বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

৭ কোটি টাকার ম্যুরালের পরিকল্পনা বাদ

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের ২০২৩ সালের নেওয়া দ্বিতীয় প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হচ্ছেএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের ২০২৩ সালের নেওয়া দ্বিতীয় প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া দ্বিতীয় প্রকল্পটি ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে রাউজানের রাঙামাটি সড়কপথে হালদা সেতুর কাছে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেটি বাদ দিয়ে ওই টাকায় হালদাপাড়ের উত্তর-দক্ষিণ দুই প্রান্তে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করার প্রস্তাব করা হয়েছে ।

জানা যায়, কয়েক বছর ধরে হালদা নদীতে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যু নিয়ে পরিবেশবাদী ও হালদা বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগের মাঝে মৎস্য বিভাগ নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দ্বিতীয় প্রকল্পটি নিয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে কাজ করার কথা ছিল নদীর দুই পাড়ে রাউজান ও হাটহাজারী অংশে থাকা ৬টি পুরাতন হ্যাচারি সংস্কার করে মৎস্যজীবীদের জন্য অধিকতর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, হ্যাচারিগুলোর সাথে থাকা পুকুর সংস্কার, ডিম সংগ্রহকারী ও মৎস্য কর্মকর্তা- কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, নদী দূষণমুক্ত ও নদীতে মাছ শিকারসহ অবৈধ তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত, দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান করা, অংশীজনদের নিয়ে ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও গবেষণা করার । সর্বশেষ নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ২০২৭ সালের জুনে। হালদার সুফলভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানা গেলেও এর বাস্তবতা এখনো দৃশ্যমান নয়। হ্যাচারিগুলোর অবস্থা আগের মতো ভঙ্গুর। নদীতে জাল পাতা বন্ধ হয়নি। নদীপাড়ে নৌ পুলিশের ক্যাম্প থাকলেও মা মাছ চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান নেই।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের অধীনে এ পর্যন্ত ৯ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে রাউজান ও হাটহাজারীতে থাকা হ্যাচারিগুলোতে । বাকি তিনজনকে রাখা হয়েছে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে।

রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া তিনজন তরিকুল ইসলাম, হেলি চাকমা ও প্রোহেলি চাকমার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, হ্যাচারিগুলো দেখাশোনা করার কাজে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তারা মাঝেমধ্যে হ্যাচারিতে গিয়ে ঘুরে আসেন। একইভাবে কাজ করছেন হাটহাজারীতে নিয়োগ পাওয়া লোকজন।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুই দশক আগে হালদা নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, রাউজান পৌর এলাকা গহিরার মোবারকখীল ও পশ্চিম গহিরায় তিনটি হ্যাচারি প্রতিষ্ঠিত হয়। হাটহাজারী অংশে রয়েছে উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়ুয়াপাড়ায় আরো তিন হ্যাচারি। সরেজমিনে হ্যাচারিগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কাগতিয়া ও পশ্চিম গহিরা হ্যাচারি বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মোবারকখীল হ্যাচারিটি মোটামুটি সচল আছে। হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়য়াপাড়ার হ্যাচারি চালু থাকলেও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এসব হ্যাচারিতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে ওই এলাকার মৎস্যজীবীদের

হালদার দ্বিতীয় প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজে গতি বাড়ানোর কাজ চলছে। হালদা বিশেষজ্ঞসহ অন্য অংশীজনদের সাথে বৈঠক করে প্রকল্প কাজের কিছু পরিবর্তন এনে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, হালদার মাছ রক্ষা ও দূষণ চিহ্নিত করার কাজে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্য থেকে ৪০ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দুই উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে এসব কাজে উপযোগী ৮০ জন করে নামের তালিকা পাঠাতে। তালিকা আসার পর যাচাই বাছাই করে ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি জানান, অকেজো থাকা হ্যাচারিগুলো মেরামত করা হবে। আরো তিনটি হ্যাচারি নতুন করে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিভিন্ন মহল থেকে আসছে। আগের কর্মসূচিতে থাকা ৭ কোটি টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করার বিষয়ে বলেন, ওই কাজ বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় হালদাপাড়ের সতাঘাট ও মদুনাঘাটে মৎস্য বিভাগের দুটি অফিস করা যায় কিনা অংশীজনদের সাথে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।


মৌসুমেও ওমরা যাত্রী কমে অর্ধেক

চট্টগ্রামে হজ ওমরা যাত্রী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আল নূর হজ কাফেলামাস চারেক আগেও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে যান পঞ্চাশের অধিক যাত্রী এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রামে হজ ও ওমরা যাত্রী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আল নূর হজ কাফেলা। মাস চারেক আগেও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে যান পঞ্চাশের অধিক যাত্রী। কিন্তু গত মাসে একই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওমরা পালন করতে গিয়েছেন মাত্র ২৮ জন।

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শরিয়াত উল্লাহ শহিদ বলেন, চলতি মাসে এ সংখ্যা আরও কমেছে। অথচ গত বছরের এই সময়ে ওমরা যাত্রীদের চাপ থাকতো কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু হঠাৎ ওমরা যাত্রী কমে গেছে।

ট্রাভেল ব্যবসার পাশাপাশি ওমরা যাত্রীদের সেবা দেন জেড আই ট্রাভেল্স। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মাসে অন্তত ১০ জন যাত্রী পাওয়া যেত। কিন্তু এ কয়েক মাস একজন যাত্রীও পাওয়া যায়নি।

শুধু এ দুই প্রতিষ্ঠানের চিত্র এমন নয়। চট্টগ্রামের একাধিক ইজ ও ওমরা যাত্রী সেবাদানকারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ ওমরা যাত্রী কমেছে। অথচ কোরবান ঈদের পর থেকে বছরের শেষ সময় পর্যন্ত ওমরা হজের মৌসুম। কিন্তু এ মৌসুমেও ধস নেমেছে ওমরায়। এ জন্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বাড়তি খরচের পাশাপাশি মানুষের অর্থ সংকটের বিষয়টিও দেখছেন কেউ কেউ।

চট্টগ্রামের আরেক ওমরা ও হজ যাত্রী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান শাহ আমানত হজ কাফেলা। বর্তমান সময়ে ওমরা যাত্রীর পরিস্থিতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ‘গত বছরের এই সময়ে ওমরা যাত্রীদের চাপ ছিল কয়েকগুণ। বলতে গেলে বর্তমানে এজেন্সিগুলো হাত-পা গুটিয়ে ফেলেছে। অন্তত ৫০ শতাংশ যাত্রী কমেছে।’

এজেন্সিগুলো জানায়, গত বছর এই সময়ে ওমরা যাত্রীদের চাপ ছিল কয়েকগুণ। এ জন্য টিকিট পাওয়া ছিল কঠিন। পাশাপাশি বিমান ভাড়াও বেশি ছিল। যদিও গত সপ্তাহে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিমানের টিকিটের মূল্য কিছুটা কমিয়ে আনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া যাত্রীদের টিকিট প্রাপ্তি সহজলভ্য করা হয়। কিন্তু ভাড়া কমানোর পরও সে তুলনায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিমান ভাড়া কমানো হলেও তুলনামূলক যাত্রী কম পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে ওমরাহ যাত্রী বেশি। থাকে, কিন্তু তুলনামূলক বিমানে যাত্রী সংকট। আল-রাফি ওমরা ও হজ কাফেলার স্বত্বাধিকারী এইচএম মুজিবুল হক শাকুর বলেন, একটা সময় যাত্রীর চাঁপ ছিল কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে টিকিটের মূল্যও বেশি থাকতো। অথচ বর্তমানে টিকেটের মূল্য কিছু কমিয়েছে, এরপরও ওমরায় আগ্রহ নেই। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ৫০ শতাংশ যাত্রী নেই। অতীতে এমন চিত্র দেখা যায়নি। সার্বিক বিষয়ে হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিমান ভাড়া কমেছে ঠিক। তবে সে তুলনায় যাত্রী নেই। তাছাড়া চট্টগ্রামসহ আশেপাশে বহু জেলা এখন বন্যা কবলিত । মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক সংকট ও সার্বিক পরিস্থিতির কারণে মানুষের আগ্রহ কম। তবে আশা করছি সামনে এ পরিস্থিতি ঠিক হবে।


প্রমাণ পেলেই ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা

পর্যালোচনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়াকাউকে পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক আজমএটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

পর্যালোচনা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া’ কাউকে পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। উপদেষ্টা আজম এই মন্ত্রণালয়েরও উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খবর বিডিনিউজ। তিনি বলেন, যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন অপরাধের তথ্য-প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আজম বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি হয়েছে,তারও তালিকা হবে। তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, তা নিরুপণ করা হবে। সেইসঙ্গে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি না, তাও রিভিউ হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন, সেটিও দেখা হবে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। “

ফারুক-ই-আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হত, মন্ত্রণালয় সেখানে তদারকি করত না। “মুক্তিযুদ্ধের মত গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা আর নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সেই গৌরব ফিরে পেতে চান। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা রিভিউ করা হবে। যারা ভুয়া, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দেশে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত, তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েই গেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অপূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছিল সরকার, যেখানে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জনের নাম ছিল।

বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময় অনিয়মের অভিযোগ শোনা গেছে। এমনকি বাংলাদেশে ‘ভুয়া’ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ঠিক কত, সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর