অভিনব পন্থায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে যৌথ হিসাব খোলাসহ নানা কৌশলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় দুজন ব্যাংকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
অভিনব পন্থায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকে যৌথ হিসাব খোলাসহ নানা কৌশলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় দুজন ব্যাংকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। ৬ বছরে ১০টি হিসাবের বিপরীতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ- সহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রাম সিডিএ এভিনিউ শাখার সাবেক এভিপি ও ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী (৫৭), একই শাখার সাবেক এসইও এভিপি কাঞ্চন কুমার দে (৫৭), সাতকানিয়া উপজেলার চরখাগরিয়া গ্রামের ইব্রাহিম চৌধুরীর ছেলে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (৫১) এবং নগরের ডবলমুরিং থানার বাংলাবাজার স্ট্র্যান্ড রোড এলাকার মৃত আমির হোসেন দোভাষের ছেলে ইকবাল হোসেন দোভাষ (৬৯)। তাদের বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০টি হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৪ কোটি ৭১ লাখ হাজার ৪০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/420/467/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের একটি মামলার অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, ১ নং আসামি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ২ নং আসামি কাঞ্চন কুমার দে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি. সিডিএ এভিনিউ শাখায় দায়িত্ব পালনকালে মেসার্স এইচ এন্ড কর্পোরেশনের নামে ব্যাংকের শাখায় বিগত ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল একটি চলতি হিসাব খোলেন । হিসাব নং ৩৩০০০৯৭৬। আসামি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও আসামি ইকবাল হোসেন দোভাষের ছেলে মো. জাহিদ দোভাষকে উক্ত চলতি হিসাবের নমিনি উল্লেখ করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তা আসামি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী উক্ত হিসাবের শনাক্তকারী ছিলেন। মোহাম্মদ আবদুস সবুর চৌধুরী ও আসামি ইকবাল হোসেন দোভাষকে অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরমে মেসার্স এইচ এন্ড কর্পোরেশন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক উল্লেখ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির অফিসের ঠিকানা দেখানো হয় কোতোয়ালী থানাধীন ৮২ আছদগঞ্জ। কিন্তু উক্ত ঠিকানায় এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব কখনো ছিল না ।
২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মেসার্স এইচ এন্ড কর্পোরেশনের নামে একটি সিসি (হাইপো) ঋণ হিসাব নং ২৭০০০০১৬৯ খোলা হয়। মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে পার্টনারশিপ দলিল তৈরি করা হয় ২০০৮ সালের ৩ জুন। অংশীদারী চুক্তিপত্র ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয় । মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে অংশীদারী চুক্তিপত্র একই বছরের ৩ জুন তৈরি করা হলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিডিএ শাখায় চলতি হিসাব নং ৩৩০০০৯৭৬ খোলা হয়েছে ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল।
অংশীদারী চুক্তিপত্রে পার্টনারদ্বয়ের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার কথা উল্লেখ থাকলেও হিসাব নং ৩৩০০০৯৭৬-এর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ফরমে অংশীদারদের যেকোনো একজন হিসাব পরিচালনা করবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামিগণ সহযোগিতা ও পরস্পর যোগসাজশে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিডিএ শাখায় মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে ভুয়া ও মিথ্যা অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।
এজাহারে বলা হয়, মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে পার্টনারশিপ দলিল সৃজন করার পূর্বেই মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছে এবং হিসাব নং ৩৩০০০৯৭৬-এ লেনদেন করা হয়েছে। ৪ নং আসামি ইকবাল হোসেন দোভাষ মেসার্স এইচ এন্ড কর্পোরেশনের অনুকূলে ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্যে তার মালিকানাধীন ভূমিসহ চারতলা বিশিষ্ট ভবন বন্ধক রাখেন।
প্রথমবার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিডিএ শাখা ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মেসার্স এইচ এইচ কর্পোরেশন বরাবর ৮ কোটি টাকা কম্পোজিট ঋণের সুবিধা প্রদান করলেও প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিকবার ঋণের লিমিট নবায়ন করে সর্বশেষ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক প্রধান কার্যালয় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ঋণ সুবিধা মঞ্জুর করে। এভাবে আসামি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাঞ্চন কুমার দে ও সাইফুল ইসলাম চৌধুরী প্রতারণা করে মোহাম্মদ আবদুস সবুর চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি এবং তা ব্যবহার করে কৌশলে ঋণের লিমিট বৃদ্ধি করে এবং লোকাল ও ফরেন এলসি খোলে। পরবর্তীতে এলসিসমূহকে এলটিআর ও পিএড়িতে রূপান্তর দেখিয়ে ঋণের টাকা ডিসভার্সড করে ব্যাংকের মোট ২৪,৭১,৪২,৪০৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক প্রধান কার্যালয় কর্তৃক ব্যাংক কর্মকর্তা ১ নং আসামি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ২ নং আসামি কাঞ্চন কুমার দে’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে বিগত ২০১৩ সালের ৯ জুন তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণা করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালের ২৮ মে বন্ধক দেওয়া সম্পত্তির মূল্য ৪ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার হাজার টাকা দেখালেও সেই সম্পত্তির মূল্য ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা দেখান।
এছাড়া আসামিরা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাথের উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালের ৭ জুলাই গোডাউনে স্টক পণ্য প্রাথমিক সিকিউরিটি বাবদ মূল্য উল্লেখ করেন ১০ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিকিউরিটি বাবদ স্টক পণ্যের ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্য দেখানো হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণা করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও জাল ডকুমেন্টস তৈরি এবং ব্যবহার করে জামানতের মূল্য বৃদ্ধি করে প্রধান কার্যালয়ে ঋণের লিমিট বৃদ্ধি এবং ঋণ নিয়ে ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৪০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড সিডিএ এভিনিউ শাখা ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার কম্পোজিট ঋণ সুবিধা প্রদান করলেও রেকর্ডপত্রের আলোকে ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত সিডিএ এভিনিউ শাখা মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে ৩টি লোন এগেইনস্ট ট্রাস্ট রিসিট (এলটিআর) হিসাব যথাক্রমে ০২৩৮৬৮০০১০১, ০২৩৮৬৮০০১০২, ০২৩৮৬৮০০১০৩; ৬টি পেইড এগেইনস্ট ডকুমেন্টস (পিএডি) হিসাব যথাক্রমে 02387302495, 0237302520, 02387302522, ০২৩৮৭৩০২৫২৩, ০২৩৮৭৩০২৫৪২, ০২৩৮৭৩০২৫৪৫ ও একটি ক্যাশ ক্রেডিট (সিসি) (হাইপো) হিসাব নং ১৫০০০১৬৯; মোট ১০টি হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, কিন্তু তা পরিশোধ না করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ৩ নং আসামি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের সমস্ত দায় দেনার ব্যক্তিগত জামিনদার ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর ব্যাংকের লেটার অব গ্রান্টিতে জামিনদার হিসেবে স্বাক্ষর করেন। মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে বাস্তবে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও আসামিগণ মেসার্স এইচ এন্ড এইচ কর্পোরেশন নামে ভুয়া একাউন্ট সৃজন করে এবং আসামি ইকবাল হোসেন দোভাষের সম্পত্তিকে ব্যবহার করে ভ্যালুয়েশন প্রতিবেদনে বারবার মূল্য বৃদ্ধি করে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিডিএ শাখা থেকে নানা অপকৌশলে টাকা আত্মসাৎ করেন। ঘটনাটির ব্যাপারে মামলা রুজুর বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুমোদন চাওয়া হলে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে স্মারক নং- ০০.০১.১৫০০.৬২২.০২.০৩৯.২০.চট্টগ্রাম- ১/৩৩৬৬৬ মূলে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুমোদন প্রদান করা হয়। গতকাল মামলাটি করা হয়েছে।
প্রেমিককে আটকে খুলশীতে কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ
নগরীতে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা থেকে প্রেমিকের সাথে চট্টগ্রামে আসা ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর প্রেমিককে আটকে রেখে চার যুবক তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
নগরীতে এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা থেকে প্রেমিকের সাথে চট্টগ্রামে আসা ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর প্রেমিককে আটকে রেখে চার যুবক তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে নগরীর খুলশী থানার সন্নিকটে রাস্তার বিপরীত পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম আবুল কালাম (২৮)।
খুলশী থানা পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও এক কিশোর কুমিল্লা থেকে পালিয়ে ট্রেনে করে চট্টগ্রামে আসেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাত ১০টার দিকে তারা নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। সেখানে তাদের কাছে থাকা একমাত্র মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। স্টেশন থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে তারা নগরীর খুলশী এলাকায় আসেন। এক সিএনজি অটোরিকশা চালক তাদের দক্ষিণ খুলশী এলাকায় এনে নামিয়ে দেন।
তারা সেখানে ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে আবুল কালাম ও তার সঙ্গে থাকা আরও তিন যুবক মিলে তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার কথা বলে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়।
সেখানে কিশোরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে চারজন পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান গতকাল জানিয়েছেন, “বিয়ে করার উদ্দেশে কিশোরী ও কিশোর চট্টগ্রামে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। এখানে এসে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমরা একজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি। আরও তিনজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ওই কিশোরের আত্মীয়স্বজন ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আবুল কালাম একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আবুল কালাম বর্তমানে দক্ষিন খুলশী বিজিএমইএ ভবনের পাশে ভাড়া ঘরে বসবাস করে। তার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার পাতার হাট গ্রামে। তার বাবার নাম হাবিবুর রহমান । ঘটনার ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে বলে খুলশী থানা জানিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা এক যুবক গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আক্রান্ত কিশোরী এবং তার প্রেমিককে উদ্ধার করি। ওই সময় আমরা আবুল কালামকে হাতে নাতে ধরে ফেলি, অপর তিনজন পালিয়ে যায়। এরা সবাই খুলশী এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী বলেও ওই যুবক জানান। তাদের সবার বিরুদ্ধে খুলশীসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও যুবকটি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই যুবক জানান, নির্মাণাধীন একটি ভবনের এক কক্ষে মেয়েটিকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছিল, অপর একটি কক্ষে তার প্রেমিককে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা দুই কক্ষ থেকে দুইজনকে উদ্ধার এবং একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
সহজ হচ্ছে ভোটার নিবন্ধন
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন উদ্যোগের কারণে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম এখন আরও সহজ হবে জানিয়েছেন বলে কমিশনের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে এর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে। তিনি জানান, বিশেষ এলাকার নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ভোটার হতে এসএসসি, সমমান বা তদুর্ধ্ব অনলাইন সনদ, কিউআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, কিউআর কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ এবং বাবা- মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। তবে সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান হলে প্রমাণ স্বরূপ অফিস প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত সার্ভিস বইয়ের কপি, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র প্রদান করতে হবে। মো. ইউনুছ আলী জানান, যদি এসএসসি বা সমমান বা তদুর্ধ্ব সনদ না থাকে তাহলে তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে ভোটার হতে কিউআর কোডযুক্ত অন- লাইন জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের এএফআইএস (অটোমেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) যাচাই, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ অথবা ভূমিহীন সনদ, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের রশিদ বা পর্চা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তবে তার কপিও সংযুক্ত করতে হবে। ‘
যদি বাবা- মায়ের মধ্যে একজন বেঁচে থাকেন এবং তিনি ভোটার হয়ে থাকলে তার এএফআইএস যাচাই এবং অন্যজনের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। আর বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকলে উভয়ের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।’ যোগ করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী।
এই দুই ক্যাটাগরির বাইরের লোকজন ‘সি’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক।
চাটগাঁর চোখ ডেস্ক