সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

জশনে জুলুসে যান চলাচলে সিএমপির নির্দেশনা

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আগামী সোমবার ছয় ঘণ্টা নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)মিলাদুন্নবীর র‍্যালি যেসব সড়ক দিয়ে যাবে, সেই রুটসহ আশপাশের সড়কে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ট্রাফিক পুলিশএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আগামী সোমবার ছয় ঘণ্টা নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

মিলাদুন্নবীর র‍্যালি যেসব সড়ক দিয়ে যাবে, সেই রুটসহ আশপাশের সড়কে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ট্রাফিক পুলিশ। সিএমপি ট্রাফিক-উত্তর বিভাগ থেকে গতকাল শনিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হবে। নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে র‍্যালি জশনে জুলুসে যান বের হবে।

এরপর র‍্যালিটি বিবিরহাট হয়ে মুরাদপুর মোড়ে এসে ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় ঘুরে আবার লর্ডস ইন হোটেলের সামনে দিয়ে একই পথ ধরে জামেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পৌঁছাবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র‍্যালি অভিমুখে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সকল ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এছাড়া র‍্যালিকে কেন্দ্র করে নগরীর ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বা পয়েন্টে ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পয়েন্টগুলো হল- জামেয়া মাদরাসা মাঠ, বিবিরহাট, মুরাদপুর, হামজারবাগ, এন  মোহাম্মদ/শুলকবহর, মির্জারপুল রোডের মুখ, বায়েজিদ বোস্তামি রোডের মুখ (শেরশাহ মোড়), বেবি সুপার মার্কেট, প্রবর্তক রোডের মুখ, জাকির হোসেন রোডের মুখ, গোলপাহাড় রোডের মুখ এবং পুনাক মোড়।

ঈদে মিলাদুন্নবীর র‍্যালিতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিদের বহনকারী যানবাহন রাখার জন্য আটটি পার্কিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হল-নগরীর আমবাগানে শহীদ শাহজাহান মাঠ, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, বায়েজিদ লিংক রোড, এক কিলোমিটার নুর নগর হাউজিং মাঠ, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠ, পলোগ্রাউন্ড মাঠ, মেরিন ড্রাইভ রোড এবং ফিসারিঘাট। র‍্যালির রুটে কোনোভাবেই কোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং করা যাবে না বলে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।


নাগরিকদের কথা শুনতে চায় পুলিশ

আবারও চালু হচ্ছে পুলিশের ওপেন হাউস ডেসর্বশেষ ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেএটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

আবারও চালু হচ্ছে পুলিশের ওপেন হাউস ডে। সর্বশেষ ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে সদ্য যোগদান করা নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ওপেন হাউজ ডে’র কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নিলেন।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থানাগুলোতে হামলা ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তের দল। এতে সংকটে পড়ে পুলিশের কার্যক্রম। থানায় পুলিশ ফিরলেও পুলিশিং কার্যক্রম এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় পুলিশ আর সাধারণ মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন ও দূরত্ব কমাতে ওপেন হাউজ ডে’র মতো জনবান্ধব পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে সিএমপি।

অতীতে থানাগুলোতে মাসে একবার ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হলেও এখন থেকে নগর পুলিশ সপ্তাহে তিনদিন ওপেন হাউজ ডে কর্মসূচির আয়োজন করবে। প্রতি মঙ্গলবার সিএমপি কমিশনার কার্যালয়, প্রতি রবিবার অপরাধ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) কার্যালয় এবং সপ্তাহে একদিন থানাগুলোতে ওপেন হাউজ ডে হবে।

প্রথমবারের মতো সিএমপি কমিশানার কার্যালয়ে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দামপাড়ায় সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে হবে ‘ওপেন হাউজ ডে’। সেখানে নগরবাসীর সমস্যা ও অভিযোগ শুনবেন পুলিশ কমিশনার। এরপর সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন তারা।

সিএমপির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিএমপির ক্রাইম ডিভিশনগুলোর উপ-পুলিশ কমিশনারগণও সপ্তাহে একদিন একই প্রক্রিয়ায় সকলের বক্তব্য শুনবেন ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। এটি হবে প্রতি রবিবার বিকাল ৩টায় সংশ্লিষ্ট উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে। কমিশনার ও উপ কমিশনারের বাইরে নগরীর থানাগুলোতেও সপ্তাহের একদিন *ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ জানান। তবে থানাগুলোর ‘ওপেন হাউজ ডে’ কখন হবে, সেটি থানা থেকেই নির্ধারণ করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ২০০৭ সালে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাইম আহমেদ ওপেন হাউস ডে চালু করেছিলেন। পরে সারা দেশের থানাগুলোতেও তা চালু করা হয়।


বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করল ভারত

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট মূল্য বাড়ার কারণ দেখিয়ে 80 শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করেছিল সরকার দীর্ঘ চার মাস ভারত নয় দিন পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটিএটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার কারণ দেখিয়ে 80 শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করেছিল সরকার। দীর্ঘ চার মাস ভারত নয় দিন পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। এতে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা।-বাংলানিউজ।

গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমারের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল ভারত। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এরপর হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দেশের বাজারে কমেনি দাম।

শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেঁয়াজের দাম। এ কারণে বিকল্প মিশর ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ভারত সরকার। সেই দামেই হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন আমদানিকারকরা। এরপর ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ার কারণ দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমারের সই করা এক পত্রের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। যা ৪ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল ভারত।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর