরকে রক্তাক্ত করেছে, ভাইদেরকে গুলি করে শহীদ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ পূর্বকোণকে বলেন, সোমবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা না হলে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলন শুরু হবে। আশা করি পরবর্তীতে এটি সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়বে।


ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দুই মন্ত্রণালয়

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আন্দোলন এবং ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আন্দোলন এবং ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি হয়েছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হলে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙে পড়ার শঙ্কা এ উদ্বেগের কারণ। তবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানে জোর দিচ্ছে মন্ত্রণালয় দুটি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সমাধানের পথ খুঁজতে কাজ করছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং সিভিল সার্জন।

এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে সিভিল সার্জন ডা.জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে চিকিৎসা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং রোগীর সমস্যা হয় এমন আন্দোলন থেকে সরে আসার নির্দেশনা দেন। বিষয়টি মেনেও নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রায় পৌনে ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পদত্যাগ ও প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। দাবি আদায়ে তারা আগামীকাল সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিরও ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা অবৈধ কমিটি মানেন না।

সোমবারের মধ্যে যদি জেলা প্রশাসক এসে দায়িত্ব বুঝে না নেন বা এডহক কমিটি না বসায় তাহলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করব। তারা বলেন, আমাদের এক দফা দাবি প্রশাসক নিয়োগ চাই। এডহক কমিটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। নির্বাচনে যোগ্য ব্যক্তি তিনি আসবেন তিনি এই হাসপাতাল পরিচালনা করবেন। আহসান হাবীব নামে হাসপাতালের এক কর্মচারী আজাদীকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিক্ষোভ হয়েছে। অনেক অনিয়ম হয়েছে হাসপাতালে। আমরা জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পদত্যাগ চাই। অতীতে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত বা বদলি করা হতো। আমরা এর আগে ১৪টি দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন, বিকালে সিভিল সার্জন মহোদয় এসেছিলেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম আজাদীকে বলেন, এই আন্দোলন নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে কীভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খুঁজে বের করার জন্য মন্ত্রণালয় আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। উনারা (আন্দোলনকারীরা) আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এটি একটি হাসপাতাল। এখানে সিসিইউ, আইসিইউ আছে, রোগী ভর্তি আছে। এ সময় কর্মবিরতিতে গেলে রোগীর সমস্যা হবে। এই প্রেক্ষাপটে সেখানে আমি গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যদের সঙ্গে বসেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের আন্দোলন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছি এবং বর্তমানে যে সমস্যা বিরাজ করছে তা দ্রুত সমাধানে আশ্বস্ত করেছি। সেজন্য তাদের বলেছি, রোগীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যেন না যায়। তারাও সেটা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে উপায় বের করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বিগত কমিটির (চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি) বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। অভিযোগ লিখিতভাবে আমাদের দিয়েছেন। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। এখানে কমিটি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। সে নিষেধাজ্ঞা ডিঙিয়ে কমিটি দেওয়া যাবে না।

জানা গেছে, ৫ অক্টোবর আন্দোলন শুরু হয়। ওইদিন চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ হয় ‘হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ ব্যানারে। ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে হাসপাতালের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আমান উল্লাহ আমান ও পরিচালক ডা. নওশাদ আজগর চৌধুরী পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে কমিটির বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের বরাবর অভিযোগও দেন। এরপর ৭ অক্টোবর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ দুই কর্মচারীকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয় ।


ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর এ সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর একদিনে আটজন করে প্রাণ হারিয়েছিলেন এডিস মশাবাহিত এ রোগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার মারা যাওয়া ৯ জনকে নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২১০ জনের মৃত্যু হলো। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর এ সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ও ২ অক্টোবর একদিনে আটজন করে প্রাণ হারিয়েছিলেন এডিস মশাবাহিত এ রোগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার মারা যাওয়া ৯ জনকে নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২১০ জনের মৃত্যু হলো। এ রোগে এক বছরে মৃত্যুর এ সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালে ১৭০৫ জন এবং ২০২২ সালে ২৮১ জনের প্রাণ নিয়েছিল ডেঙ্গু।

গত একদিনে যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া বরিশালে ২ জন, চট্টগ্রামে একজন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯১৫ জন রোগী। এতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮১০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গতকাল ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৮ জন, ময়মনসিংহে ৪৫ জন, চট্টগ্রামে ১৯৭ জন, খুলনায় ৯৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৮ জন ও সিলেট বিভাগে ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন ।

গতকাল পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৪৯ জন রোগী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৬৫১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১৮৪৯ জন আর ১৮০২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৩ হাজার ৮৫১ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৯ জন।

সেপ্টেম্বর মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ২৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ওই মাসেই সবচেয়ে বেশি ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে ১০ হাজার ৮৭২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর ।


পুলিশের তাড়া খেয়ে আহত পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

চলমান অভিযানে পটিয়া পুলিশের তাড়া খেয়ে আবদুল খালেক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়ে ৬ দিন পর মারা গেছেন। তিনি পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চলমান অভিযানে পটিয়া পুলিশের তাড়া খেয়ে আবদুল খালেক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়ে ৬ দিন পর মারা গেছেন। তিনি পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি পুলিশি নির্যাতনের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে স্ট্রোক করেছেন। পরিবার ও দলীয় সুত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর আবদুল খালেককে গত ৪ অক্টোবর পুলিশ গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যান। পটিয়া থানার ২০-৩০ জনের পুলিশের একটি টিম আওয়ামী লীগ নেতা এ সময়ে খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে।

ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। ওখানে চিকিৎসার কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারা গেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেকের স্ত্রী হাসিনা আকতার অভিযোগ করেন, পুলিশ রাত ২টার দিকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ায় পুলিশ দরজায় একাধিক লাথিও মারেন। পরে দরজা খুলে দিলে আলীগ নেতা আবদুল খালেক পিছনের দরজা দিয়ে তার বের হলে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করে বেদমভাবে প্রহার করে। এক পর্যায়ে আবদুল খালেক অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকরাম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর ও পুলিশ দিয়ে তাড়া করার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা। একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল খালেক পুলিশ দেখে ঘরের দোতলায় উঠে লাফ দিলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টির ওয়ারেন্ট থানায় রয়েছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর