চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পৃথক ১৪টি ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যু করবেন সংস্থাটির তিনজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা। ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর অনুপস্থিত রয়েছেন। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পৃথক ১৪টি ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যু করবেন সংস্থাটির তিনজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা। ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই এসব ওয়ার্ডে গতকাল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক’ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তারা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ইস্যু করবেন।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক এর দায়িত্ব বণ্টন করে গতকাল অফিস আদেশ জারি করেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন। আদেশ অনুযায়ী, চসিকের ১ ও ৫ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ৭, ৯, ১১, ১৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২ ও ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিন ফেরদৌসী ৪, ৬, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এবং ৪ ও ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী ১৫, ২১, ২৩, ২৫ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চসিকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চসিকের ৩৯ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস করছেন না। নিয়মিত অফিস করেন ৯ জন এবং ৭ জন অনিয়মিত অফিস করেন। প্রসঙ্গত, চসিকে ওয়ার্ড আছে ৪১টি। এত ৪১ জন সাধারণ এবং ১৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর আছেন। সবমিলিয়ে কাউন্সিলর আছেন ৫৫ জন ।
চসিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিপুল সংখ্যক কাউন্সিলর অনুপস্থিত। বিপরীতে ১৪টি ওয়ার্ডে ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক’ এর দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে বাকি ওয়ার্ডগুলোর কি হবে সেই প্রশ্ন ওঠেছে। এ বিষয়ে চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন আজাদীকে বলেন, যেসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা শতভাগ অনুপস্থিত আছেন ওসব ওয়ার্ডেই কেবল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলোতে কিন্তু জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। এরপরও কোনো ওয়ার্ডে যদি কাউন্সিলরের অনুপস্থিতির কারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পেতে সমস্যা হয় সেখানেও আমরা দায়িত্ব বণ্টন করব। এর আগে মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রেরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারা অফিস করছেন না সেই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তখন তো নানা কারণে অফিস করেন নি। অনেক অফিসে তো বসার জায়গাও ছিল না। তবে তারা অনলাইনে সনদ দেয়।
এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ১১৭ (১) অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন সমূহের প্রশাসকগণকে সিটি কর্পোরেশন অধিক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের নাগরিক সেবা বিশেষ করে জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার সনদ ইত্যাদি প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন (কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরণের দায়িত্ব, কার্যাবলী ও সুযোগ-সুবিধা) বিধিমালা, ২০১২ এর উপবিধি ৩ (৩) অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরগণ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার, জাতীয়তা ও চারিত্রিক সনদ প্রদানের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন। এছাড়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিটি কর্পোরেশনের কোন কাউন্সিলর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে বা কোনো কাউন্সিলরকে কর্মস্থলে পাওয়া না গেলে নিরবচ্ছিন্ন নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে জনস্বার্থে প্রশাসক তাঁর উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে বা ক্ষেত্র বিশেষে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর ধারা ৩ দ্বারা সন্নিবেশিত ধারা ২৫ ক (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যদেরকে এ ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চসিকের সাবেক কাউন্সিলররা দাবি করেন, সরকার পতনের পর চসিকের বেশিরভাগ কাউন্সিলর আত্মগোপনে থাকায় নাগরিকরা বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে জন্ম-মৃত্যু, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদপত্রসহ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন না। নাগরিক সেবা নিশ্চিতে যেসব কাউন্সিলর অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ারও আহবান জানান তারা। এ দাবির পরদিনই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হল।
১৬ কোটির মার্সিডিজের দর উঠল ৪ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনলাইন নিলামে (ই-অকশন) ১৬ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। এটি দৈনিক আজাদীর খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনলাইন নিলামে (ই-অকশন) ১৬ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের যমুনা শিপ ব্রেকার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই দর হাঁকে। এছাড়া ৫ কোটি টাকা মূল্যের ল্যান্ডক্রুজার গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ময়মনসিংহের ভালুকার পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান হ্যারি ফ্যাশন সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইন দরপত্র গ্রহণ করেন। গাড়িসহ ৪৫ লটের মধ্যে
২৬ লটে দরপত্র জমা পড়ে ৬৯টি। এরমধ্যে শুধু ল্যান্ডক্রুজার গাড়িতে দরপত্র পড়ে ১৪টি এবং মার্সিডিজ বেঞ্জে দরপত্র জমা পড়ে ৪টি। মার্সিডিজ বেঞ্জের দরদাতা হল যমুনা শিপ ব্রেকার্স, মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজ, একেএম নিট ওয়্যার লিমিটেড এবং মো. নাহিদ হাসান। অপরদিকে ল্যান্ডক্রুজারের দরদাতারা হল এসএ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, এনায়েত রশিদ, বাংলা কারস, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, মেসার্স হোসাইন অ্যান্ড হাসান ট্রেডিং, মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজ, বিল্ড বেস্ট, মো. শামিম ইসলাম, হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেড, ম্যাঙ্খি অ্যাসোসিয়েটস, শাহ আমানত ট্রেডিং, এসএইচ এন্টারপ্রাইজ, নুরুল আজিম ও মো. নাহিদ হাসান ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিজ, লেডিস সু সোল, সিরামিকের ফুলদানি, ক্র্যাফ্ট কার্টন, পিভিসি শিট, গার্মেন্টস এপ্সেরিজ, সোডিয়াম সালফেট, ব্যবহৃত কম্বল, বই, কম্বলের কাপড়, হুইট ব্রান ক্রপ, মাল্টি গ্রেড ইঞ্জিন অয়েল, পাইনাপল জুস, ম্যাঙ্গ ন্যাক্টার, আপেল জুস, স্ট্রবেরি অ্যান্ড ব্যানানা জুস, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কাস্টমসের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে অনলাইনে দরপত্র গ্রহণ শুরু হয়। সর্বশেষ গতকাল বিকেল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিডাররা দরপত্র দাখিল করেন। তবে আগে দরপত্র দাখিলের তিন থেকে চারদিনের মধ্যে দরদাতারা নিলাম মূল্যের ১০ শতাংশ পে অর্ডার জমা দিতেন। এবার সেই নিয়ম পরিবর্তন করে দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পে অর্ডার জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেয়া হয়। এতে নিলাম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সর্বোচ্চ দরদাতা কে হয়েছেন, সেটি জানা যাচ্ছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সেলিম রেজা জানান, বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ-ল্যান্ডক্রুজারসহ ৪৫ লট পণ্যের অনলাইন নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। এখন নিলাম কমিটি যাচাই বাছাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিক্রয় অনুমোদন দেওয়া হবে । উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে । দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না ।
বিশেষায়িত ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাস পাতালে আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষায়িত এ ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর।
পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাস পাতালে আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিশেষায়িত এ ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, বর্তমানে অর্ধশত রোগী ভর্তি রয়েছে। যেভাবে ডেঙ্গু বাড়ছে, তাতে রোগীর সংকুলান হবে না। সামনে ডেঙ্গু রোগীরা আসলে তাদের সরাসরি বিশেষায়িত ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। ওয়ার্ডে ২৪ ঘণ্টায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের প্রধান ভবনের পূর্ব গেটের পাশে অবস্থিত পুরানো কোভিড ওয়ার্ডে চালু করা হয়েছে নতুন ডেঙ্গু ওয়ার্ড। যেখানে ৪৫টি শয্যা বসানো হয়েছে। এছাড়াও অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন লাইন স্থাপনসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি শিফটে তিনজন চিকিৎসক ছাড়াও নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্বক্ষণিক রোগীদের দেখভাল করবেন।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৯৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে বর্তমানে চমেক হাসপাতালসহ
বিভিন্ন হাসপাতালে ১১০ জন রোগী চি- কিৎসাধীন আছেন। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিদিনের ডেঙ্গু প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ভর্তিরতদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে রয়েছে ৪১ জন।
চাটগাঁর চোখ ডেস্ক