বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

মনোবল ফেরাতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের অভিনব টহল

ওয়া পুলিশি মনোবল বাড়ানো এবং ‘পুলিশ নেই’ এমন আবহ থেকে মুক্ত করে আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি ও জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিনব এক পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। থানার ওসি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সব সদস্য একসাথে রাস্তায় নেমে এলাকায় এলাকায় টহল দিয়েছে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

ধসে যাওয়া পুলিশি মনোবল বাড়ানো এবং ‘পুলিশ নেই’ এমন আবহ থেকে মুক্ত করে আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি ও জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিনব এক পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। থানার ওসি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সব সদস্য একসাথে রাস্তায় নেমে এলাকায় এলাকায় টহল দিয়েছে। পুলিশের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। অনেকেই ফুল দিয়ে পুলিশকে স্বাগত জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পাচলাইশ থানা পুলিশ অভিনব এই পন্থা বের করে পুরো এলাকায় রোবাস্ট পেট্রোলিং করেছে।

সরেজমিনে পরিদর্শন এবং পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমানের নেতৃত্বে থানার সকল অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে চৌকশ একটি পুলিশ দল রাস্তায় নামে। ওসির গাড়ির হুইশেলের পাশাপাশি ২০- ৩০টি মোটর সাইকেলের এক মহড়া পুলিশি উপস্থিতি জানান দেয় দারুণভাবে। পুলিশের দলটি সাইরেন এবং বাঁশি বাজাতে বাজাতে পাঁচলাইশ থানা মোড় থেকে শুরু করে মির্জারপুল- মুরাদপুর- হামজারবাগ- রহমান নগর- হিলভিউ আবাসিক- রুবি গেইট- ২ নম্বর গেইট – প্রবর্তক মোড়- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- অলি খাঁ মসজিদ- বাদুরতলা- বহদ্দারহাট মোড়- শোলকবহর
পুলিশের অভিনব এই কৌশল রাস্তায় মানুষের নজর কাড়ে। মুরাদপুর- মির্জারপুল হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ফিরে আসে। পথচারী এবং গাড়িতে থাকা বহু মানুষ হাত নেড়ে পুলিশকে শুভেচ্ছা জানায়। কেউ কেউ পুলিশের দিকে ফুলও বাড়িয়ে দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পুলিশের এই অভিনব টহল চলে। এই ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান দৈনিক আজাদীকে জানান, আসলে পুলিশের মনোবল চাঙা করতেই কমিশনার স্যারের নির্দেশনায় এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা যে আছি এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ যে মাঠে ময়দানে কাজ করছে সেটি জানাতেই মূলত এমন একটি রোবাস্ট টহলের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, মানুষ আমাদের দেখে আনন্দিত হয়েছে, স্বস্তি পেয়েছে। আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পথে পথে মানুষ যেভাবে আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে তা আমাদের মনোবল বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, জনমনে স্বস্তি ও প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে এভাবে পাঁচলাইশ থানাধীন প্রতিটি আবাসিক এলাকায়ও একেকদিন একেক সময়ে রোবাস্ট পেট্রোলিং করা হবে। এতে আমাদের পুলিশের মনোবলও চাঙা হবে ।

তিনি বলেন, পুলিশ আছে এটা জানান দেয়ার পাশাপাশি যারা অপরাধ করেছে এবং যারা অপরাধ করবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে- এই মেসেজটা দেয়ার জন্যও এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছি। উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নগরীতে থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক হামলা হয়। ওই সময় বহু পুলিশ সদস্য লাঞ্চিত হয়েছেন । অনেকেই থানা থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন থানা পুলিশের কার্যক্রম ছিল না বললেই চলে। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিলেও থানাগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ছিল না। শুধু জিডি রেকর্ড এবং সেনাবাহিনীর সাথে সীমিত পরিসরে যৌথ টহলের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল পুলিশি কার্যক্রম। ইতোমধ্যে পুলিশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

থানাগুলো পুরোপুরি সচল হয়ে উঠেছে। যৌথবাহিনীর সাথে পুলিশ নিয়মিত টহলসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু ৫ আগস্টের ঘটনায় সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মনোবল অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি নাজুক হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পুলিশের আইজি মোহাম্মদ ময়নুল ইসলাম চট্টগ্রাম সফর করেছেন। তিনি সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ভেঙে যাওয়া মনোবল ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন।

সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ হাসিব আজিজ ইতোমধ্যে কয়েক দফা সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠে ‘পুলিশের মনোবল। সেই মনোবল বাড়াতে গতকালের রোবাস্ট পেট্রোলিং বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।


‘অনিয়মের উৎসব’ ২০২১ সালের চসিক নির্বাচন

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “২০২১ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পুরো নির্বাচনটি এক অনিয়মের উৎসবে পরিণত হয়েছিল। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত তামাশা, প্রহসনের নির্বাচন, সরকারি দল মনোনীত প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা দেয়ার কৃত্রিম আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।” এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “২০২১ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পুরো নির্বাচনটি এক অনিয়মের উৎসবে পরিণত হয়েছিল। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত তামাশা, প্রহসনের নির্বাচন, সরকারি দল মনোনীত প্রার্থীকে মেয়র ঘোষণা দেয়ার কৃত্রিম আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।”
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০১৬ মতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির কোন প্রকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বিবাদী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং তার কর্মীদের আইন মান্য করার বিষয়ে উদাসীনতা সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। বিবাদী এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন। এক নম্বর বিবাদী (রেজাউল করিম চৌধুরী) প্রকাশ্যে আইন অমান্য করে বাদী শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচার কর্মী, প্রচার কাজে ব্যবহৃত মাইক, সিএনজি ট্যাক্সি ও রিকশা ভাঙচুর এজেন্টের মারধর হুমকি প্রধানসহ নির্বাচনী আচরণ বিধি ২০১৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় প্রধান শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।

বিবাদী নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে শতাধিক মোটরসাইকেল ও ট্রাকযোগে হাটহাজারী, নন্দিরহাট, দক্ষিণ পাহাড়তলীতে প্রাচারণা চালিয়ে নির্বাচনী বিধিমালা চরমভাবে লঙ্ঘন করেছেন। ভোটারদের খাদ্য পরিবেশন, উপহার সামগ্রী প্রদান করেও আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিবাদী স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে যাতে দেখা যায়, বিবাদীর পক্ষে পরিচালনা কমিটি ২০২১ এর প্রধান সমন্বয়ক ও চেয়ারম্যান হিসেবে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের। কিন্তু প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে সংসদ সদস্যের নাম থাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী আচরণবিধি ২০০৯ ও ২০১৬ এর বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে ব্যঘাত ঘটিয়ে বিবাদীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করার এবং শাহাদাত হোসেনের পক্ষের লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর ভোটারদের ভোট কেন্দ্র ত্যাগে বাধ্য করার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এসব বিষয়ে বিবাদী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। অপরদিকে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণে রেখে বিবাদীর পক্ষে ভোট নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে আসে। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের পুরো নির্বাচনটি এক অনিয়মের উৎসবে পরিণত হয়।

নির্বাচনের পর পরই জাতীয় দৈনিকে ‘নজিরবিহীন ভোট ডাকাতের নির্বাচন’ শিরোনামে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়। পর্যবেক্ষণে চসিক নির্বাচনকে নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্থানীয় দৈনিকের শিরোনামগুলো তুলে ধরে ভোট ডাকাতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।
নির্বাচনের বাদীর সঙ্গে বিবাদীর প্রাপ্ত ভোটের বিশাল ব্যবধান অবিশ্বাস্য অযৌক্তিক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, এক নম্বর বিবাদীকে নির্বাচিত ঘোষণা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী সংস্থা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা ২০১০, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন (ভোটিং মেশিন) ২০১৯, চরমভাবে লঙ্ঘন করে এবং দুর্নীতিমূলক ও বেআইনি কার্যকলাপ এবং আচরণের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে এক নম্বর বিবাদীকে তর্কিতভাবে মিথ্যার আশ্রয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেট মতে বিবাদী রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা বেআইনি, অবৈধ ও ভিত্তিহীন ঘোষণা করা হল। সার্বিক বিবেচনায় বাদী তার দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।


পাচার হওয়া অর্থের তথ্য জানতে বিদেশে দুদকের ৭১ চিঠি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার অর্থ উদ্ধার ও তথ্য সংগ্রহে সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দেশে ৭১টি চিঠি (এমএলএআর) পাঠিয়ে ২৭টির জবাব পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। এটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার অর্থ উদ্ধার ও তথ্য সংগ্রহে সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দেশে ৭১টি চিঠি (এমএলএআর) পাঠিয়ে ২৭টির জবাব পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

বিদেশে অর্থ ও সম্পদ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান এবং মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স রিকোয়েস্ট) পাঠিয়ে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক।
গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। সভার বিষয়বস্তু জানাতে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সা- ংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।

সেখানে এমএলএআর বিষয়ক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহের জন্য আমরা যে বিদেশি সংস্থা রয়েছে, যেসব দেশে টাকা পাচার হয়েছে, সেসব দালিলিক প্রমাণাদির জন্য আমরা মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছি।
‘সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে সদুত্তর পাইনি। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা মাত্র ২৭টি এমএলএআরের উত্তর পেয়েছি।”

অর্থপাচারের মূল গন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড উল্লেখযোগ্য বলে জানান ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কো-অপারেশন বিভাগের প্রধান মিশেল ক্রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার পাবলো প্যাডিন পেরেজ, নাদের তানজা এবং কিশওয়ার আমিনের সমন্বয়ে একটি দল দুদকে বৈঠক করে।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন, দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন, পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ ও গোলাম শাহরিয়ারের সমন্বয়ে একটি টিম সংস্থাটির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেয়।

বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয়।

এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে মা-ি নলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইইউ প্রতিনিধি দল তাদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, “দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে বিষয়টি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে, সে অর্থ ফিরিয়ে আনতে তারা যাতে সহযোগিতা করে সে বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি।

“বৈঠকে আমরা যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়েছে সেই দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেছি, আশা করছি ওইসব দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা আশা করছি তাদের মাধ্যমে ইইউভুক্ত এবং এর বাইরে যে দেশগুলো রয়েছে, সেসব দেশ থেকে সহযোগিতা পাব।”

এর আগে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই, ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে দুদকের বৈঠক হয়েছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর