সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেনবাসের চালক তার সহকারী মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাসের চালক ও তার সহকারী মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় গত মঙ্গলবার একটি মামলা করেছেন।

এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত বাস চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- বাস চালক আজাদ খান ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলাম।

পরে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে দুই আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

আদালতে থাকা নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার নারী-শিশু বিষয়ক জিআরও (এসআই) শাহিন আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণ মামলায় মঙ্গলবার দুজন আসামিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির পৃথক দুটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টায় পটিয়ার মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে করে নগরীর বাকলিয়ার তুলাতলিতে স্বামীর বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। শাহ আমানত ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে বাসের চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণ করেন। বাসে তখন অন্য কেউ ছিলেন না। একা পেয়ে বাসের পেছনের সিটে নিয়ে গিয়ে একজনের পর একজন ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে নানা জায়গা ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ভিকটিম নারীকে পটিয়ার শান্তিরহাটে নামিয়ে দেওয়া হয়। আত্মীয়ের বাসা থেকে ভিকটিম নারী ফিরছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ভিকটিম নারীর স্বামী একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। দুই মাস আগে তারা বিয়ে করেন। কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


রোগীর মৃত্যু : চিকিৎসককে মারধর প্রতিবাদে চিকিৎসাসেবা বন্ধ

রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছেএর প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষহামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সকল কর্মচারীরাচিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাধীন প্রায় ৮শ রোগী বিপাকে পড়েছে এটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সকল কর্মচারীরা। চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাধীন প্রায় ৮শ রোগী বিপাকে পড়েছে। তবে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ থাকলেও সেবা চালু আছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। তাই অনেকে নিরুপায় হয়ে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। এদিকে এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

তারা হলেন, নতুন বাহাছড়া এলাকার সেলিম রেজার ছেলে তাহসিন মো. রেজা, তার ভাই তামিম মো. রেজা, টেকপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে সাইফ বিন সম্রাট ও কালুর দোকান এলাকার সাইফুল আজিমের ছেলে সাইদুল লতিফ সাকিব।

স্বজনদের অভিযোগ, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিসিউতে ভর্তি থাকা শহরের ৬নং এলাকার আজিজ মারা যান। ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করার পরই তার মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে হাসপাতালের ভেতরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার স্বজনেরা। তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী সজিবকে মারধর করার পাশাপাশি হাসপাতালের কক্ষে তাকে আটকে রাখে। বিক্ষুব্ধ স্বজনেরা হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন ।

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। চিকিৎসককে মারধরের কারণে একদল বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার সুরাহা না হলে হাসপাতালের আবাসিক রোগীদের কোনো ধরনের সেবা দেওয়া হবে না বলেও জানান।

জরুরি বিভাগে সেবা সচল থাকলেও বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সেটিও বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছে চিকিৎসক, ওয়ার্ড কর্মীসহ হাসপাতালটির নানা শ্রেণির স্টাফরা। দুপুর ১২টা থেকে হাসপাতালে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া মোতায়েন রয়েছে পুলিশও।

আন্দোলনরত মেডিকেল অফিসাররা জানান, হাসপাতালে তাদের কোন নিরাপত্তা নেই। যেভাবে তাদের সহকর্মীর উপর হামলা হয়েছে, তাতে তার মৃত্যু হতে পারতো। তাই যতক্ষণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হবে ততক্ষণ তারা কর্মবিরতি করবেন।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার নুরুল হুদা বলেন, যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কোন স্টাফই কাজে ফিরবে না। কথায় কথায় চিকিৎসকসহ স্টাফদের উপর হামলা হচ্ছে। তাতে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তারপর সেবা।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো সাংবাদিকদের বলেন, রোগীর অবস্থা ক্রিটিক্যাল ছিল। রোগীর এমন পরিস্থিতিতে তাকে কার্যকর সেবা দেয়ার জন্য স্বজনদের দরকার হয়। কিন্তু ওই সময় স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন না। তারপরও আমাদের চিকিৎসক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন, যার কোনো ঘাটতি ছিল না।

তারপরও চিকিৎসকের ওপর হামলা করা হয়। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তারা সেবা না দিলে সমস্যা তো হবেই। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধানের। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠক হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জরুরি সেবা তারা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, , চিকিৎসা সেবা একটি মানবিক পেশা, মানুষের জীবন মরণের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে, তাই তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। যার প্রেক্ষিতে কাজে যোগ দিবেন চিকিৎসকরা। সেই সাথে চিকিৎসকদের জীবনের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হয় চিকিৎসা সেবা বন্ধ নিয়ে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ৪ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। জরুরি সেবা চালু করা হয়েছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ামিন হোসেন বলেন, চিকিৎসকদের সাথে কথা হয়েছে। তারা জরুরি সেবা কাজে ফিরেছেন। চিকিৎসকে মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ।.


নিলামে উঠছে মার্সিডিজ বেঞ্জ ল্যান্ডক্রুইজারসহ ৪৫ লট পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের মার্সিডিজ বেঞ্জ কোটি টাকার ল্যান্ডক্রুইজার গাড়িসহ ৪৫ লট পণ্যের অনলাইন নিলাম (ই-অকশন) আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবেগত মঙ্গলবার থেকে বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারীরা) কাস্টমসের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দরপত্র দাখিল করতে পারছেনএটি দৈনিক আজাদীর খবর

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ৫ কোটি টাকার ল্যান্ডক্রুইজার গাড়িসহ ৪৫ লট পণ্যের অনলাইন নিলাম (ই-অকশন) আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

গত মঙ্গলবার থেকে বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারীরা) কাস্টমসের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দরপত্র দাখিল করতে পারছেন। দরপত্র দাখিল করা যাবে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত 1 এছাড়া নিলামে আগ্রহীরা চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন শেডে গতকালের মতো আজকেও স্বশরীরে পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিড লেডিস সু সোল, সিরামিকের ফুলদানি, ক্র্যাফ্ট কার্টন, পিভিসি শিট, গার্মেন্টস এক্সেরিজ, সোডিয়াম সালফেট, ব্যবহৃত কম্বল, বই, কম্বলের কাপড়, হুইট ব্রান ক্রপ, মাল্টি গ্রেড ইঞ্জিন অয়েল, পাইনাপল জুস, ম্যাঙ্গু ন্যাক্টার, আপেল জুস, স্ট্রবেরি অ্যান্ড ব্যানানা জুস, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ল্যান্ডক্রুইজার গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।

এরমধ্যে ২০২২ সালের তৈরি ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের দাম ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা এবং ২০২১ সালের তৈরি ল্যান্ডক্রুইজারের দাম ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা। জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ই-অকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়।

এছাড়া গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধরণের ২৩ লট পণ্য এবং গত ৩১ ডিসেম্বর ১০৮ লট পণ্য ই-অকশনে তোলা হয়। এছাড়া চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ধরণের ৭৯ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। তবে সেই নিলামে ৩৫ লটের একটি দরপত্রও জমা পড়েনি! পরবর্তীতে গত ১৬ মে ফেব্রিসহ ৯০ লট পণ্যের নিলামে দরপত্র জমা পড়েছে ১৭০টি। নিলামে ৪৯ জন বিডার অংশ নেন।

এছাড়া সর্বশেষ গত ২৬ জুন গাড়ি-ফেব্রিক্সহ ৬৩ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়। নিলামে ৩৬টি দরপত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে ২৬ লটে বিক্রয় অনুমোদন দেয় । জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সেলিম রেজা জানান, বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার জন্য আমরা নিয়মিত নিলাম কার্যক্রম চালাচ্ছি। তবে এখন আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আমরা নিলাম ক্রছি না। সব অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই আলোকে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দুটি গাড়িসহ ৪৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছ।

এদিকে কয়েকজন বিডার বলেন, অনলাইন নিলামে এখনো শুধুমাত্র দরপত্র দাখিল হচ্ছে অনলাইনে। বাকি সব কাজ হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। অনেক বিডার অনলাইনে অভ্যস্ত হতে পারেননি। তাই চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি অনলাইনের পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও নিলামে ব্যবস্থা রাখে, তবে নিলামে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরো বাড়বে। অনলাইনে নিত্যনতুন ভোগান্তিতে পড়ছেন বিডাররা। বিক্রয় অনুমোদন দেয়া হচ্ছে ৩ মাস পর। আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এত দেরি কখনো হতো না ।

উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না ।


তীব্র লোডশেডিং বিপর্যস্ত জনজীবন

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করেনগরীর বাইরে উপজেলাগুলোর চিত্র আরও দুর্বিষহদিনে কখনো লোডশেডিং হচ্ছে দুই হাজার মেগাওয়াট মূলত বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্ৰ বন্ধ, ভারতের আদানির কম সরবরাহসহ অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে জ্বালানি সংকট- ত্রিমুখী সমস্যার কারণে বেড়েছে লোডশেডিংএটি দৈনিক সুপ্রভাতের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

আবারও বেড়েছে লোডশেডিং। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে। নগরীর বাইরে উপজেলাগুলোর চিত্র আরও দুর্বিষহ। দিনে কখনো লোডশেডিং হচ্ছে দুই হাজার মেগাওয়াট ।

মূলত বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্ৰ বন্ধ, ভারতের আদানির কম সরবরাহসহ অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে জ্বালানি সংকট- এ ত্রিমুখী সমস্যার কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গতকাল দুপুরে ঘুরে দেখা গেছে, নিউমার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার, বকসিরহাট, টেরীবাজারসহ বিভিন্ন নিউমার্কেট বিপণিবিতানসহ অলিগলিতে বিদ্যুৎ না থাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

স্বাভাবিকের চেয়ে কম বিদ্যুৎ থাকায় থমকে গেছে স্বাভাবিক কর্মতৎপরতা, কর্মে গেছে বিক্রিও। তাছাড়া খাতুনগঞ্জের ময়দা, চাল, ডালের ক্রাসিং

মিলগুলো অনেকটা বন্ধ রয়েছে। কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে কাজ চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে । খাতুনগঞ্জের ময়দা মিল মালিক মো. আজিজুর রহমান বলেন, আগে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা মিল চালু রাখা হতো; এখন তা কমিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি চালাতে পারছি না। এসব কারখানা অন্য পদ্ধতিতে চালাতে হলে দ্বিগুণ বেশি খরচ পড়বে। ঐ খরচ সমন্বয় করে আটা-ময়দা বিক্রি করা অসম্ভব।

রাজাখালী চালের মিলের মালিক মো. শামসুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা মোটেই কল চালু করিনি। চালু করলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আপাতত স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি। রেয়াজউদ্দিন বাজারের ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. নূরুল আজিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ তেমন আসে না।

আইপিএস দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএসও একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের কাজগুলো বিদ্যুতের উপর নির্ভর করে। অনেকসময় ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কাজ করতে গিয়ে লোডশেডিংয়ের ফলে কাজের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, ফলে কাজ বন্ধ রাখতে হয়।

বিপণি বিতান এর মুন ফ্যাশনের মালিক রফিকুল নবী বলেন, বুধবার সকাল থেকে চারবার লোডিশেডিং হয়েছে। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ আসে। অন্ধকারে ক্রেতার উপস্থিতি কম। অনেক ব্যবসায়ী লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।

শাহ আমানত মার্কেটের মোবাইল বাজার এর মালিক রেজাউল করিম বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজে হাত দিচ্ছি না। কাজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ, এভাবে লোডশেডিং হলে কাজ করা যাবে না। তাছাড়া গত কয়েকদিন অসহনীয় গরমের লোডশেডিং এর কারণে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, গত সাড়ে তিন মাস ধরে সামিট গ্রুপের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় দৈনিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মতো গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। বকেয়া পরিশোধ না করায় ভারতের আদানি গ্রুপও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

আবার কয়লাসংকটে মাতারবাড়ি এবং এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন কমে গেছে । কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। এছাড়া বকেয়ার কারণে বেসরকারি খাতের তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও সর্বোচ্চ চাহিদায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এসব কারণে দেশে বিদ্যুতের বড় ঘাটতি তৈরি হয়ে লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানান তারা। বিপিডিবির তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম । কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় দৈনিক লোডশেডিং করতে হচ্ছে দুই-তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) দৈনিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ সোম থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার ৮৭৩ মেগাওয়াট। এ সময় ১৪ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৬৮৯ মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকায় অন্তত দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে ।

এদিকে আগের তুলনায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও সরবরাহ কমে এসেছে। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে দুই হাজার ৫৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট। যার ঘাটতি ছিল এক হাজার ৪২৫ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। স্বাভাবিক সময়ে দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি রূপান্তরের মাধ্যমে এক হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো।

বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট বা এফএসআরইউ আসলেই আমাদের বিদ্যুতের সমস্যাটা থাকবে না। এটা আসলেই আমাদের সমস্যাটা ৯০ ভাগ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে এই জিনিসগুলোর অনেকটাই সমাধান হবে।’


বেকার স্ত্রী স্বামীকে ধার দিলেন ৮০ লাখ টাকা!

গৃহিনী হালিমা বেগম সংসার চালাতেই পার হয় দিনকরেন না কোন চাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যঅথচ বেকার সেই হালিমা বেগমই তার সরকারি চাকরিজীবী স্বামীকে ধার দিলেন ৮০ লাখ টাকা! এটি দৈনিক পূর্বকোণের খবর। 

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়…

গৃহিনী হালিমা বেগম । সংসার চালাতেই পার হয় দিন। করেন না কোন চাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য। অথচ বেকার সেই হালিমা বেগমই তার সরকারি চাকরিজীবী স্বামীকে ধার দিলেন ৮০ লাখ টাকা! যদিও দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে, একটি টাকাও হালিমা বেগমের নয়। পুরো অর্থই ছিল স্বামীর অবৈধ আয়ের টাকা। যা বৈধ করতে স্ত্রী থেকে ঋণ নেওয়ার এমন ফন্দি আঁটেন এ দম্পতি।

যদিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি সরকারি চাকরিজীবী স্বামী আমজাদ হোসেন হাজারীর। যিনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সাবেক কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগের নেতাও। দুদকের জালে আটকাতে হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। কার্যালয়টির উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, কমিশনের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়। আমজাদ হোসেন হাজারী ফেনী জেলার সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার হাজারী বাড়ির মৃত নজির আহমেদ হাজারীর ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর খুলশী থানাধীন লালখানবাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর চাচা ।

২০২১ সালে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় অবসর নেন। এছাড়াও লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালে আমজাদ হোসেন হাজারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে ২০১২ সালের ২১ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। পরে একই বছরের ১৬ এপ্রিল দুদকের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন আমজাদ হোসেন। সম্পদ বিবরণীতে ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর এবং ৭২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৮০ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বোমোট ৯০ লাখ ৭ হাজার ৪৮০ টাকার সম্পদ অজর্নের ঘোষণা দেন তিনি। তবে দুদক যাচাই-বাছাই করে তার নামে সর্বমোট ৯৭ লাখ ৬ হাজার ২৪২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায়। যা তিনি ২০০০-২০০১ থেকে ২০১০-১১ করবছর পর্যন্ত আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেন। আয়কর নথিতে প্রদর্শন করলেও তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে, আমজাদ হোসেন ২০০৭-০৮ করবছরে তার স্ত্রী হালিমা বেগমের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। অথচ হালিমা বেগম একজন গৃহিনী । তার আয়ের কোন বৈধ উৎস নেই। ঋণ প্রদানের বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য নয় । প্রকৃতপক্ষে আমজাদ হোসেন হাজারীর অবৈধ আয় দ্বারাই এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬২০ টাকা। অর্থাৎ বাকি ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬২২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন তিনি। যা অসাধু উপায়ে অর্জন করা হয়েছে।

দুদকের আরেক মামলায় জেল খাটেন আমজাদ দম্পতি : ২০১৯ সালে ৩ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৮১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমজাদ হোসেন হাজারী ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় জেল খাটতে হয়েছে এ দম্পতিকে।

চাটগাঁর চোখ ডেস্ক

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও খবর